পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ]


> *******----------- *---------------------

থেকে মগধের লোকের কাছে তুমি দেবতা—ছায়ার মত সহস্ৰ সহস্ৰ নাগরিক তোমার অনুসরণ করেছে । कठ् । नव जानेि-नव बूक्-िछबनां★, cडांभब्रा cय বুঝেও বুঝছ না ? তোমরা কি বলতে চাও, যে চন্দ্রগুপ্ত রাজ্যের লোভে তার হৃৎপিণ্ডটা উপড়ে জাহ্নবীর জলে ফেলে দিয়ে—পাষাণের প্রতিমা হয়ে—ঐ আৰ্য্যপটে বসে থাকবে ? তা হবে না—ত পারব না—আমার ধ্রুবা অসহায়া হয়ে পথে দাড়াবে না। বিশ্ব । পুত্র, ধ্রুবদেবী যে অন্যপূর্ব ! চন্দ্র । আচাৰ্য্য, এই কি আর্য্যের শাস্ত্র ? মহানায়ক রুদ্রধর ধ্রুবদেবীকে কার হস্তে পূৰ্ব্বে নিক্ষেপ করেছিলেন ? বিশ্ব । না—না—না। ধ্রুব অন্তপূৰ্ব্ব নয়—বাগদত্তা ! চন্দ্র। সমস্ত পাটলিপুত্র নগরকে জিজ্ঞাসা কর গুরুদেব—রুদ্রধরের কঙ্কা কাকে বাক্যদান করেছিল ? নগরশ্রেষ্ঠ জয়নাগ ? জয় । মহারাজ চন্দ্রগুপ্তকে । চন্দ্র। নটীমুখ্য মাধবসেনা ? মাধব । আপনাকে, প্রভু। চন্দ্র ৷ তাত রবিগুপ্ত ? রবি । তোমাকে পুত্র। চন্দ্র । মাতা ? - দত্ত। তোমাকে পুত্র । চন্দ্র। পৌরসঙ্ঘের কি মত, ইন্দ্ৰদ্যুতি ? ইন্দ্র । আপনাকে মহারাজ। চন্দ্র। ধর-বংশের নেতা, মহানায়ক জগদ্ধর, তোমার ভগিনীর বাকাদান সম্বন্ধে তুমি কি বল ? জগ। চন্দ্র, এই জনসঙ্ঘের সুখে পিতার পাপের কথা পুত্রের মুখে ব্যক্ত করাবে কেন ? চন্দ্র। জগৎ, আজ এই বিশাল জনসঙ্ঘের সমুখে ধর-বংশের নেতার মত কি আবশ্যক নহে ? জগ। তবে শোন, দেবতা ব্রাহ্মণ ও তিনজন নাগরিক সাক্ষী রেখে আমার পিতা মহানায়ক রুদ্রধর আমার ভগিনী ধ্রুবদেবীকে চন্দ্রগুপ্তের করে সমর্পণ করবেন ব’লে প্রতিশ্রত হয়েছিলেন। চন্দ্র । আচাৰ্য্য, তবে কি দোষে কোন পাপে কোন اساسنامه هم ধ্রুবা ԳԵ-ծ


'os- or--- - - محممہمہ سہی۔


تماعت ---------

শাস্ত্র অনুসারে এব৷ অষ্ঠে বাগদত্ত, যার জন্য সে সাম্রাজ্যের পট্টমহাদেবী হবার অযোগ্য ? তোমার ঐ চরণতলে অধীত শাস্ত্র নিবেদন করছি। কুলাচার বা দেশাচার মতে অনাঘ্ৰাত কুষম যদি দেবপূজার যোগ্য না হয় তাহ’লেও সে কুক্ষম কীটদষ্ট—পত্র নয়। দেশাচার মতে অন্ত রাজা নিৰ্ব্বাচন কর-দেবতা সাক্ষী ক’রে সমাজের সম্মুথে যেধ্রুবাকে মহানায়ক রুদ্রধর আমাকে সম্প্রদান করবেন ব’লে প্রতিশ্রুত হয়েছিলেন সে ধ্রুব। আমার ধৰ্ম্মপত্নী । সিংহাসনের লোভে সে-ধ্রুবকে আমি পরিত্যাগ করতে পারি না । যে-সিংহাসন আমার স্ত্রীকে চায় না, সে সিংহাসন আমার নয়। ভয় পেও না আচাৰ্য্য—যদি দেশাচার-বিরুদ্ধ কাৰ্য্য করি—মগধে করব না−দূর বনাস্তে চলে যাব ; তবু ধ্রুবকে পরিত্যাগ করতে পারব না । সহসা মস্তকের অবগুণ্ঠন ফেলিয়া দিয়া দত্তদেবী বলিয়া উঠিলেন, “করিস নি—চলে যা—সেখানে প্রতি পদে প্রাণে বাথ পাবি ন—সেখানে মাহ্য পাটলিপুত্রের নাগরিকদের মত হিংস্ৰ জন্তু নয়—সেইখানে চলে যা--আর আমি বাধা দেব না ।” তখন পট্টমহাদেবী দত্তদেবীর মুখ দেগিয়া ত্ৰস্ত স্বাদশ প্রধান তাহার সম্মুখে জাতু পাতিয়া বসিল, তাহাদের মধ্যে বৃদ্ধ দেবগুপ্ত বলিল, “রক্ষা কর মা,–ছয়ারে প্রবল শক্ৰ, কেবল তোমার পুত্রের ভয়ে মাথা নত করে আছে। এমন সময়ে চন্দ্রগুপ্ত মগধ পরিত্যাগ করে গেলে মগধের সর্বনাশ হবে।” সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বরূপ শৰ্ম্ম বলিয়া উঠিলেন, “রক্ষণ কর মা, এই ভীষণ রোষানলে তুমি আর স্বতাহুতি দিও न ।” - দত্ত। সে কথা মগধের নরনারী বুকুক। আমি আজি ভুল ক’রে প্রাসাদে এসেছিলাম। বিদা আচাৰ্য্য, পাটলিপুত্রের প্রাসাদে দত্তদেবীর আর স্থান নাই। চন্দ্র । চল ধ্রুবা, আৰ্য্যপটের লেী এখানে দাড়িয়ে থেকে লাভ কি ? - বৃদ্ধ জয়নাগ পাগলের মত চন্দ্রগুপ্তকে জড়াইয়া ধরিয়া বলিয়া উঠিল, “ওরে ইন্দ্ৰদ্যুতি-দুটে যা, ੋ যা—নগরে প্রচার করে দে যে, মহারাজ চিরদিনের মত মগধ পরিত্যাগ করে যাচ্ছেন।” ইন্দ্ৰদ্যুতি ও o ছুটিয়া পলাইল ।