পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] খোকার বিকে ডাকিয়া বলিল, “খোকা কোথা রে, ভার দুধ খাবার সময় হ’ল না ?” ঝি বলিল, “সে ত রাণীমার ঘরে, তিনি ঘণ্টা খানিক হ’ল চেয়ে নিয়ে গেছেন না ?” রাণীমার ঘরে লীলা কখনও যাইত না, তাহাকে যে কেহ যাইতে মানা করিয়াছিল তাহ নয়, নিজেরই কখনও তাহার প্রবৃত্তি হয় নাই । আজ কি মনে করিয়া সে ধীরে ধীরে জমিদার-গৃহিণীর ঘরের দিকে অগ্রসর হইল। প্রায় সমস্ত স্থতলাটা জুড়িয়াই গৃহিণীর রাজত্ব । লীলা উপরে উঠতে উঠিতেই শুনিতে পাইল, বড় শয়নকক্ষে মহোৎসাহে হাসি তামাস গল্প চলিতেছে । কান্তিচন্দ্রের খুড়ী বলিতেছেন, “খোকন দিন দিন কি চমৎকার দেখতে হচ্ছে দিদি, কাস্তি ছোট বেলায় ঠিক আমনি ছিল । ভাগ্যে নতুন বৌয়ের রং পায় নি।” দিদি বলিলেন, “এখন ভালয় ভালয় আর মাস খানেক কাটলে বাচি বোন । যা পুতনা রাক্ষসী ঘরে পুষতে হচ্চে । টাকার লোভে এসেছে বটে, কিন্তু খোকাকেও কি আর ভাল চোখে দেখে ? বড় বউটার সঙ্গে বড় ভাব ছিল না ?” g কে আর একজন বলিল, “সত্যি জ্যাঠাইমা, রাজ্যে ষেন আর লোক ছিল না, তাই ঐ খোট্ট মাগীকে নিয়ে এলে ।” গৃহিণী বলিলেন, “লোক আর পেলাম কৈ ? তাহলে আর ওঁর ছায়া মাড়াই ? কত দেমাক দেখিয়ে নিল বলে। আগেকার দিন হলে চুলের মুঠি ধরে, পাইকে জুতো মারতে মারতে নিয়ে আস্ত । আজকাল কোম্পানীর রাজত্বে ছোটলোকের বড় বাড় হয়েছে ।” লীলা আর দাড়াইল না, কম্পিত পদে নীচে নামিয়া আসিল । অপমানে তাহার সর্বশরীর জালা করিতেছিল। নিজের উপায়হীনতায় তাহার নিজের মাথার চুল ছিড়িতে ইচ্ছা করিতেছিল। কি করিয়া সে এই বেড়াজালের ভিতর হইতে উদ্ধার পাইৰে ? কি খানিক পরে খোকাকে ছুখ খাওয়াইতে লইয়া আসিল । তাহার নবনীতকোমল দেহ বক্ষে লইয়া जौला झ*ां९ कब्र कब्र कब्रिग्ना कॅलेिबा ८कलिण । किल्ले SAAA AAAA AAAA AAAA MA AMMS MAeAMAM S MAMAAA AAAA SAAAAA AAAA AAASS দুধমা SATTTACS ESAAAAASA SAAAAA AAAA AAA AAAAM MAMMMMMMS (tS একটু অবাক হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, “কি হ’ল মা ? শরীর গতিক ভাল ত ? রাণীমাকে ডাকব ?” লীলা চোখ মুছিতে মুছিতে বলিল, “না বাছ, তোমার কাউকে ডাকতে হবে না, আমি ভালই আছি।” রাত্রে লীলা কিছু আহার করিল না দেখিয়া গৃহিণী ব্যস্ত হইয়া খোজ করিতে আসিলেন । লীলা বাজে কথা বলিয় তাহাকে বিদায় করিয়া দিল । পরদিন সকালে খোকার কান্নায় বিটা চোখ মুছিতে মুছিতে উঠিয়া বসিয়া স্থাকিল, “কোথায় গেলে গো, আমাদের খোকাবাবুর যে গলা শুকিয়ে গেল।” কোনো সাড়া ন পাইয়া সে বিম্মিতভাবে ঘরের বাহিরে আসিয়া আর একজন বিকে বলিল, “সে খোট্রানী গেল কোথায় গা ? ছেলেট যে ভেষ্টীয় গেল ?” অপর বলিল, “দেখ তার শাশুড়ী বুড়ীর ঘরে ।” শাশুড়ীর ঘরেও বেী বা শাশুড়ী কাহাকেও দেখা গেল না। তখন হৈ চৈ বাধিয়া গেল, গৃহিণীও র্তাহার সাঙ্গপাঙ্গের দল ছুটি আসিলেন, সারাবাড়ি খানাতল্লাশীর মত করিয়া খোজা হুইল, কোথাও লীলা বা তাহার শাশুড়ীর চিহ্ন নাই । অতঃপর কৰ্ত্তা এবং কাস্তিচন্দ্র আসরে অবতীর্ণ হইলেন । দেউড়ীর দরোয়ানদের ডাকিয়া ধমক ধামকৃ চলিতে লাগিল, তাহার। কিন্তু কোনো সন্ধানই দিতে পারিল না। গৃহিণী নাক সিটকাইয়া বলিলেন, “হা, দেউড়ী দিয়ে রথ হাকিয়েই তারা গিয়েছে কি-না ? এতগুলো খিড়কীর দরজা পড়ে আছে কি করতে ” খুড়ীমা বলিলেন, “স্তাও, এখন কিছু নিয়ে পালিয়েছে কি না তাই দেখ । শুধু হাতে কি আর গেছে ? টাকাকড়ি কিছু দেওনি ত?” গৃহিণী গর্জন করিয়া বলিলেন, “হ্যা, টাকা দিচ্ছে । আস্থক ন এর পর, জুতিয়ে পিঠের ছাল তুলে দেব ।” খোকার ঝি কিছুতেই ক্ৰন্দনপরায়ণ শিশুকে সামলাইতে - পারিতেছিল না, সে বলিল, “তোমরা ত ওদিকে রাগবাল নিয়ে আছ মা,এদিকে ছেলে যে কোকিয়ে গেল।”