পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- - - - - - - eng مهم measure বা ‘প্রমাণ”, কারণ ওই পর্বের দ্বারাই সমগ্র পংক্তিটা প্রমিত হয়ে থাকে। বস্তুত ওই পর্বের সাহায্যে পরিমাপ করা হয় ব’লেই ছন্দের নাম হয়েছে metre । ওই measure বা পর্কেরই আরেকটি নাম হচ্ছে foot অর্থাৎ পদ। কিন্তু লাইনের মধ্যবৰ্ত্তী ছেদ-যতির caesura- ) wtai বিচ্ছিন্ন পংক্তি খণ্ডকে ইংরেজী ছন্দ-শাস্ত্রে কোনো নাম দেওয়া হয় না । কারণ ইংরেজী চন্দে ওই ছেদ-যতিটর অবস্থানের কোনো নিদিষ্ট রীতি নেই ; এটি পংক্তির মধ্যস্থলে কিংবা অন্য যে-কোনো পর্বের মধ্যে কিংবা প্রাস্তে স্থাপিত হ’তে পারে । তাই ছেদনভির দ্বারা বিচ্ছিন্ন পংক্তি-পণ্ডের কোনো নিদিষ্ট আয়তন নেই ; ফলে ছন্দ-শাস্ত্রে ওরকম পংক্তি-খণ্ডের বিশেষ করণের প্রয়োজনীয়তা অন্ত ভূত হয় না। কিন্তু বাংলায় অৰ্দ্ধ-যতিটর অবস্থান-নিদিষ্ট এবং তাই ওটর দ্বার। বিচ্ছিন্ন পংক্তি-খণ্ডটি পরিমিত ও সুনিদিষ্ট । বস্তুত, ওরকম পংক্তি-খণ্ডের দ্বারাই বাংলা ছন্দ-পংক্তি গঠিত ও প্রমিত হয়ে থাকে ; তাই ওই পংক্তিগণ্ডকে একটি বিশেষ মমি দেওয়া প্রয়োজন । অৰ্দ্ধ-যতির দ্বারা খণ্ডিত পংক্তিচ্ছেদকে "পদ" বলা হয়েছে । আর তাতেই ছন্দপংক্তিকে ত্রিপদী, চৌপদী প্রভৃতি আথা দেওয়ার সর্থিকতা। বাংলা ছন্দের আলোচনায় ‘পৰ্ব্ব’কে measure এবং "পদ"কে foot বলে ও-দুটি শব্দের পার্থক রক্ষা কর। द४नौम्न । - - o সংস্কৃত ছন্দ-শাস্ত্রে একেকটি শ্লোককে চারটি ‘পদ', পান বা চরণে বিভক্ত করা হয় । ছন্দ-শাস্ত্রকার গঙ্গাদাস তাই “পতং চতুষ্পদী" । ছন্দোমঞ্জরী, ১s ) এই কথা ব’লে গ্রন্থারম্ভ করেছেন । সংস্কৃত ভাষায় পদ বা শন শৰে যেমন চরণ' বোঝায়, তেমনি ওই শব্বের পূব কোনো পদার্থের চতুর্থাংশকেও বোঝায়। গ্রাকের পদ বা পাদ বলতে যেমন ছন্দের চরণ বুঝি, শনি শ্লোকের চতুর্থাংশও বুঝি। বাংলায় ‘পদ’ শবে *:কাংশ বোঝায় বটে, কিন্তু শ্লোকের চতুর্থাংশই বোঝায় । শুধু তাই নয়, সংস্কৃত ও বাংলা ’পদ’ শব্দের কি আরও বেশী। বাংলায় ‘ছন্দ-পংক্তি'র যে-সংজ্ঞ ب- ربعv exv, *. I Y \sco N. SSASAS A SAS A SAS SSAS SSASAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAAS AAASASAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAAA

  • :ుసా

SSASAS AAAAAS AAASASAAA AAAA AAAA SAAAAA SAAAAAT AAAA S SAAAASAASAAAS দিয়েছি সংস্কৃত ছন্দে "পদ" শব্দের সেই সংজ্ঞা । অর্থাৎ উভয়ত্রই গতির প্রারম্ভ থেকে পূর্ণ-বিরতি পর্যান্ত সমগ্র ধ্বনি-শ্রেণীটাকেই বোঝায়। তফাৎ এই যে, বাংলা ছন্দ-পংক্তিকে অবস্থাবিশেষে ভেঙে দুষ্ট বা ততোধিক ছত্ৰে সাজিয়ে লেখা চলে ; আর সংস্কৃত ছন্দে অবস্থাবিশেষে দুটি পদকে এক ছত্রে লেখা হ’য়ে থাকে, বিশেষত অল্পষ্টপ, ত্রিইপ প্রভৃতি যে-সব ছন্দের পদের দৈর্ঘ্য বেশী নয় । সংস্কৃত ছন্দ-শাস্ত্রে জিহবার অভীষ্ট বিরাম স্থানকেই ‘ধতি’ বলা হয়। যভিঞ্জিহোষ্টবিরামস্থানম্ ; ছন্দোমঞ্জরী, ১l১৮ ) , রসজ্ঞা-বিরতি-স্থানং কবিভিৰ্ষতিরুচ্যতে ( শ্রুতবোধ, 8 ) । কিন্তু কোথায় রসনার বিরতি ঘটবে সে-কথাও বহু ছন্দোবন্ধের সংজ্ঞার মধ্যেই নিৰ্দ্দিষ্ট আছে। ংস্কৃত ছন্দ-শাস্ত্রে কালব্যাপ্তি অল্পসারে যতির প্রকারভেদ স্পষ্টত স্বীকৃত হয় না । কিন্তু সংস্কৃত ছন্দেও যে কালব্যাপ্তি অনুসারে ধতির তারতম্য আছে, তার আভাস পাওয়া যায় পিঙ্গল-ছন্দ স্থত্রের টীকাকার হলায়ুধের * টীকায় উদ্ধৃত একটি শ্লোক থেকে । সে শ্লোকটি হচ্ছে હફે – যতিঃ সৰ্ব্বত্র পাদান্থে শ্লোকান্ধে চ বিশেষতঃ । সমুদ্রাদিপদান্তে চ ব্যক্তব্যক্তবিভক্তিকে : —পিঙ্গলচ্ছন্দস্বত্রমূ. ৬১ এই বিধানটি থেকে মনে হয় শ্লোকের, বিশেষত অকটুপ ছন্দের, প্রথম পদের পরবর্তী যতিটির চেয়ে দ্বিতীয় পদের পরবর্তী যতিটি অধিকতর স্থায়ী। দৃষ্টাস্ত দিচ্ছি — মা নিষাদ প্রতিষ্ঠাং ত্বমূ। অগমঃ শাশ্বতাঃ সমাঃ । যৎ ক্ৰৌঞ্চমিথুনা একম। অবধা: কামমোহিতম্ ॥ এই অন্তঃপ শ্লোকটর ছাঁট ক'রে পদ এক লাইনে সাজানো হয়েছে। একটু লক্ষ্য করলেই টের পাওয়া

  • বাংলা দেশের প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে পিঙ্গল-ছন্দঃস্বত্রের

টীকাকার হলায়ুধ এবং লক্ষ্মণসেনের (খৃঃ ১১৭৮-১২০৫ ) সভাপণ্ডিত ও ‘ব্রাহ্মণ-সৰ্ব্বথ প্রভৃতি গ্রন্থের প্রণেতা চলায়ুধ একই ব্যক্তি। কিন্তু আধুণিক পণ্ডিতদের ধারণা অন্তরকম। তাদের মতে "ছলঃ-সুত্রের টীকাকার হল:যুদ্ধ ছিলেন দাক্ষিণাত্যের রাষ্ট্রকূটরাঙ্গ তৃতীয় কৃষ্ণের (খৃঃ ৯৪০-৬২) সমসাময়িক । এই চলায়ুধ ছিলেন একজন বৈরাকরণিক কবি ; তার কাব্যের নাম ‘কলি-রহস্ত'। অভিধানরত্নমালা স্বাসে তার একপানি শব্দকোষও পাওয়া গেছে।