পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ouoጥበtሞçãግ ዓ»ዓ ( পূরবী ), এবং সত্যেন্দ্রনাথের সরযু: বেলা শেষের গান ) এ দুটি কবিতার উল্লেখ করতে পারি। সত্যেন্দ্রনাথের ইচ্ছামুক্তি’ ( বেলা শেষের গান ) নামক আঠারো স্বরের স্বরবৃত্ত-পয়ারে রচিত সনেটটতেও প্রবহমানতার আভাস পাই ; তঁর কবির তিরোপান’ ( ঐ ) নামক কবিতাটিতেও গুরকম আভাস আছে। যাহোক, এস্থলে বদ্ধিত স্বরবৃত্ত-পয়ারের প্রবহমানতার দুষ্ট দুষ্টাস্ত দিচ্ছি।-- (১) যারা আমার সাল-সকালের গানের দ্বীপে জ্বালিয়ে দিলে আলো

  • আপন চিন্নার পরশ দিয়ে ; এই ষ্টীবনের সকল সাদা কালে

BBBB BBBSBBB BBBS BB BB BBB BBB BBBBB মিঙ্গের প্রাধের স্রোতের পরে আমার প্রাণের ঝরণা দিলে৷ তুলি ; তাদের সাথে একটি ধারায় মিলিয়ে চলে, সেই ছে৷ আমার আয়. নাই সে কেবল দিন গণনার পাছির পাতায়, নয় সে নিশাস বায়ু । -- পূরবী, পুরবা. রবীন্দ্রনাথ (২) ধাত্রী তুমি সম্রাটেদের ; সখ্রিং-স্রোন্তে সাগর চেষ্টএর ফেন৷ উথলাহে বল ধরে যার তেমন ছেলে পুল লে বারম্বারই পাথুমদানে। কবির গানে অমর ধারা, যারা সবার চেন, BBB BB BBB BB BBK BBB SYYBBBBS --সরল, লেলাশেমের গান, সূত্যেন্ত্রনাথ যৌগিক বা স্বরবৃত্ত পারে রচিত প্রবহমান ছন্দোবন্ধকে বলতে পারি সম-পংক্তিক’ প্রবহমান ছন্দ ; কেন-না, এজাতীয় ছন্দোবন্ধে প্রতি পংক্তির দৈর্ঘ্য অর্থাৎ ব্যষ্টি-সংখ্য, চোদ্দ বা আঠারো, কবিতার আছন্ত সৰ্ব্বত্রই সমান থাকে কিন্তু দ্বিতীয় আরেক প্রকার প্রবহমান ছন্দোবন্ধ আছে যাতে প্রতি পংক্তির দৈর্ঘ্যের অর্থাৎ বাষ্টি-সংখ্যার সমতা রক্ষিত হয় না। এ-জাতীয় ছন্দোবন্ধকে বলতে পারি ‘অসমপংক্তিক’ প্রবহমান ছন্দোবদ্ধ। এই অসমপংক্তিক প্রবহমান ছন্দোবন্ধকেই আমি ‘মুক্তক’ নামে অভিহিত করেছি। কেন-ন এজাতীয় ছন্দোবন্ধে স্থনির্দিষ্টরূপে নিয়মিত যতুি-স্থাপন, পরিমিত পদ-গঠন এবং পংক্তিদৈর্ঘ্যের বন্ধন থেকে ছন্দের সম্পূর্ণ মুক্তি ঘটেছে। রবীন্দ্রনাথের বিলাকায় যৌগিক মুক্তক এবং তার 'পলাতৃকা’য় স্বরবৃত্ত মুক্তকের প্রবর্তন হয়েছে, একথা সকলেই জানেন। বলাকার মুক্তকগুলিতে পংক্তিপ্রান্তে মৈল রয়েছে। কাজেই এগুলিকে বলব স-মিল মুক্তক । *মিল মুক্তকের একমাত্র নিদর্শনরূপে রবীন্দ্রনাথের "নিস্ফল কামনা’ নামক কবিতাটির ( মানসী ) উল্লেখ করা যেতে পারে। ( সমপংক্তিক ও অসমপংক্তিক প্রবহমান ছন্দের বিশদতর আলোচনী ‘জয়ন্তী-উৎসর্গ, ৮২-৮৯ পৃষ্ঠায় দ্রষ্টব্য ) । 鄂 岔 পদ্যের ঈধদ-যতি, , অৰ্দ্ধ-যতি ও পূর্ণ-ধতির সঙ্গে গদ্যের কম, সেমিকোলন ও দাড়ি বা full stop, এই তিনট বিরাম-চিহ্নের যথাক্রমে তুলনা করলেই ওই যতি-তিনটির আসল প্রকৃতিটি বোঝা যাবে। গদ্যের ন্তায় পদ্যেও এই বিরাম-চিহ্ন তিনটি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু মনে রাখা উচিত যে, এই চিহ্ন-ভিনট শুধু ভাবগত যতিকেই নিৰ্দ্দেশ করে, ছনোগত ধতিকে মৃয় । ভাব যেখানে বিরত হয় ছন্দের ধ্বনি সেখানে বিরত নাপ্ত হ’তে পারে, আবার ছন্দের পলি যেখানে বিরত হয়েছে ভাবের প্রবাহ সেখানে স্তব্ধ না হ’তে ৪ পারে । স্বতরাং পদ্যরচনায় কম, সেমিকোলন ও দাড়ি থাক্রমে ঈষদ-যতি অৰ্দ্ধ ধতি ও পূর্ণ-ঘভির নিদেশক নয়। ওই চিহ্ন তিনটি ভাবগত ঈষদ-বিরতি, অৰ্দ্ধ-বিরতি ৪ পূর্ণ-বিরতিকে নিৰ্দ্দেশ করে। দুষ্টাস্ত দেওয়া ধাক । চিস্থ দিতেম । জলাঞ্জলি, ॥ ধাকৃতো নাকে । ত্বর, মৃদু পদে। যেতেম, সেন ৷ নাইকো মৃত্যু ৷ জরা। —সেকাল, ক্ষণিক, রবীন্দ্রনাথ এখানে ভাবের ঈষদ-বিরতি-স্থচক তিনটি কম-চিহ্ন আছে। কিন্তু ওই তিন স্থলে ছন্দের ঈষদ-যতি নেই। প্রথম কমাটি যেখানে আছে সেখানে রয়েছে ছন্দের অৰ্দ্ধধতি ; আর দ্বিতীয় কমাটির স্থানে ছন্দের পূর্ণ-যতি রয়েছে; কিন্তু তৃতীয় কমাটির স্থানে ছন্দে কোনো যতি, এমন কি ঈষদ-যতিও নেই। অথচ যেখানে ছন্দোগত ঈষদ-বতি, অদ্ধ-যতি ও পূর্ণ-যতি ঘটেছে সে-সব স্থলে কম, সেমিকোলন ইত্যাদি নেই। কিন্তু মনে রাখা প্রয়োজন যে, এই কথাগুলি শুধু অপ্রবহমান ছন্দের প্রতিই প্রযোজ্য, প্রবহমান ছন্দের প্রতি নয়। প্রবহমান ছন্দোবন্ধে যে-সব স্থলে কমা, সেমিকোলন ইত্যাদি চিহ্ন থাকে সেসব স্থলে অধিকাংশ সময়ই ছন্দোগুত কোনো একপ্রকার যতি থাকে । পংক্তির প্রাস্তে কিংবা