পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] আজ খুলিয়াছি দ্বার, তপ্ত বায়ু অনিবার বুকে লাগে ওগো চৈত্ৰ-দিবা ! আজ র’ব কান পাতি তোমার ঝঙ্কারে মাতি অগ্নিময়ী স্বর্ণচম্পা নিভা রাগিণীরে বিরে বিরে পিঙ্গল গগন চিরে শিখাসম সঙ্গীতের সনে, প্রাণ মোর উদ্ধে চলে অদৃগু ভারার দলে জ্যোতিৰ্ম্ময় কিরণ-কম্পনে ! অদূরে বাকের শেষে নীল জলধারা মেশে ভাগীরথী বালুক-বিলীনা— শু্যামল শৈবালদল দোলাইয়া অবিরল চলে জল কলশব্দহীন ! দূর মেঠো পথ বাহি বধুর চলেছে নাহি মুপগুলি দেখা নাহি যায়। চলুক তোমার গান আমি ভরি মন-প্রাণ দেখে লন্স কি আছে হেথিয় । দূর নভে চেয়ে চেয়ে হৃদয়ে এল কি ছেয়ে মোহময় নীলাঞ্জন-রেখা ! নেত্ৰ উঠে ছলছলি শ্যামী ধরণারে বলি— “ভাল ক’রে হ’ল ন গে। দেখা ? কত সাধ, কত গান ভরিয়া উঠিত প্রাণ - কত প্রেম ফুটিতে না পায়— ওগো চৈত্র, একবার ক্ষান্ত কর স্বরধীর দেখে লই কি আছে হোথায় ! বিলের কিনার পর জেলেরা বেঁধেছে ঘর খেলা করে কালো দু’টি মেয়ে ; নিঃস্রোত, নিথর জলে দু'টি দাড় ঝলমলে কা’র চলে সারিগান গেয়ে— ভরি সারা দিনমান পার্থীরা ধরেছে তান ঘুঘু শুধু টেনে চলে স্বর! s ওগো চৈত্র, অবিরত সে স্বর তোমারি মত মনে আনে প্রদাহ মরুর । চৈত্র-শেষ Գ:Տ(է আকারণ বেদনায় পরাণ উদাসি হায় গাহু গান ওগো চৈত্ৰ-দিবা, খুলিভরা পথ ধরি কে কোথা যাইবে সরি— শ্রান্ত হ’বে খররৌদ্র-বিভা ৷ সাথে আন আজিকার শুধু পাতা ঝরাবার বিবাগিনী বাউলী বাতাস– কালের নিমেষগুলি মুঠায় ভরিয়া তুলি বনে দা ৪ গানের নিঃশ্বাস । এক ; বীশের শাপ৷ শু লঞ্চ ফুলেতে ঢাকা মালঞ্চে পড়েছে অ|জ হুয়ে- — বন-করবীরে ঘিরে e প্রজাপতি ঘুরে ফিরে মুকুলিত লিচতরু দুয়ে ! অরণ্য-মৰ্ম্মর-তলে কথ: কামকিনি চলে— আাধ সুর, আtধ নীরবত— মধুপাম করি শেষ, ছাড়িয়। সাবে কি দেশ ? কোথা ঘা’বে ? ক৪ সেই কথা। তোমার সময় নাই নহিলে এ বন-ছায় শিয়রে রাখিয়া একতারা, -- গান শুনিতাম বসি মঞ্জরী পড়িত পসি সব কাজ হ’য়ে যেত সারা : কত হারা, ভোল৷ প্ৰাণ, কত বুথ আত্মদান কত মধু স্বপন-কাহিনী, শুনাতে শুনাতে উঠে, সহসা চলিতে ছুটে কণ্ঠে বহি উদাস রাগিনী । গমকে গমকে সুর ধ্বনিছে মরম-পুর শীর্ণ হাতে ধর মোর হাত ; নবজীবনের দ্বারে {ে বাউল, বাৰে বারে কর গো কঠিন করাঘাত! জনশূন্ত ক্ষেত হতে উঠিছে সমীর-স্রোতে দগ্ধ মাটি শেযশস্ত প্ৰাণ! ওগো চৈত্র, সেইক্ষণে । আসন্ন মেঘের সনে শুনি যেন তোমার বিষাণ।