পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

հ8օ প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩৩৮ [७s* छां★, २ग्न ४७ পরিশ্রম, অল্প বেতন, বালকবালিকাদেরও কর্ণে নিয়োগের প্রথা, এবং কাজের অস্থায়িত্ব তৎসমুদ্ৰয়ের অনিষ্টকারিতার কারণ। যাহা হউক, মহাত্মা গান্ধী বিশ্বাস করেন, যে, গ্রেট ব্রিটেনের সহিত সংগ্রামে যে-সব কৰ্ম্মনীতি ভারতীয়েরা শিখিতেছে, তাহা তাহারা ভবিষ্যৎ অধিকতর স্বাধীনতার সংগ্রামে সফলতার সহিত প্রয়োগ করিতে পারিবে । তিনি আবার বলিলেন, কেহই অপরের জন্ত স্বাধীনতা অর্জন করিয়া দিতে পারে না। “যখন ভারতবর্ষ বিদেশীর জোয়ালমুক্ত হইবে, তখন ভূস্বামীদের এবং ধণিকদের জোয়ালও বাড়িয়া ফেলিতে পারিবে ।” মিঃ ক্লিভেন লিগিয়াছেন, গান্ধীজীর দলের কেহ কেহ যে প্রায়ই বলেন, ভারতবর্ষের নানা মন্দ অবস্থা গোড়ায় ব্রিটিশ-শাসনেরই ফল, তিনি সেই মত পোষণ করেন না দেখিয়া বিষয়টি আমার মনে লাগিল । তিনি মনে করেন, ইংরেজরা গোড়া রক্ষণশীল হিন্দু ও উদার সংস্কারপ্রিয় হিন্দুদের মধ্যে মতভেদ ও বিরোধ নিজেদের উদ্দেশুসিদ্ধির কাজে লাগাইয়াছে, এবং যখন তাহদের নিজের মতবাদসমূহ ( "theories" ) অনুসারেই তাহাদের উচিত ছিল উদার হিন্দুদের পক্ষে যুদ্ধ করা, তখন তাহারা নির্লিপ্ত ভাবে সরিয়া দাড়াইয়া ছিল । মন্দ বলিয়া স্বীকৃত ভারতবর্ষের নানা দশা দেশের সাধারণ অবস্থা হইতে উৎপন্ন, এবং কেবল বহুবৎসরব্যাপী চেষ্টার দ্বারা তৎসমুদ্বয়ের উচ্ছেদ হইতে পারে। তিনি আরও বলিলেন, কোন কোন অবস্থা যত গুরুতর মনে করা হয়, তত গুরুতর নহে। দৃষ্টান্ত-স্বরূপ, লিখনপঠনক্ষমদের সংখ্যা যে শতকরা খুব কম, সেই তথ্যটির উল্লেখ করিলেন। তিনি বলিলেন, আন্তান্ত দেশের মত ভারতবর্ষেও জ্ঞানবত্তা ও কেতাবী শিক্ষা সমর্থক নহে ; শিক্ষিত মূখ এবং অশিক্ষিত জ্ঞানী লোক সব দেশেই আছে। যন্ত্রপাতির প্রতি গান্ধীজীর মনের ভাব অনেকেই ভুল বুঝে ; এই জন্য তিনি উহা পরিষ্কার করিয়া বুঝাইবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। তিনি বলিলেন, “আমি কলের বিরোধী নই।” তাহার চরখাটি দেখাইয়া বলিলেন, “জাপনি রিপোর্ট করিতে পারেন, যে, আপনি আমাকে একটি কল ব্যবহার করিতে দেখিয়াছেন, এবং ইহা বেশ ভাল স্বন্দর ও সরল যন্ত্র । কল যত বড়ই হউক না কেন, তাহাতে কিছু আসে যায় না ; আমি কেবল চাই, যে, মানুষ কলটার প্রভু হুইবে, তাহার দাস হইবে না ; কলট মানুষের সেবা করিবে, মানুষ কলটার সেবা করিবে না । ভারতবর্ষে কলের বিরুদ্ধে আপত্তি এই, যে, এখানে যেমানুষগুলি কলটা চালায় তাহারা বস্তুতঃ দাসের মতই চালায় ।” ভারতবর্ষের স্বাধীনতা-সমস্তার আর একটা দিক্‌ সম্বন্ধে মন্তব্য প্রকাশ করিতে গান্ধীজী কোনই অনিচ্ছা দেখাইলেন না –তাহা হইতেছে, মুসলমান ও “অস্পৃশু”দের সম্বন্ধে আপত্তি। তিনি বলিলেন, যাহা তিনি অনেকবার বলিয়াছেন, “হিন্দুরা সবাইকে সম্পূর্ণ সাম্য ও ন্তায়বিচার দিতে চায়। সংখ্যানুনদের অপেক্ষ করিয়া দেখিতে ইচ্ছুক হওয়া উচিত। তখন যদি তাহারা অনুভব করে, যে তাঁহাদের কোন অভিযোগ আছে, তাহ হইলে তাহদের স্বশৃঙ্খলভাবে উহার নিম্পত্তি চাওয়া উচিত হইবে । কিন্তু কয়েক বৎসর হইল, ভ্রান্তভাবে যে পৃথক নিৰ্ব্বাচন রীতি প্রবর্তিত হইয়াছে, তাহ বজায় রাখিলে একটা দুঃসহ ও অচল অবস্থার স্বষ্টি হইবে।” পরলোকগত চারুচন্দ্র দাস গত ১৩ই পৌষ, মঙ্গলবার, পাটনার বিখ্যাত ব্যারিষ্টার চারুচন্দ্র দাস মহাশয়ের পরলোকগমনে পাটনার এবং পাটনার প্রবাসী বাঙালী সমাজের নিদারুণ ক্ষতি হইয়াছে । দাস মহাশয় সৰ্ব্বপ্রকার জনহিতকর অম্বষ্ঠানে অন্ততম নেতা ছিলেন, এবং পাটনার প্রবাসী বাঙালী সমাজের সাহিত্যিক ও অন্তান্ত সামাজিক প্রতিষ্ঠানের স্তম্ভস্বরূপ ছিলেন। পাটনার রবীন্দ্রজয়ন্তী ও সেই সম্পর্কে "নটীর পূজা’র অভিনয় তাহার বিস্তুৰী পত্নী ও র্তাহার কলাকুশলী কস্তাগণের চেষ্টায় সফলতা লাভ করিয়াছিল। সহজ সরলতা, উদারতা, সৌজন্ত, বদান্ততা ও দেশপ্রীতি প্রভৃতি সদগুণে তিনি পাটনার সকলেরই হৃদয় জয় করিয়াছিলেন। ॐiशब्र शृंश्चांब्र चांडवंब्रशैन नब्रिजजटनब्र निभिख गर्विना