পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] বাক্য-হারা Գծծ বৃদ্ধ জয়নাগ হুঙ্কার করিয়া বলিয়া উঠিলেন, “সে ভার পৌরসজ্যের ।” রুচিপতি বালকের মত চীংকার করিয়া কাদিতে আরম্ভ করিল। মহাপুরোহিত নারায়ণ শৰ্ম্ম৷ স্বাদশ প্রধানের সম্মুখে অগ্রসর হইয়া কহিলেন, “অল্পমতি করুন, আমি রাজঘাতক ও কন্যা সম্বন্ধে নাগরিকগণকে পরীক্ষা করি ।” দেব ! করুন । নাগরিক। পৌরসভা, রুচিপতির আদেশে দুষ্টের এই কন্যাকে রামগুপ্তের প্রমোদ-উদ্যানে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। এই কন্যা কি ব্যভিচারিণী ? ইন্দ্র । না ঠাকুর, আমরা জানি কন্যা পবিত্র। বিশ্ব । এই বিশাল জনসঙ্ঘের মধ্যে কে এ লাঞ্ছিত৷ কন্যাকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত আছ ? চন্দ্র। পৌরসঙ্ঘ, নীরব কেন ? দত্ত। কি বিচার করলে পৌরসভা ! পাটলিপুত্রে কি আর পুরুষ নাই ? জগদ্ধর । মহারাজ আদেশ কর—ম, অনুমতি দাও, আমি, জাপীলীয় মহানায়ক রুদ্রধরের পুত্র—মহানায়ক জগদ্ধর এই অজ্ঞাতনামা নাগরিকের কন্যাকে ধৰ্ম্মপত্নীরূপে গ্রহণ করলুম। সমস্ত পাটলিপুত্রের নিমন্ত্রণ, যদি সকলে এই কন্যার স্পৃষ্ট অল্প গ্রহণ করে তবেই পাটলিপুত্রে বাস করব । রবিগুপ্ত । জগদ্ধর, এ কন্যা আমি সম্প্রদান করব । রবি । এসম, আমি তোমাকে সম্প্রদান করি । রবিগুপ্ত কন্যার হস্ত গ্রহণ করিয়া জগদ্ধরের হস্তে সম্প্রদান করিলেন । তখন জয়ম্বামিনী পাষাণ পুত্তলিকার মত আৰ্যাপটে উঠিয়া কম্পিতকণ্ঠে কহিলেন, “মহানায়কবগ, আমি রামগুপ্তের মা-আমার সনিৰ্ব্বন্ধ অঙ্গুরোধ আমার পুত্রঘাতীকে মুক্ত করে দাও।” আবার ভীষণ জয়ধ্বনিতে পাষাণ-নিৰ্ম্মিত সভামণ্ডপ কম্পিত হইয়া উঠিল । বৃদ্ধ দেবগুপ্ত নিজে আসন পরিত্যাগ করিয়৷ নাগরিকের বন্ধনমোচন করিলেন । জয়নাগ তখন রুচিপতিকে দ্বাদশ প্রধানের সম্মুখে আনিয়া বলিয়া উঠিল, “স্বাদশপ্রধান, অতি প্রাচীন পাটলিপুত্রের প্রাচীনতম রীতি অনুসারে রুচিপতির মত অপরাধীর বিচার কেবল নগরমগুলেই সম্ভব। মহানায়ক রুদ্রধরের গৃহ হ'তে সামান্ত কৃষক-গৃহ পৰ্য্যন্ত রুচিপতির অত্যাচারে মাতা স্ত্রী ও কন্যার অশ্রু ও রক্তে প্লাবিত হয়েছে।” দ্বাদশ প্রধান সমস্বরে বলিয়া উঠিলেন, “নিয়ে যাও, যথাবিহিত দগুদান কর।” বিংশতি জন নাগরিক রুচিপতিকে উঠাইয়া লইয়া গেল। তখন মহারাজ চন্দ্রগুপ্ত ধ্রুবদেবীর হাত ধরিয়া বলিলেন, “এস, মহাদেবী।” উভয়ে আধ্যপট্রে উপবেশন করিলে নিশীথ রাত্রিতে विद। पाश्म अथानब भक श्रेन्ड चाबि ७ नििश्श् """"" গ্রহণ করলাম । সমাপ্ত শ্ৰীশৌরীন্দ্রনাথ ভট্টাচাৰ্য্য * ধন্য করি অভাগায় স্নেহ-দিঠি দিয়া ভেবেছিকু কেঁদে কেঁদে তোমারে ডাকিয়া হেসে যবে দিবে মোরে বরাভয় দা। করিব চরণে তব আত্ম-নিবেদন, ভেবেছিক্স চাহিব গো কঁাদিয়া তখন ঢালিয়া প্রাণের দাহ তব পদ-তলে, তোমার চরণ-তলে রত্ন-হেম-খনে ; করিব গো § অনন্ত বেদন তুমি কিন্তু সত্য করি মূর্ব হ’লে ধবে, | রাহুস্থ চাহিয়া শুধু—মুগ্ধ এ নয়নে ? ? আর্তের ব্যাকুল ডাকে হইয়া কাতর, ভুলে গেল্প সব ভিক্ষ—চুল্লিহু আপন, হে দয়াল, তুমি যবে হবে মুৰ্ত্তিমান; জাগে শুধু স্বেদ-কম্প-লাং-শিহরণ !