পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓፃ• প্রবাসী—চৈত্র, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ২য় খণ্ড গুজিবার এই ঠাইটুকু এগারশো টাকায় বাধা পড়িয়াছে। কত মাস কত বছর ধরিয়া স্বামীর অল্প আয়ের অধিকাংশ গ্রাস করিয়া এ বাড়ি মুক্ত হইবে কে জানে। কেমন করিয়া সংসার চলিবে, পাচ ছয় বছর পরেই বিন্দুর বিবাহ দিতে হইবে, তখন কি উপায় হইবে এ সব ভাবিলেও মাথা ঘুরিয়া যাওয়ার কথা, মা কিন্তু এখন ও-সব কিছুই ভাবিতেছিলেন না। ভাবিবার সময় অনেক জুটিবে, মেয়ে যে আজ তাহার মহা সমারোহে পর হইয়া যাইতেছে! ইন্দু আস্তে আস্তে জিজ্ঞাসা করিল, “হ্যা মা, থোকার ঘুম ভাঙেনি ? ‘জানিনে । ওর দিকে তাকাবারও সময় পেয়েছি কি সকাল থেকে ? সময় মত ওষুদও আজ বোধ হয় थो७ब्रोहन झुम्ननि !' ইন্দু বলিল, “আমি খাইয়েছি ওষুদ। বিকালে ডাক্তার বাবুকে আর একবার আনিয়ো মা। দেখে আসি খোকাকে একবার—” ওদিকের ছোট ঘরটিতে পাচ ছয় বছরের একটি ছেলে গুইয়াছিল, সাত আটদিন ক্রমাগত জরে ভুগিয়া ছেলেটি জীণশীর্ণ হইয়া পড়িয়াছে। সাত মাইল দূরের গ্রাম হইতে ডাক্তারকে বার দুই আনা হইয়াছিল, জরটা তিনি ঠিক ধরিতে পারেন নাই, কিন্তু দুইচার দিনের মধ্যে কমিয়া যাইবে বলিয়া খুব জোরালো আশ্বাস ও বাবালে৷ ওষুদ্ৰ দিয়াছেন। খোকা জাগিয়া চুপ করিয়া শুইয়াছিল, মাকে দেখিয়া কাদিতে আরম্ভ করিয়া দিল । তাহার ক্ষুধা পাইয়াছে, সে সন্দেশ খাইবে। মা বুঝাইয়া বলিলেন, ‘আজ দিদি চলে যাবে, আজকেই তুই সন্দেশ খাবি খোকা ? দিদিকে তুই ভাল বালিনে বুঝি ? তুই ༢༑་། ত ইক্ষু—খুব কাদিস পাঙ্কীতে উঠে।” | - খোকা সভয়েকার খামাইয়া বলিল, “আমি দিদির সঙ্গে যাবে।" | বাস। আ{ তবে বালি খা। বালি না খেলে ििन गएक cन८द (। निर्वि हेन्दू !' ইক্ষু কাল্প চাtি , "না"। মা বালি জানিতে চলিয়া গেলেন। এ ঘরখানা খুবই ছোট, পুরোনো চাচের বেড়া, বিবর্ণ টিনের চাল। এককোণে এক বোঝা পাকাটি ঠেস দিয়া রাখা হইয়াছিল কখন কাৎ হুইয়া পড়িয়াছে, বাশের তৈরি চৌকীর তলে সারি সারি গুড়ের ছাড়ি সাজানো। দরজার বাহিরেই বাড়ির কিষাণ গরুর জন্ত বিচালী কাটে, ঘরের মধ্যে খড়ের টুকরা উড়িয়া আসিয়া পড়িয়াছে। এই ঘরেই খোকা জন্সিয়াছিল। ইন্দুর সহসা সে কথা মনে পড়িয়া গেল। তাহার আকস্মিক ও অপরিমিত আশঙ্কার মধ্যে যুক্তির সম্পূর্ণ তিরোভাব ঘটিল। মনে হইল, বিবাহের গোলমালে রোগা ছেলেটাকে ষে এ ঘরে সরাইয়া আনা হইয়াছে তাহাতে বোধ হয় নিয়তির হাত ছিল, ফলটা হয়ত ইহার শুভ হইবে না। - মনে মনে ইন্দু ভয় পাইল। কয়েক সেকেণ্ডের কল্পনায় সে যেন ভয়ঙ্কর একটা দুঃস্বপ্ন দেখিয়া ফেলিয়াছে। কুলুঙ্গিতে তিন চারিট ওষুদের শিশি, চোখ তুলিয়া ইন্দু সেগুলি ভাল করিয়া নিরীক্ষণ করিল, উপরের তাকে থোকার ময়লা রবারের বলটা কে যেন তুলিয়া রাখিয়াছে। ভগবানের বুড়োটে খেয়ালের ঠিক উপরেই খোকার ছেলেখেলা । “তোর বলটা তাকে কে তুলে রাখলে রে খোকা ? গদাইদা রাখিয়াছে। খেলিতে খেলিতে খোকার হাত যখন ব্যথা হইয়া গেল, গদাইদা তখন বলটা তুলিয়া রাখিল –‘শুয়ে শুয়ে বল খেলা বিচ্ছিরি, না দিদি ? "স্থ্যা। আচ্ছা খোক, বল খেলতে তুই খুব ভালবাসিস ?” বল খেলিতে ভালবাসে না! বাসেই ত ! "াড়া তবে, আসবার সময় পোড়াবাড়ি ঘাটের সেই মনোহারি দোকান থেকে তোর জন্তে ছুটে বল কিনে ? জানব, তেমন বল তুই কখনও দেখিসনি খোক, ' তোর এটা-তে ছোট্ট, সেগুলি এর ঠিক ঘনে হবে,— দেখিস। আর সাদা যেন ধপ, ধপ, করছে। ভাল হয়ে এক সঙ্গে তিনটে বল নিয়ে মজা ক’রে খেলবি, , কেমন ? - একটু উৎত্বক উদগ্রীব স্বরেই ইন্দু কথাগুলি বলিল, বলের বর্ণনা শুনিয়া খোকার লুদ্ধতা চরমে উঠিয়া বাইবে