পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ—ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রসংঘীয় ব্যবস্থাপক সঙ্গ ዓ8æ তোমাদের মীমাংসা ও মন এক হউক। তোমাদের অধ্যবসায় এক इटैंक, शनम्न 4क ह®क । cठांबांप्प्रब्र बन 4बन गमॉन हÜक, यांशंष्ठ ८एडक्षitषा विजत्र ध्रुकाब एन् ॥" ইংরেজরা তাঁহাদের সাংসারিক স্বার্থসিদ্ধির জন্ত ঠিক যেন ঋগ বেদের এই মহৎ উপদেশের অনুসরণ করিতেছে— "একসঙ্গে গমনকারী বণিকের দল" হইতেছে। অন্য দিকে আমরা বাইবেলের আদি পুস্তকের একাদশ অধ্যায়ে বর্ণিত বাবেল শুপকে আদর্শ জ্ঞানে নানা জনে নানা কথা কহিতেছি ; কেহ কাহারও কথা শুনিতেছি না, বুঝিতেছি না ; বুঝিবার চেষ্টাও করিতেছি না। পিকেটিঙের জন্য বেত মারা বোম্বাইয়ের প্রধান প্রেসিডেন্সী ম্যাজিষ্ট্রেট মিঃ দস্তুর পিকেটিঙের "অপরাধে” একটি চৌদ্দ বৎসরের ছেলেকে নিজের আদালতেই তাহার পশ্চাদেশ বিবন্ধ করাইয়৷ বেত্ৰাঘাত করাইয়াছেন। মাম্রাজেও কোথাও কোথাও কয়েকটি বালককে এইরূপ বৰ্ব্বরোচিত দণ্ড দেওয়া হইয়াছে। . যাহারা খুব পাশব বা দুনীতিকলুষিত অপরাধ করে, এরূপ লোকদিগকেও বেত্ৰাঘাত দগু দেওয়া উচিত নয়, এই মত সভ্য দেশসকলে গৃহীত হইতেছে ; কারণ এরূপ শাস্তিতে মানুষ না-মুধরাইয়া পশুপ্রকৃতি হয়। এদেশে কিন্তু যাহা মাসখানেক আগে অপরাধ ছিল না, আবার কিছু দিন পরেই অপরাধ থাকিবে না, সেই পিকেটিং কাজের জন্ত বেত্ৰাঘাত দণ্ড হুইল । * “সার্থবাহ অগ্রসর হইতেছে” ভারতবর্ষ হইতে এপৰ্যন্ত প্রায় পঞ্চাশ কোটি টাকার সোনা বিলাতে রপ্তানী হইয়াছে। ইহাতে ইংলণ্ডের স্থবিধা হইতেছে। বর্তমান ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে ইংলণ্ড ফ্রান্সের ও আমেরিকার তিন কোটি পাউও অর্থাৎ মোটামুটি ৪০ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করিয়াছেন। বিলাতী নিউষ্টেটসম্যান কাগজলিখিয়াছেন,ভারতবর্ষ হইতে ইংলণ্ডে সোনা রপ্তানী না হইলে এই ঋণ পরিশোধ করা বাইত না। ব্রিটিশ রাজস্বসচিব পালেমেণ্টে বলিয়াছেন, যে, আগামী আগষ্ট মাসে যে আরও আট কোটি পাউণ্ড ফ্ৰান্স ও আমেরিকাকে দিতে হইবে তাহার বন্দোবস্ত করা হুইবে । কিন্তু নিউ ষ্টেটসম্যান লিখিয়াছেন, “Bnt the return of eighty millions will cause us a good deal of trouble, unless gold continues to come from India on an increasing scale.” “কিন্তু যদি ভারতবর্ষ হইতে ক্রমশ অধিক হইতে অধিকতর পরিমাণে সোণ৷ ন-আসিতে থাকে, তাহা হইলে এই জাট কোটি টাকা শোধ করিতে জামাদিগকে বেগ পাইতে হইবে।” ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রসংঘীয় ব্যবস্থাপক সভা এইরূপ প্রস্তাব হইয়াছে যে,ভারতবর্ষেরদেশী রাজ্যসমূহ এবং ব্রিটিশ-শাসিত প্রদেশগুলিকে এক মূল শাসনবিধি অনুসারে একটি রাষ্ট্রসংঘে পরিণত করিয়া তাহার জন্ত একটি ফেডার্যাল বা রাষ্ট্রসংঘীয় ব্যবস্থাপক সভা প্রতিষ্ঠিত করিতে হইবে। গোল টেবিল বৈঠকের ফেডার্যাল ষ্ট্রাকৃচ্যার কমিটি বা রাষ্ট্রসংঘগঠন কমিটি স্বপারিশ করিয়াছেন, যে, এই ব্যবস্থাপক সভার উপরিতন কক্ষের সভ্য-সংখ্যা ২০০ এবং নিম্ন কক্ষের সভ্য-সংখ্যা ৩০ • হইবে। কমিটি আরও স্বপারিশ করিয়াছেন, ষে, উপরিতন কক্ষের শতকরা ৪০ জন সভ্য অর্থাৎ মোট ৮০ জন সভ্য এবং নিয় কক্ষের এক-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ মোট ১০০ জন সভ্য দেশী রাজ্যসমূহের প্রতিনিধি হইবেন। দেশী রাজ্যসমূহকে এত বেশী প্রতিনিধি দেওয়া ন্যায়সঙ্গত ও যুক্তিসঙ্গত নহে। ব্রিটিশ-শাসিত ভারতের ও দেশীয় রাজ্যসমূহের লোক-সংখ্যা তুলনা করিয়া দেখিলে ইহা স্পষ্ট বুঝা যাইবে। ব্ৰহ্মদেশকে যে ভারত-সাম্রাজ্য হইতে আলাদা করা হইবে, রাষ্ট্রীয় সংঘগঠন কমিটি তাহা ধরিয়া লইয়া তাছাদের হিসাব কষিয়াছেন। আমরাও তাঁহাই করিৰ। ব্রিটিশশাসিত সমুদ্রয় ভারতীয় প্রদেশগুলির লোকসংখ্যা ২৫,৭০,৮৩,৬৯৪ । দেশীয় রাজ্যগুলির লোকসংখ্যা ৮,১২,৩৭,৫৬৪ । সমগ্রভারতের লোকসংখ্যা ৩৩,৮৩,২১,২৫৮ । তাহা হইলে দেখা যাইতেছে, দেশী রাজ্যসমূহে । সমগ্র-ভারতের সিকির কিছু কম লোক বাস করে।