পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩১শ ভাগ, ২য় খণ্ড বসত্ত্বোংসব ফুলের রস দ্বারা রঙীন চিত্রে তাঙ্গার হাত অভ্যস্ত হইয়াছিল, পরে সঙ্গীত ও সাহিত্যচর্চার সঙ্গে সঙ্গে নিজের শিল্পবোধ অত্যন্ত সহজ ও স্বাভাবিক ভাবে ক্রমে বাড়িয়া উঠিতে থাকে। তাহ ছাড়া, সমগ্র বাল্য ও কৈশোর তাহার কটিয়াছে পূৰ্ব্ববাংলার যাত্র ও বাউল কবিগান ও কথকতার রসগ্রহণে । আমাদের দেশের সাধন ও সংস্কৃতি এই ভাবেই ক্রমশ: তাহার চিত্তে ও মনে সঞ্চারিত হয় এবং তঁtহার শিল্পিমন তাহারই মধ্যে বাড়িয় উঠে। কোনো সজ্ঞান চেষ্টায় জাতীয় মন ও সংস্কৃতি র্তাহার শিল্পের মধ্যে ফুটয় উঠে নাই ; ভারতীয় চিত্রকলার প্রতি র্তাহার অনুরাগ এবং উহার ভাবধারার সহিত আত্মীয়ভাবোধ তাহার মনের মধ্যে প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩৮ আপন হইতেই জাগিয়াছিল, যেসাধনা ও সংস্কৃতির মধ্যে তিনি মানুষ হইয়াছেন তাহাই তাহাকে শিল্পসাধনার এই বিশেষ পথে প্রবর্তিত করিয়াছিল । অৰ্দ্ধেন্দুপ্রসাদ প্রথম কলিকাতার সরকারী শিল্পবিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন এবং নিজের কৰ্ম্মকুশলতায় অল্পকালের মধ্যে শ্ৰীযুক্ত অসিতকুমার হালদারের প্রিয়পাত্র হইয়া উঠেন। পরে শান্তিনিকেতনে যখন কলাভবন প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন অৰ্দ্ধেন্দুবাবু অন্যতম প্রথম শিক্ষার্থীরূপে সেখানে প্রবেশ করেন। চিরাচরিত শিল্পপদ্ধতি ছাড়িয়া নুতন সাধনায় যাত্রার পথে র্তাহাকে কম বাধা অতিক্রম করিতে হয় নাই ; শুধু রবীন্দ্রনাথ ও নন্দলালের উৎসাহ ও পোষকতায় এবং নিজের আস্তরিক ইচ্ছা ও অঙ্গরাগের বলেই তাহা সম্ভব হইয়াছিল। স্বদীর্ঘ ছয় বৎসরকাল নন্দলালের তত্ত্বাবধানে শিক্ষা সমাপ্ত করিয়া অদ্বেন্দুপ্রসাদ উড়িষ্কায়, দাক্ষিণাত্যে এবং ভারতবর্ষের শিল্পসাধনার তীর্থক্ষেত্রে ভ্রমণ করিয়া অধিকতর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন। তাহার পর তিনি মান্দ্রাজে থিয়সফিক্যাল সোসাইটির শিল্পবিদ্যালয়ের অধ্যাপক হইয়া যান, কিন্তু নিজের কৰ্ম্মপদ্ধতির সহিত কর্তৃপক্ষের মতানৈক্য হওয়ায় কাজ ছাড়িয়া দেশে ফিরিয়া আসেন, তবুও নিজের স্বাধীন মত ও পদ্ধতি বিসর্জন দিতে সন্মত হন নাই । অৰ্দ্ধেন্দুবাবুর ছবির মধ্যে ভাব, রং ও রেখার বিস্কাস, এবং অঙ্কনপদ্ধতির একটা অপূৰ্ব্ব সামঞ্জস্ত সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। র্তাহার শিল্পিচিত্ত বিশেষ করিয়া ভাবধৰ্ম্মী, তাহার কল্পনার ঐশ্বৰ্য্য প্রচুর ; তাই বলিয়া কলাকৌশলের নিপুণতাও কম নয়। চিত্তবিশেষের ভাবব্যঞ্জনার জঙ্ক