পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓዓbo এ ছন্দেরই যুক্তরূপেরও একটি দৃষ্টান্ত দিচ্ছি— ছিল বা প্রদীপ্ত রূপে ॥ নানা ছন্দে | বিচিত্ৰ চঞ্চল আজ অঙ্ক ] তরঙ্গের ॥ কম্পনে হানিছে | শুদ্ধভল। —সমুদ্র, পুৱৰী, রবীন্দ্রনাৰ এখানে প্রথম পংক্তিটা এ ছন্দের আসল যুক্তরূপ এবং এটিই দ্বিতীয় প্রকার যুক্তরূপের চেয়ে ভাল শোনায়। এ ছন্দের দ্বিতীয় পদের চার-ছয় রূপটিই ছয়-চার রূপের চেয়ে অধিকতর শ্রুতিমধুর। একথা বলা অনাবশ্বক যে এই ছোট বা বড়ো পয়ারকে যখন প্রবহমান (enjambed) আকারে রচনা করা যায় তখন এর মধ্যে ঈষৎ, অৰ্দ্ধ বা পূর্ণ যতি স্থাপনের বহু বৈচিত্রা ঘটে এবং ফলে পংক্তির অস্তরের গঠনের মধ্যেও নানা প্রকারভেদ দেখা দেয়। কিন্তু তথাপি ওই প্রবহমান অবস্থায়ও পূৰ্ব্বোক্ত বিশ্লেষণপ্রণালীগুলিই অধিকাংশ স্থলে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। রবীন্দ্রনাথের ‘বসুন্ধরা" ( সোনার তরী ) প্রভৃতি চোদ ব্যষ্টির স-মিল প্রবহমান ( enjambed ) পয়ার, এবার ফিরাও মোরে” (চিত্র ) প্রভৃতি আঠারো ব্যষ্টির স-মিল প্রবহমান পয়ার, চিত্রাঙ্গদা প্রভৃতি নাট্য কাব্যের চোদ্দ ব্যষ্টির অ-মিল প্রবহমান পয়ার, "ছবি" ও "শা-জাহান" (বলাকা ) প্রভৃতি স-মিল মুক্তক, এবং নিফল কামনা' ( মানসী ) নামক অ-মিল মুক্তক ইত্যাদি কবিতার রচনা-পদ্ধতির প্রতি লক্ষ্য করলেই একথার সত্যতা প্রতিপন্ন হবে । আঠারো ব্যষ্টির অ-মিল প্রবহমান পয়ার এবং অ-মিল মুক্তকের দৃষ্টাস্তস্বরূপ বুদ্ধদেবের কোনো বন্ধুর প্রতি’ ও ‘শাপভ্রষ্ট ( বন্দীর বন্দনা ) প্রভৃতি কবিতার উল্লেখ করা যায়। ( ૨ ) যৌগিক অর্থ ‘অক্ষরবৃত্ত ছন্দে পর্কের বিযুক্ত রূপের চেয়ে যুক্তরূপের বহারই বেশি। এ ছন্দের ধ্বনির গাম্ভীৰ্য্য, ধারবিলম্বিত গত্বিকম এবং গুরুগম্ভীর বিষয়ের বাহন হবার উপযোগিতা, এতিনটি বিশেষ গুণের প্রধান কারণই হচ্ছে Fরুপ । যদি এ ছন্দকে লঘু ভাবের বাহন হয় তবে পৰ্ব্বগুলির যুক্তরূপের পরিবর্তে বিযুক্তরূপের বা হারের দ্বারা এর ধ্বনিটাকে লঘু এবং গতিটাকে স্ক্রত ಇಸ್ಟ. <थ८ब्रांछन झग्न । ब्रवैौवनांथं প্রবাসী-চৈত্র, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ২য় খণ্ড এ কথাটিকেই অন্তভাবে প্রকাশ করেছেন। “আট মাত্রাকে দুখানা করিয়া চার মাত্রায় ভাগ করা চলে, কিন্তু সেটাতে পয়ারের চাল খাটো হয়। বস্তুত লম্ব নিশ্বাসের মন্দগতি চালেই পয়ারের পদমৰ্য্যাদা” (সবুজপত্র-১৩২১, শ্রাবণ, পৃঃ ২২৮)। ভাবটা লঘু না হ’লেও এ ছন্দে বিযুক্ত পর্কের ব্যবহার চলে ; কিন্তু নিরবচ্ছিন্ন ভাবে শুধু বিযুক্তপর্কের ব্যবহারে এ ছন্দের চাল খাটো হয়, সে কথা অস্বীকার করা যায় না। পূৰ্ব্বোদ্ধত “স্বরাজনা নন্দনের" ইত্যাদি পংক্তিগুলির প্রতি মনোযোগ দিলেই একথার সার্থকতা বোঝা যাবে । যৌগিক ছন্দে বিযুক্ত পর্বের চেয়ে যুক্তপর্কের ব্যবহারই বেশি বটে ; কিন্তু চতুঃস্বর স্বরবৃত্ত এবং চতুমৰ্পত্রিক মাত্রাবৃত্ত ছন্দে অর্থাৎ স্বরবৃত্ত পয়ার এবং মাত্রিক পয়ারে যুক্তপর্বের চেয়ে বিযুক্ত পর্বেরই ব্যবহার বেশি। চতুঃস্বর এবং চতুমৰ্পত্রিক ছন্দে যুক্তপর্কের চাল অর্থাৎ "লম্বানিশ্বাসের মন্দগতি চালটো বেশি খাপ খায় না। এ জন্তেই এ দুটি ছন্দকে যৌগিক ছন্দের মত খুব গুরু-গম্ভীর চালের উপযোগ করা যায় না। এ কথা মাত্রাবৃত্তের চেয়েও স্বরবৃত্তের পক্ষে বেশি খাটে। স্বরবৃত্ত ছন্দের প্রবণতাই হচ্ছে চার-চার স্বরের পরে ঈষদ-ধতিকে আশ্রয় করে পর্বে পর্বে বিভক্ত হ’য়ে পড়ার প্রতি ; যুক্ত পর্কের চালে এ ছন্দের ধ্বনি যেন পীড়িত হয়। দৃষ্টাস্ত— कब्र cत्र हडॐ षब्रांब्र রুপের পুজা | প্রবর্তন— कठ जुन उदांब्र ! कलtव अर्जीक ॥ नर्ब्रीब्र ब्रप्शंद्र ! श्रव-नांदन ? -कदब्र-३-जूद्रजांशन, जब-चांदौब्र, गप्छावनांथ বলা বাহুল্য এটি চতুঃশ্বর চৌপর্বিক ছন্দ। এখানে প্রথম পংক্তির প্রথম পদটি ছাড়া অন্ত সৰ্ব্বত্রই পৰ্ব্ব-বিভাগ অতি স্বম্পষ্ট। কিন্তু ওই প্রথম পদটিতে হতন্ত্র" শব্দের হ-য়ের পরে ঈষদু-ধতি অর্থাৎ পৰ্ব্ববিভাগের ছেদ থাকার কথা । যৌগিক ছন্দে এমন অবস্থায় ও-জায়গায় ঈষদ-যতিটি বিলুপ্ত হয়ে যুক্ত পর্বের স্বষ্টি হয় এবং তাতেই ও ছন্দের বৈশিষ্টা ও পদমৰ্য্যাদা, কেন না ; তাতেই ধ্বনিগাষ্ঠীর্ব্যের সঙ্গে সঙ্গে ভাবও অব্যাহত থাকে। কিন্তু স্বরবৃত্ত ছন্দে ওই জায়গায় ঈষদ-বতি ও পৰ্ব্ববিভাগের ব্যবস্থা না করলে ধ্বনি পীড়িত হয় ; আবার ওখানে পৰ্ব্ব