পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳԵ-8 প্রবাসী-চৈত্র, ১৩৩৮ ७sं खॉं, २द्म १७ বৃদ্ধ স্থির হইল। নূতন ভিক্ষুক তাহাকে দেখিয়াই জাপন মনে বকিতে আরম্ভ করিল, “পাটলিপুত্র বলে রাজধানী, এর নাম নাকি মহানগর—ঝাড়ু মারি এমন মহানগরের মুখে । তিন প্রহর বেলা হ’ল, এখনও একমুঠো ভিক্ষে পেলাম না । ঘাটে একখানা নৌকা নেই যে পার হয়ে চলে যাব।” কুষ্ঠব্যাধিগ্রস্ত ভিক্ষুক তখন বৃদ্ধ সন্ন্যাসীর কাছে আসিয়া পড়িয়াছে, বুদ্ধ তাহাকে অস্পষ্ট স্বরে জিজ্ঞাসা করিল, “শোণের আর গঙ্গার ঘাটিতে কি সেনা আছে ?” “রুচিপতি সেই মানুষ ? সেনা যথেষ্টই আছে, কিন্তু মগধের লোক একজনও নেই, সব নেপালের ।” তখন দূরে স্নিগ্ধমধুর কণ্ঠে হরিনাম কীৰ্ত্তন করিতে করিতে এক ভিখারিণী আসিল । তাহার কণ্ঠস্বর শুনিয়া বৃদ্ধ জিজ্ঞাসা করিল, “কে, হরিমতি না ?” ভিখারিণী নিকটে জাসিয়া ভালবৃক্ষতলে বসিয়া পড়িল এবং নূতন গৈরিক বসনের অঞ্চলে মুখ মুছিয়া বলিল, “কি রামরাজ্যি বাবা ! পথে বেরিয়ে অবধি একটা লোক গান শুনতে চাইলে না, মুখে আগুন, মুখে আগুন ! একখানা নৌকা পাওয়া গিয়েছে, কিন্তু সন্ধ্যার আগে খোলা হবে না, তাহলেই ধরে ফেলবে।” 贾 “হর, হর, বম্বমূ—আদেশ " বৃদ্ধ সন্ন্যাসী অস্ফুটম্বরে কছিল, “নৌকা শোণতীর থেকে ছেড়ে একেবারে গঙ্গাতীরে প্রমোদ-উদ্যানের ঘাটে আসবে। শোণের পারে তাল বৃক্ষের উপর রক্ত পতাকা উঠলে জানবে মহারাজ এসেছেন।” যথাযোগ্য ভাষায় পাটলিপুত্রের নাগরিকদের কৃপণতা ও ধৰ্ম্মান্থরাগের অভাব বর্ণনা করিতে করিতে ভিক্ষু, ভিখারিণী ও সন্ন্যাসী নানাদিক চলিয়া গেল । তৃতীয় পরিচ্ছেদ শোণ ও গ্যার সঙ্গমস্থলে গুপ্তরাজবংশের বিস্তৃত প্রমোদ-উদ্যান। | এখন তাহার চিহ্নমাত্রও নাই, কিন্তু সাৰ্ধ সহস্ৰ বৎসর পূর্ব শোণের দুই-তিনটি শাখা এই ক্রোশব্যাপী বিস্তীর্ণ উপস্থানের মধ্যে পড়িয়া কৃত্রিম হ্রদে পরিণত इहेबांश्लि ।। ७४-Āबांरकाद्र थांब्रख श्रेष्ठ uरे दिनोण উদ্যানের প্রত্যেক প্রাhশৰ্শৰে সৰ্ব্বদা সশস্ত্র প্রহরী উপস্থিত থাকিত। মহাপ্ৰতীহার হরিষেণ পাটলিপুত্রের নগরাধ্যক্ষের পদ পরিত্যাগ করিলেও রাজপ্রাসাদ ও রাজোদ্যান রক্ষার নিয়মের কোনো ব্যতিক্রম হয় নাই । যেদিন দ্বিপ্রহরে ভিক্ষুক, ভিখারিণী ও সন্ন্যাসিগণ যুবরাজ চন্দ্রগুপ্তের পাটলিপুত্র প্রত্যাবর্তনের আশা করিতেছিল, সেই দিন সন্ধ্যার সামান্ত পূৰ্ব্বে একজন পদাতিক সেনা রাজোদানের হ্রদতীরে কৃষ্ণপ্রস্তরনিৰ্ম্মিত এক স্বখাসনের উপর বসিয়া একাকী উচ্চৈঃস্বরে বক্তৃতা করিতেছিল। তাহার অঙ্গে তখনও বর্ণ আছে, কিন্তু অসি চৰ্ম্ম ও শূল ভূমিতে নিক্ষিপ্ত। সৈনিক উদ্যানরক্ষার জন্ত প্রেরিত হইয়াছিল, কিন্তু রাজপ্রসাদের প্রভাবে সে তখন সম্রাট রামগুপ্তের সমতুল হইয়া উঠিয়াছিল। সে আপন মনে বলিতেছিল, “এত মদ যে খেয়েই উঠতে পারি না, এমন না হ’লে রামরাজ্য ? ধন্ত রাজা, পুণ্য দেশ । রাজা রামগুপ্ত অার অযোধ্যার রামচন্দ্র সমান । লোকে বলে সমুদ্রগুপ্ত বড় রাজা ছিলেন, কিন্তু আমি ত দেখছি রাজা বলতে রামগুপ্ত, আর মন্ত্রী বলতে রুচিপতি । চাকরবাকরের মদ কিনে খেতে হয় না। রাজপ্রাসাদের মদই ফুরোয় না, ত চাট খাব কখন ?" সৈনিক শোণের দিকে মুখ ফিরাইয়া রামগুপ্তের মদ্যপ্রশস্তি গাহিতেছিল, সেই অবসরে একজন বৰ্মাবৃত পুরুষ উপবনের বনানীর অন্তরালে আশ্রয় লইয়া প্রমোদ-উদ্যানের ভিতর প্রবেশ করিতেছিল । সৈনিক তাহাকে দেখিতে পাইল না । সে ব্যক্তি তখন নিশ্চিন্ত হইয়া বনানীর আশ্রয় ছাড়িয়া প্রমোদ-উদ্যানের প্রকাগু পখে আসিল । সে ধখন পা টিপিয়া সৈনিকের পশ্চাতে আলিয়া দাড়াইল, তখনও মাতালের চেতনা হইল না। মুহূপ্তের মধ্যে সে সৈনিককে ফেলিয়া দিয়া তাহার মুখ বাধিয়া ফেলিল। তীব্র রাজপ্ৰসাদের প্রভাবে সৈনিক কোনো আপত্তি না করিয়া নাসিকাগর্জন করিতে আরম্ভ করিল। আগন্তুক তখন বর্ণের উপর প্রতীহারের পরিচ্ছদ পরিধান করিয়া প্রতীহারকে লতাগুন্মের মধ্যে টানিয়া ফেলিয়া দিল। নিজে মৃৎকলস হইতে এক পাত্র তীব্র স্বরা পান করিয়া কৃষ্ণমর্শ্বরের বেদীর উপর গুইয়া পড়িল । जग्नक५ अरब्रहे निबधांश्नांदब्र ७कचन cतौक्रिक