পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা 1 ইধমা 66: ব্যথা খাচ্ছে ? দেখ গো, ভলিমাহবের মেয়ে, তুমি ত একদিনেই পাড়া মাথায় করেছিলে ।" বিরক্তিতে ভ্রুকুটি করিয়া লীলা রান্নাঘরে চলিয়া গেল। শারীরিক রোগ বেদনার ভিতরেও কৃতিত্ব কোথায় আছে তাহা এক তাহার শাশুড়ীই জানেন । লীলা যদি এক দিনের অমুখে মারা যায়, তাহা হইলেও হয়ত শাশুড়ীঠাকুরাণী সেটা একটা অস্কায় আবদার মনে করবেন । সাততাড়াতাড়ি মর কেন ? কিন্তু রাগ ও বিরক্তির মধ্যে মধ্যেও স্থধারাণীর জন্য তাহীর দুঃখ হইতে লাগিল । আহা, না জানি কি অসহ কষ্ট পাইতেছে। হউক বড় মাহুষ, আমুক না দশটা ডাক্তার নাস, তবু এ বেদন গরীব ভিখারিণীর যন্তথানি, রাজরাণীরও ততখানি। নিতান্ত ও-বাড়ির চৌকাঠ আর মাড়াইবার নামে তাহার গায়ে জর আসে, ন হইলে একবার গিয়া বৌটাকে দেখিয়া অtfসত। মন হইতে সব চিন্তু সে দূর করিয়া দিয়া নিজের কাজে লাগিয়া গেল, আঁচ বহিয়া যাইতেছিল। সন্ধাবেলা রাজুর মায়ের কাছে খোজ পাইল বেীরাণীর একটি পোক হইয়াছে, কিন্তু তাহার নিজের জীবন সংশয়, শেয পর্যস্ত টিকিবে কি-না কিছুই বলা যায় না । ভয়ানক জর, মাথায় বরফ দেওয়া হইতেছে, ডাক্তার চব্বিশ ঘণ্ট ঘরের ভিতর বসিয়া আছে । কাজকর্মের ফাকে ফঁাকে স্থধারাণীর খবর সে পাইতে লাগিল । বউরাণী না-কি উন্মাদের মত চীৎকার লাফালাফি করিতেছে, ছেলের গলা টিপিয়া মারিতে যাইতেছে, নিজে জানলা দিয়া লাফাইয়া পড়িষার চেষ্টা করিতেছে। আঁতুড়ঘরের বি, নাগ প্রভৃতিকে মারিয়া ধরিয়া, চুল ছিডিয়া একাকার করিতেছে, অনেক টাকার লোভেও কেহ থাকিতে চাহিতেছে না । শাশুড়ী বলিলেন, "ভাই ন-কি গা ? ঠিক উপদেবতায় পেয়েছে। সতীন মাগী কি আর শোধ তুলবে না ? অমনি করে তাকে দগ্ধে মারলে ।” রাজুর মা বলিল, “সে কথা একশবার। একটা ষ্ঠায় বিচার আছে ত?” লীলা বিস্মিত হুইয়া ভাবিতে লাগিল, ইহাদেরই . कथा ठिक न|-कि ? इझे८ङe *ां८ब्र, खग८ङ कड छिनिरु ত ঘটে । আরও দিন দুই কাটিয়া গেল। বউরাণীর অবস্থার কোনও পরিবর্তন হইল না। জমিদার-বাড়িতে উদ্বেগআশঙ্কার শ্ৰোত সমানে বহিতে লাগিল । দুপুর বেলা । শাশুড়ী খাওয়া-দাওয়া শেষ করিয়৷ ছেড়া পাটি বিছাইয়া, সিড়ির মুখে যে বাধান জায়গাটুকু, সেইখানে শুইয়া পড়িয়াছেন। . হইলেই বা রাস্তার উপর, এ খানটাতে তবু হাওয়া আছে। তিনি ত আর নূতন কনে বউ নন যে, কেহ দেখিয়া ফেলিলে মার যাইবেন। লীলা তেলের বোতলট। উপুড় করিয়া দেখিল তাঁহাতে এক ফোটাও তেল নাই, রোজ রোজ রুক্ষু স্নান করিয় তাহার মাথাধরার রোগ দাড়াইয়া যাইতেছিল। বিরক্তমুখে সে কলতলার দিকে অগ্রসর হইতেছে এমন সময় শাশুড়ীর কাংস্যকণ্ঠের ঝঙ্কার শুনিয়া দাড়াইয়া গেল। কাহার উপর তিনি তর্জন করিতেছেন, “আমবু মিন্‌ষে, দিলে কাচা ঘুমটী ভাঙিয়ে। চেচাবার আর জায়গা পাস্নি ?" লীলা দরজাট। ফাক করিয়া উকি দিয়া দেখিল জমিদার-বাড়ির দরোয়ান। এখানে কি করিতে ? দ্বারের অন্তরালে লীলার শাড়ার লাল পাড়ট। দরোয়ানের চোখে পড়িল, সে বলিয়া উঠিল, “এ মাই খোড়া শুন ত যাও । এ বুঢ়ীয়া মাই ত ঝুটুমুটু গুস্সা কবুতা।” লীলা গরীবের বউ, বেশী পরদানশীন হইবার তাহার উপায় নাই। কপালের উপর ঘোমটাট একটু টানিয়৷ দিয়া সে দরজার বাইরে আসিয়া দাড়াইল । বৃদ্ধ বকৃবকৃ করিতে করিতে মাদ্বরের উপর উঠিয়া বলিলেন । দরোয়ান জানাইল, রাণীমা এ বাড়ির বউকে একবার ডাকিয়া পাঠাইয়াছেন । লীলা একেবারে ধমুকের টঙ্কারের মত বাজিয়া উঠিল। সে ত জমিদারের ঝি বা চাকর নয় ? তাহাকে ডাকা কেন ? তাহাকে দিয়া রাজরাণীর কি প্রয়োজন ? সে যাইবে না। বুদ্ধ শাশুড়ী আজকাল খানিকটা আখৰ্ব্ব হইয় পড়াতে ,