পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

چ هسb' প্রবাসী—চৈত্র, ১৩৩৮ [७s* छां★, २ग्न थ७ . ডানদিকের হলে বাদামীর হরপার্বতী বিষ্ণু ও রক্ষার চরিট অনুযায়ী সাজানো হয় নাই। কিন্তু অধিকাংশ ছবিই এত বড় বড় খোদিত চিত্র আছে। এখানে এলিফ্যান্ট ও স্বার, তাহাজের রেখা, তুলির টান প্রভৃতি এত স্বস্ব ৰে ধারওয়ারের ভাস্কর্ঘ্যের অনেক উল্লেখযোগ্য নিদর্শনদেখিলাম। . শুধু দেখিয়াই যথেষ্ট আনন্দ পাওয়া যায়। ৮ নং ছবিতে মিউজিয়মের কলা-বিভাগের অধিকাংশই স্তর রতন "তাতার ব্যক্তিগত সম্পত্তি ছিল । তিনি উইল করিয়া ইহা মিউজিয়মে দান করিয়া যান। আমাদের দেশের একজন মানুষ—যিনি ব্যবসায়ী বলিয়াই পরিচিত—শিল্পকলার জন্ত এত টাকা অজস্র ব্যয় করিয়াছিলেন দেখিয়া বিশ্বিত ও মুখ হইতে হয়। কোটি টাকার কমে এ সংগ্রহ সম্ভব মনে হয় না। শুধু' অর্থ ব্যয় নয়, মাহুষটি আসল জহুরী ছিলেন তাহা তাহার সংগ্রহই সাক্ষ্য দিতেছে। ভারতীয় ছবির ঘরগুলি সকলের চেয়ে কোণের দিকে এবং সেখানে একটু আলো কম হইলেও দেখিতে বেশী অল্পবিধা হয় না। এখানে ৪•• বৎসরের পুরাতন অনেক মোগল-চিত্র, এবং তদপেক্ষ আধুনিক পারসীক ও রাজপুত চিত্র অাছে। ছবিগুলি সময় কিংবা চিত্রাঙ্কন-রীতি খড়ম পায়ে জরির কাপড় পরা খোলামাথায় বেণে খোপা বাধা একটি তৰী মৃন্দরী গাছতলায় দাড়াইয়া আছে। এত স্বল্প ও স্বন্দর কাজে এমন মনোরম একটি মূৰ্ত্তি জাক সত্যই আশ্চৰ্য্য। ছবিটি অনাড়ম্বর বলিয়াই অারও স্বন্দর। আরও তিন চারখানি ছবি এই ধরণে আঁকা। আওরংজেবের শেষ বয়সের কয়েকটি ছবি দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ৩৯৮ হইতে ৪৯৬ বার মাসের বারটি চিত্র। ছবিগুলি চোখে পড়িবার মত। ৪-৬ নং ফান্ডনে হোলি খেলা। পুরুষের হাতীর পিঠে চড়িয়া মিছিল করিয়া রং খেলিতে খেলিতে চলিয়াছে। মেয়েরা দ্বতলা হইতে দেখিতে দেখিতে রং ছড়াইতেছে। ৫৭৪ নং বাদশা বেগম সপরিবারে—রজ-পরিবারের ঘরোয় ছবি—খুব ঘন রঙের উপর স্পষ্ট করিয়া জাকা । ছোট ছেলেমেয়ের সঙ্গে মিশিয়া বাদশাও মানুষ বলিয়া নূতন রূপ ধারণ করিয়াছেন। সচরাচর বাদশাদের ফুল কি বাজ-পাৰ্থী হাতে একলার ছবিই দেখা যায়। তাই এটি অভিনব লাগিল। কয়েকটি ছবির ক্রমিক সংখ্যা লিখিয়া রাখিয়াছিলাম তাই দুই একটির উল্লেখ করিলাম। এইগুলিই যে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ তা বল উদ্বেগু নয়। তবে শ্রেষ্ঠগুলির মধ্যে ইহারা পড়ে। সংখ্যা ধরিয়া পাচ-ছয় শত ছবির বর্ণনা দেওয়া সম্ভব নয়, তাছাড়া দুই-একবার দেখিয়া চোখে ভাল লাগিয়াছে বলা যায়, তার চেয়ে বেশী বলিতে গেলে বিপদ ঘটিতে পারে। স্বতরাং ছবির বর্ণনা দিতে চেষ্টা করিব না। মারাঠ রাজাদের পোষাক-পরিচ্ছদ বর্ণ ইত্যাদির একটি গ্যালারি অাছে। দেখিয়া গৌরব ও আনন্দ হইল, যে, নানা ফভূনবীসের পত্নী ঢাকাই শাড়ী পরিতেন। ' ফড়নবীস নিজে যে শুভ্র মসলিনের পোষাকটি পরিতেন তাহাও রহিয়াছে ; পোষাকের নীচের দিকের ঘের বত্রিশ হাতের বেশী, কিন্তু তাহার ওজন আধসের মাত্র। ঢাকাই মসলিন আরও আছে। ২নং গ্যালারীতে পারস্ত দেশীয় কাপেট, পর্দা ছাড়া কচ্ছ, সিন্ধু ও লাহোরের নানারকম পর্দা প্রভৃতির জন্দর