পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] পত্রধারা bు తిపా মধ্যে যে-মহাত্মাকে উপলব্ধি করতে হয় তিনিই উপনিষদের অমুভবের দ্বারা জানতে হবে, নিজের বাইরে, দেবতা। র্তাকেই দেউলের মধ্যে সরিয়ে রেখেছে ধাকে নিজের গভীরে। আমি শহরের মানুষ, একদিন বলি পুরাতন ভারত—আর সোনার শিকলে বাধতে চেয়েচে স্বর্ণলঙ্কাপুরীর যুরোপ। এই উভয়ে পরম্পরের সতীন বলেই এদের প্রতি পরস্পরের এত বিরাগ । মানুষের আত্মায় যিনি মহাত্মা, মানুষের কৰ্ম্মে যিনি বিশ্বকৰ্ম্ম, আমি জেনে না-জেনে সেই দেবতাকেই মেনেচি,—তিনি যেখানে উপবাসী পীড়িত সেখান থেকে জামার ঠাকুরের ভোগ অঙ্ক কোথাও নিয়ে যেতে পারিনে। খৃষ্ট বলেচেন, বিবস্তুকে যে কাপড় পরায় সেই আমাকে কাপড় পরায়, নিরঞ্জকে যে অল্প দেয় সে আমাকেই অল্প দেয়—এই কথাটাই ব্ৰহ্মভান্য। এই কথাটাকেই “দরিদ্র নারায়ণ” নামে আমরা হালে বানিয়েছি। যথার্থ পুরাতন ভারত, যে ভারত চিরনূতন—যে ভারতের বাণী, আত্মবৎ সৰ্ব্বভূতেষু য: পশুতি স পশুতি—তাকেই আমি চিরদিন ভক্তি করেছি। আমার সব লেখা যদি ভাল ক’রে পড়তে তাহলে বুঝতে—আমার চিত্ত মহা-ভারতের অধিবাসী —এই মহা-ভারতের ভৌগোলিক সীমানা কোথাও নেই। যদি সময় পাই তোমার অন্ত নালিশের কথা অন্ত কোনো চিঠিতে বলতে চেষ্টা করব। ইতি ৩ আষাঢ় ১৩৩৮ ૨ জার্জিলিং আমার কল্পরূপকে আশ্রয় ক’রে যাকে হৃদয়ে উপলব্ধি করেচ আমি তাকেই পূজা করে থাকি, তিনি আমাদের সকলের মধ্যেই—তিনি পরমমানব। নিজেকে বৃহৎ কালে বৃহৎ দেশে তার মধ্যে পরিব্যাপ্ত করে দিয়ে যখন আমি ধ্যান করি তখনি নিজেকে আমি সত্যরূপে জানি, আমার ছোট আমির যত কিছু ক্ষুদ্রতা সব বিলীন হয়ে যায়—তখন আমি সত্য আধারে নিত্য আধারে থাকি । র্তারই আহানে রাজপুত্র ছিন্নকস্থা প’রে পথে বেরিয়েছিলেন। বীরের বীর্য্য, গুণীর গুণ, প্রেমিকের প্রেম তার ऋषा छिब्रखन। छूषि७ झनञ्च निहब उंiष्करे गठौद्रब्र মধ্যে স্পর্শ কর, যেখানে তোমার ভক্তি, তোমার প্রীতি, তোমার সত্যকার আত্ম-নিবেদন। তং বেঙ্কং *क्ष९ cदन-डिनि cनहे *ब्रम शूझब १ोळक जडा হঠাৎ এক পরীবাসী বাউল ভিখারীর মুখে গান শুনলুম, “আমি কোথায় পাব তারে, আমার মনের মানুষ যে রে ” আমি যেন চমকে উঠলুম, বুঝতে পারলুম, এই মনের মাহুবকে, এই সত্য মানুষকেই আমরা দেবতায় খুজি, মান্বযে খুজি, কল্পনায় খুজি, ব্যবহারে খুজি, “হৃদ। মনীষা”—হৃদয় দিয়ে, মন দিয়ে কৰ্ম্ম দিয়ে। সেই মহান. আত্মায় অমরাবতী হচ্ছে “সদা জনানাং হৃদয়ে।” কত লোক দেখেছি যারা নিজেকে নাস্তিক বলেই কল্পনা করে, অথচ সৰ্ব্বজনের উদ্দেশে নিজেকে নিঃশেষে নিবেদন করেচে, আবার এও প্রায় দেখা যায় যারা নিজেকে ধাৰ্ম্মিক বলে মনে, করে তারা সৰ্ব্বজনের সেবায় পরম কৃপণ, মানুষকে তারা নানা উপলক্ষেই পীড়িত করে, বঞ্চিত করে । বিশ্বকৰ্ম্মার সঙ্গে কর্মের মিল আছে, মহান আত্মার সঙ্গে আত্মার যোগ আছে কত নাস্তিকের, তাদের সত্য পুজা জ্ঞানে ভাবে কৰ্ম্মে, কত বিচিত্র কীৰ্ত্তিতে জগতে নিত্য হয়ে গেছে, তাদের নৈবেদ্যের ডালি কোনোদিন রিক্ত হবে না। মনের মামুষের শাশ্বত রূপ তার অজ্ঞরে দেখেচে, ভাই তারা অনায়ালে মৃত্যুকে পধ্যস্ত পণ করতে পারে – তং বেদ্যং পুরুষং বেদ যথা মা বো মৃত্যু পরিব্যথা:–সেই বেদনীয় পুরুষকে আপনার মধ্যে জানে, মৃত্যু তোমাকে ব্যথা না দিকৃ। ব এতদ বিদ্ধর অমৃতাস্তে ভবস্তি—কারণ তারা বেঁচে থাকে সকল কালের মধ্যে, সকল লোকের মধ্যে, ধার উপলব্ধির মধ্যে তাদের আত্মোপলব্ধি তার বিরাট আয়ু ভূত ভবিষ্যৎ বৰ্ত্তমানের সকল সত্তাকে নিয়ে। মানুষকে एषह्न दृष्व वेिक्षणः पक्षां८द्माँशा =खितः ग्राङ्ग्ल দিতে হবে এই সঙ্কল্প নিয়ে যারা আত্মনিবেদন করেচে তারা কোনো. দেবতাকে বিশেষ সংজ্ঞা দ্বারা মাছুকু বা না-মাকুকু তারা সেই ব্যে পুরুষকে জেনেছে, সেই মহান আত্মাকে সেই বিশ্বকৰ্ম্মাকে, ধাকে জানলে মৃত্যুর অতীত হওয়া যায়। সম্প্রদায়ের গণ্ডীর ভিতরে থেকে বাধা অনুষ্ঠানের মধ্যে তারা পূজাকে নিঃশেষিত করে তৃপ্তিলাভ করতে পারে না,কেননা, তারা মনের মামুবকে দেখেচে মনের মধ্যে, মাছুষের মধ্যে নিত্যকালের বেদীতে। দেশ-বিদেশের সেই সব