পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե-ՀՀ লোরেটোতে, এখন ছেড়ে দিয়েছে। বাড়িতে পড়ে আর গান বাজনা শেখে ।” প্রতাপ আর কোনো প্রশ্ন করিল না, দিদির নামটা জানিবার জন্ত যদিও একটা উৎকট আগ্রহ তাহাকে পাইয়া বসিয়াছিল। যথাস্থানে নামিয়া ছাত্রকে ম্যাচ দেখাইয়া, বেড়াইয়া লইয়া আসিল। বাড়ি পৌছাইয়া দিবার সময় আশান্বিত দৃষ্টিতে চারিদিকে তাকাইয়া দেখিল, কিন্তু এবার অার কাহারও দর্শন মিলিল না। প্রতাপ স্থাটিয়া বাড়ি ফিরিয়া চলিল। সারাটা পথ কত আজগুবি ভাবনাই যে ভাবিতে ভাবিতে চলিল, তাহার ঠিকানা নাই। মিহিরের মায়ের অতিরিক্ত সাহেবীয়ানা তাহার মনকে, কেন জানি না, অত্যন্তই পীড়া দিতে লাগিল। কি যে তাহার তাহাতে আসিয়া যায়, তাহার ঠিকানা নাই, অথচ কেবলই প্রতাপের মনে হইতে লাগিল, ইহা তাহার পক্ষে একটা দারুণ দুর্ঘটনা । খানিকটা ঘোরা পথেই বাড়ি ফিরিল। তাহার পর পিসীমার হাতের পিঠা খাইয়া মধুরভাবেই রবিবার দিনটা শেষ করিল। و& মিহিরের বাবা ৰূপেক্সবাবুর জন্ম হইয়াছিল গোড়া হিন্দু ঘরে। হিন্দুৰ জিনিষটাতে র্তাহার বিশেষ কিছু আপত্তি ছিল না, তবে গোড়ামী এবং তাহার নামে যত প্রকার সামাজিক অনাচার অত্যাচার চতুর্দিকে চলিতে দেখিতেন, সেইগুলিই তাহার অসঙ্ক লাগিত। বালককালেও ইহা লইয়া আপত্তি করিতেন এবং তর্ক করিতেন বলিয়া গালাগালি ও মার তাহাকে যথেষ্টই খাইতে হইত। কলেজে পড়িতে কলিকাতায় আসিয়া সমধৰ্ম্ম কয়েকটি যুবকের সঙ্গে সৌভাগ্যক্রমে র্তাহার আলাপ হয়। সমাজসংস্কারের নেশা তখন হইতেই তাহাকে উৎকটভাবে পাইয়া বসে, এবং বি-এ পাস করিবার কিছুদিন পরেই তিনি একটি বিধবা যুবতীর পাণিগ্রহণ করেন। ইহাতে পিতা তাহাকে ত্যজ্যপুত্র করেন, এবং আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে তাহার সম্পর্ক এক রকম ঘুচিয়াই যায়। কিন্তু अमृहे प्रथगद्र थांकांब देशांब्रचषिक जांब्र ८कांप्ना भाखि প্রবাসী—চৈত্র, ১৩৩৮ [es* छौं★, २ग्न थं७ তাহাকে পাইতে হয় নাই। তাহার আর্থিক অবস্থার ক্রমেই উন্নতি হইতে থাকে, এবং তাহার গুণেই বোধ হয় আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে মনোমালিন্তটাও কাটিয়া যায়। এখন তাহার বাড়িতে আসিয়া উঠিতে, বা অর্থসাহায্য চাহিতে তাহাদের কোনো আপত্তি দেখা যায় না। গ্রামের বাড়িতে অবশু নৃপেন্দ্রবাবুর যাওয়া-আসা নাই । সংস্কারের নেশা তাহার এখনও আছে, তবে অবসর কম। পরিবার-বৃদ্ধির সঙ্গে খরচও যথেষ্ট বাড়িয়াছে, সুতরাং অর্থোপার্জনের চেষ্টায়ই র্তাহার বেশীর ভাগ সময় কাটিয়া যায়। তাহ ভিন্ন সংস্কারকার্ষ্যে গৃহিণী জ্ঞানদা এত অগ্রসর, যে, নৃপেনবাবুর এদিকে হস্তক্ষেপ করিবার প্রয়োজনই হয় না। বাল্যে ও কৈশোরে কুসংস্কারের উৎপীড়নে জর্জরিত হইয়াছিলেন বলিয়াই বোধ হয় জ্ঞানদা সকল প্রকার দেশাচারের উপরেই খড়গহস্ত হইয়া উঠিয়াছিলেন। বাড়ি সাজাইয়াছিলেন তিনি সম্পূর্ণ ইংরেজী ধরণে। খাওয়া-দাওয়া করিতেন যথাসাধ্য বিদেশী প্রথায়, অবশু খাদ্য-তালিকা হইতে দেশী জিনিষ একেবারে বাদ দিতে পারেন নাই। এইখানে তাহার নিতাস্ত স্বদেশীয় রসনাটি বাদ সাধিয়াছিল। স্বামীর সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই তাহার মতে মিলিত না, তবে নৃপেজবাৰু অধিকাংশ স্থলেই জোর করিয়া নিজের মত গাটাইতেন না বলিয়া দিন একরকম চলিয়া যাইত। খালি ছেলেমেয়ের নাম রাখিবার সময় নৃপেন্দ্রবাবু কিছুতেই জেদ ছাড়িতে ब्रांर्छौ झन नाहे । खांमलांब्र इंछक िल ८भग्नब्र নাম রাখেন রমলা, কিন্তু স্বামী জোর করিয়া তাহার মাম রাখিলেন যামিনী। ছেলে জন্মগ্রহণ করিবামাত্র তাহার দেশী নাম রাখিয়া, তিনি জ্ঞানদাকে দমাইয়া দিয়াছিলেন। কিন্তু ছেলেমেয়ে মানুষ করাতে তাহার বিশেষ হাত রহিল না। ছেলে এখনও ধুতি পরিতে পায় না, যামিনী ষোল বৎসর পর্য্যন্ত ফ্রক পরিয়া স্কুলে যাইত, তাহার পর নিতান্ত কান্নাকাটি অনাহার প্রভৃতির শরণ লইয়া বছর-দুই হইল শাড়ীতে প্রোমোশন পাইয়াছে। ছেলেমেয়ে দেশী স্কুলে পড়িতে পায় না, দেশী গান বাজনা শেখে না, বাংলা বইয়ের প্রতিও তাঁহাদের মায়ের বিশেষ কোনো শ্রদ্ধা নাই। ছোট ছেলেপিলের পড়িবার