পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ase প্রবাসী—ফান্তন, ১৩৩৮ [७s* छां★, २ग्न थ७ যাবে যে, প্রথম পদের পরবর্তী যতিটির স্থিতিকাল দ্বিতীয় পদের পরবর্তী যতিটির চেয়ে কম। অর্থাৎ প্রথমটি অৰ্দ্ধ-যতি, দ্বিতীয়ট পূর্ণ-ধতি। অল্পষ্টপ ছন্দে পদমধ্যবৰ্ত্তী যতি অর্থাৎ ছেদ-যতি নেই। অন্যান্ত সংস্কৃত ছন্দে মধ্য-যতি বা ছেদ-যতির বহুল প্রয়োগ আছে ৷ যথা— কস্তৈকাস্কং। মুখমুপনতং। ছঃপমেকাস্তুতো বা নাচৈৰ্গচ্ছ- । তুাপণি চ দশ। চক্রনেমিক্রমেণ ॥ --মেঘদূত, উত্তরমেঘ এট হচ্ছে সতেরো ‘অক্ষর’ অর্থাং সিলেবল-এর মন্দাক্রান্তা ছন্দের দুটি পদ। শাস্ত্রানুসারে এ ছন্দের প্রতি পদে যথাক্রমে চার, ছয় এবং সাত অক্ষরের পরে ধতি স্থাপিত হয়। উক্ত দৃষ্টান্তের প্রত্যেকটি পদ তিনটি যতির দ্বারা তিন ভাগে বিভক্ত হয়েছে। লক্ষ্য করলে টের পাওয়া যাবে যে, প্রথম দুটি ধতির চেয়ে তৃতীয় ধতিটির স্থিতিকাল দীর্ঘতর। অর্থাৎ মধ্য বা ছেদ-যতি দুটিকে যদি বলি লঘু-যতি তবে অস্ত্য-ধতিটকে গুরু-যতি বলতে পারি। যাহোক এই যতি-তিনটর দ্বারা বিচ্ছিন্ন পদের বিভাগ-তিনটিকে কি নাম দেওয়া যায় ? সংস্কৃত ছন্দোবিংরা কোনো নাম দেন নি। একেকটি ছত্রের সমগ্র ধ্বনি-শ্রেণীটাকেই যখন পদ বলা হয়েছে তখন ঐ বিভাগগুলিকে আর "পদ" বলা সঙ্গত নয়। আমাদের অবলম্বিত পদ্ধতি অনুসারে ওই বিভাগগুলিকে ‘পৰ্ব্ব’ আধ্যা দিতে পারি। তা হ’লেই মন্দাক্রান্ত ছন্দের প্রত্যেকটি পদ’কে ত্রিপধিবক পদ এবং সমগ্র শ্লোকটাকে ত্রিপধিক চৌপদী বলতে পারি। মন্দাক্রাস্তা ছন্দে প্রতি পদের পর্বগুলি, ‘অক্ষর অর্থাং সিলেবল সংখ্যা হিসেবে সমান দীর্ঘ নয় ; স্থতরাং এ ছন্দের পদগুলিকে অসমপর্বিবক পদ বলা যায়। একট। সমপৰিবক পদ-ওয়ালা ছন্দের দৃষ্টান্ত দিচ্ছি — গ্রীবাঙ্গাভিরামং । মুহরগুপততি- স্তানে দত্তবৃষ্টিঃ পশ্চাৰ্দ্ধেন প্রবিষ্ট । শরপতন ভয়াৎ। ভূয়স পূর্বকায়ম্। -अडिझांबलकूखलत्र, cथषत्र अक এটি হচ্ছে একুশ “অক্ষর’ বা সিলেবল-এর শ্রদ্ধর ছন্দ। এ ছন্দের পদগুলিও মন্দাক্রাস্তার পদের মত ত্রিপর্বিক । তবে মন্দাক্রাস্তার পদগুলি অসমপধিবক ; আর এর পদগুলি সমপৰিবক, কেন-না, এখানে সাত-সাত অক্ষরের পর ধতি রয়েছে। একটু লক্ষ্য করলেই বোঝা যাবে যে মন্দাক্রান্তার অসমান পৰ্ব্বগুলিকে সমান ক’রেই আন্ধরা ছন্দের উৎপত্তি হয়েছে। মন্দাক্রাস্তার শেষ পর্বে আছে সাত অক্ষর, স্ৰষ্করাও তাই ; শুধু তাই নয়, উভয়ত্রই লঘুগুরু-বিশেষে ধ্বনি-সন্নিবেশ প্রণালী অবিকল এক রকম। মন্দাক্রাস্তার দ্বিতীয় পর্বে আরেকটি লঘুবৰ্ণ বসালেই স্রষ্করার দ্বিতীয় পৰ্ব্ব তৈরি হয়। মন্দাক্রাস্তার প্রথম পৰ্ব্ব ও অঞ্চরার প্রথম চারটি “অক্ষর’ অবিকল এক জিনিষ ; বস্তুত মন্দাক্রাস্তার প্রথম পর্কে একটি লঘু ও দুটি গুরুঞ্চলি যোগ করলেই স্ৰষ্করার প্রথম পৰ্ব্ব পাওয়৷ যায়। অতএব দেখা গেল মন্দাক্রাস্তার প্রথম পর্বে তিনটি অক্ষর এবং দ্বিতীয় পর্বে একটি অক্ষর যোগ দিয়ে তিনটি অসমান পৰ্ব্বকে সমান ক’রেই স্রস্তুরার স্বষ্টি হয়েছে। যাহোক, আমাদের অবলম্বিত প্রণালীতে বিশ্লেষণ করলে বলা যায় যে, অঙ্করাও মন্দাক্রান্তার মত ত্রিপর্বিবক চৌপদী ছন্দ ; শুধু পৰ্ব্ব-গঠনের মধ্যে কিছু পার্থক্য 四忆丽 1 -