পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] নগ্ন শ্ৰীচরণে মাথা ঠেকাইয়া সিকি দুয়ানি আধুলি ইত্যাদি দিয়া পাণ্ডার প্রসন্নতা অর্জনের জন্য কাতরোক্তি করিতে লাগিলেন । পাণ্ড হাসিয়া কহিলেন, “মাজী,—গঙ্গ। জল মে— তাঁরথমে শপথ করিয়াছে—তোমার ধরম---” রাঙামামী বলিলেন, “আর বাব, অনাথা, গরিব, পাপিষ্ঠী এই সিকিট নিয়ে---” বিন্দুদি বলিলেন, “বিধবা মানুষ...” কাসর বলিলেন, “কেন, এত জুলুম কিসের ?” অন্যান্য সকলে সমস্বরে, "ও মা—গে৷ ” -পাণ্ডা বুঝিলেন, যেখানে দাত বসাইতে তিনি উদ্যত হইয়াছেন, সেট ইতিপূৰ্ব্বে সঙ্কল্পের জন্য আনীত পুরাকালের ঝুনা নারিকেলের মতই বহিরাবরণ সার হইয়াছে। শক্তির অপপ্রয়োগে দম্ভশূলের সম্ভাবনা বুঝিয়া হাসিমুথে সিকি দুয়ানিগুল ট্যাকস্থ করিয়া বিড় বিড় করিয়া আশীৰ্ব্বাদ ( ) বর্ষণ করিয়া কহিলেন, “হামার ভোজন ক| বাস্তে ?” এবার কতকগুলি পয়স আসিয়া তাহার শ্রীচরণে আশ্রয় লাভ করিল। পুণ্যের অনুষ্ঠান ত মিটল, উদরমধ্যে অগ্নিদেব এইবার উৎপীড়ন আরম্ভ করিলেন । বলিলাম, "আর কেন,—ফের যাক ৷” বিলুদি বলিলেন, “অক্ষয় বট দেখব না ?” পুণ্যকার্ষে ফাকি দিবার ষো নাই। চলিলাম কেল্লার পথে—স্বরঙ্গমধ্যে—সিঙ্গুর-চন্দন-চচ্চিত দেহ—কাঠের কি পাথরের জানি না, ঐ নারিকেলের মতই পুরাতত্বের বিষয়ীভূত, ব্রাহ্মণের সংসারকে নিৰ্ব্বিল্প করিয়া কোন আদিযুগ হইতে তিনি অক্ষয় হইয়া আছেন। পয়সা किहूँ लिएउ झ्द्देज । এইখানে মেয়েদের সাংসারিক দূরদৃষ্টির প্রশংসা না করিয়া থাকিতে পারা যায় না। বাড়ি হইতে বাহির হইবার সময় সরু গেজিয়াতে ভৰ্ত্তি হইয়া যে রজত মুদ্রাগুলি তাহাদের স্কুল কোমর আশ্রয় করিয়া নিৰ্ব্বিয়ে বিশ্রাম করিতেছে—দূর ভবিষ্যতের পানে তাধের ফল やが"ぶ。 চাহিয়া তাহাদের নিদ্রা ভাঙাইতে ইহাদের মমতার যেন, অবধি নাই। অতঃপর পুণ্যের দ্বিতীয় পৰ্ব্ব ! ধৰ্ম্মশালায় ফিরিয়া বলিলাম, “রায়ার জন্য বাজার থেকে কি কি আনতে হবে, বলুন—এনে দি ” রাঙামামী বলিলেন, “অবেলায় আর কিছু পাব না, বাবা, চি ড়েয় জল দিইছি।” বিন্দুদি বলিলেন, “মরুক গে একট। দিন বইত না ।” কাসর বলিলেন, “আমার জন্য কিছু পুরী তরকারী—” হরের মা ছোট একখানা পিতলের সরা বাহির করিয়৷ কহিলেন, "একমুঠে ফুটয়ে নিতে হবে বইকি। তুমি ছপান কাঠ শুধু এনে দাও, বাবা। চাল ভাল আলু তেল সবই আছে।” দেখিলাম, এই কথার সঙ্গে সঙ্গে রাঙামামী, র্কাসর, বিন্দুদি প্রভৃতি সকলেই স্ব স্ব পুটুলি হইতে ছোট ছোট হঁাড়ি বাহির করিয়া ঐ কথারই পুনরাবৃত্তি করিলেন। বলিলাম, “এত আলাদা হাঙ্গামায় দরকার কি ? একটা বড় মাটির ইঁাড়ি কিনে আনি—চাল-ডাল একসঙ্গে ফুটিয়ে নিন।” এই কথায় সকলেরই মুখভাব কুঞ্চিত হইয়া উঠিল। বিন্দুদি বলিলেন, "ওমা বিধবা মানুষ—তাকি হয় ?” কেন ষে হয় না বুঝিলাম না। বিধবা ত সকলেই । গে দু-একজন সধবা আছেন তাহাদের আপত্তি থাকিতেই পারে না | অবশেষে রহস্য প্রকাশ পাইল । রাঙামামী হাসিয়া বলিলেন, “পাগল ছেলে, তাকি झग्न ? আমাদের কত বাচবিচের করে চলতে হয়—ত। তোরা কি বুঝবি ? শোন—” বলিয়া আমাকে একটু দূরে লইয়া গিয়া ফিঙ্গ-ফিসূ করিয়া কহিলেন, “বিধবার কি কারও হাতে খেতে আছে ? ষে যার রান্না ক’রে খেতে হয়। তীর্থস্থান, জানিস ত, পুণিাই করতে এসেছি।” বিস্মিত হইয়া বলিলাম, “সে কি রাঙামামী, কেউ ত ছোট জাত নন।” রাঙামামী বলিলেন, “তৰু সকলের স্বভাব-চরিত্তির—'