পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] बांङ्घक्ष५ b:్చలి মত বই-ই না কি বাংলা ভাষায় নাই । যা তা পড়িয়া ছেলেমেয়েকে জ্যাঠা হইয়া যাইতে দিতে তিনি রাজী নন। ইংরেজী বই পড়িয়াও যে জ্যাঠা হইতে একেবারেই আটকায় না, তাহা তাহার ধারণা ছিল না, কারণ ইংরাজী তিনি অতি সামান্তই জানিতেন। স্বতরাং যামিনীর বই পড়াতে কোনো ব্যাঘাত ছিল না, কারণ ইংরেজী নভেল বুঝিবার বিদ্যা, এবং তাহার রস গ্রহণ করিবার বয়স তাহার হইয়াছিল। মিহিরের অদৃষ্টদোষে বিদেশী ভাষাটা সে ভাল করিয়া আয়ত্ত করিতে পারে নাই, তাই “রবিনসন ক্রুসো'র উপরে উঠবার অধিকার এখনও সে পায় নাই। আর একটি জিনিষকে জ্ঞানদা মারাত্মক রকম ভয় করিয়া চলিতেন, সেটি দারিদ্র্য । ইহারও কারণ র্তার প্রথম জীবনের জালাময় অভিজ্ঞতা। অবস্থার উন্নতি করিবার জন্ত র্তাহার নিরস্তর চেষ্টায়ই নৃপেন্দ্রকৃষ্ণকে এতখানি অগ্রসর হইতে হইয়াছিল। স্ত্রী তাহাকে মুহূর্তের জন্যও লাগাম ঢিলা দিতেন না। আর্থিক সচ্ছলতা বিহনে বাচিয়া থাকা যে একেবারেই বৃথা, এ ধারণা পরিবারস্থ সকলের মনে বদ্ধমূল করিয়া দিবার জন্য জ্ঞানদার চেষ্টার ক্রটি ছিল না। ছেলেমেয়েকে দরিদ্র মানুষের সঙ্গে মিশিতে দিতেও তিনি চাহিতেন না, পাছে ছোয়াচ লাগিয়া তাহাদের আভিজাত্যবোধ কিছু কমিয়া যায়। ধনই এ জগতের একমাত্র কামনার জিনিষ, ইহা তিনি স্থিরনিশ্চয় করিয়া জানিতেন। স্বামী কাজ হইতে অবসর গ্রহণ করিলেও যাহাতে সমান চালে থাকিতে পারেন, তাহার জন্য হরেকরকম ব্যবস্থা তিনি এখন হইতেই করিয়া রাখিতেছিলেন। সন্তানাদির সংখ্যা বেশী না, ইহা র্তাহার একটা সানার বিষয় ছিল। মেয়ের খুব অবস্থপন্ন ঘরে বিবাহ দেওয়া এবং ছেলেকে বিলাত পাঠাইয়া পাস করিবার আলোচনা, তাহার আর থামিতে চাহিত না। নৃপেন্দ্রকৃষ্ণের এ সকল বিষয়ে খুব বেশী উৎসাহ ছিল ন, তবে স্ত্রীর কথায় সায় দেওয়া তাহার এমন অভ্যাস হইয়া গিয়াছিল যে, তিনি নিজের অজ্ঞাতসারেই তাহ করিয়া বসিতেন। বিলাত না যাইলে যে বিদ্যা হয় না, এ ধারণা তাহার ছিল না, তবে ভাল কাজ পাইবার অসুবিধা হয় বটে। মেয়েকেও সর্বপ্রকারে স্বশিক্ষিতা করিয়া দেশের ও সমাজের কাজে লাগাইবেন, তাহার এইরূপ ইচ্ছা ছিল, কিন্তু জ্ঞানদা ইহা শুনিলে তেলেবেগুনে জলিয় উঠিতেন । বাহিরে সাহেবীয়ানার ভড়ং যতই করুন, মনের ভিতরে অজ্ঞতার অন্ধকার তাহার নানা মূৰ্ত্তিতে লুকাইয় ছিল। বিবাহিত জীবন ভিন্ন স্ত্রীলোকের আর কোনোভাবে বাচিয়া থাকাকে তিনি অনভিজাত বলিয়া মনে করিতেন। স্বামীর অর্থে বসিয়া খাওয়া এবং বুবায়ানী করা ভিন্ন, নারীর পক্ষে সম্মানকর আর কোনো পন্থাই তিনি জানিতেন না। স্ত্রীলোক হইয়াও যে খাটিয়া খায়, সে ত অতি নগণ্য। এজন্ত এখন হইতেই কন্যার বিবাহের চেষ্টা তিনি তলে তলে স্বরু করিয়াছিলেন। আর এক ক্ষেত্রেও তাহার সাহেবীয়ানার ব্যতিক্রম দেখা যাইত, সেটা স্ত্রীপুরুষের অবাধ মেলামেশার বিরুদ্ধতায় । মেয়ে সকল দিকেই মেমের মেয়ের মত মানুষ হইবে, অথচ বিবাহ দিবার সময় মা বাবার নিৰ্ব্বাচন মাথা পাতিয়া লইবে, এই ছিল তাহার ইচ্ছা। অবশ্য ইহা সম্ভব কি না, তাহা ভাবিয়া দেখিবার কোনো প্রয়োজন তিনি অনুভব করেন নাই। কস্তাকে একাকিনী কোথাও যাইতে তিনি দিতেন না, এবং কোনো অনাস্ট্রীয় যুবকের সঙ্গে কথা বলা তাহার একেবারে নিষেধ ছিল। যতদিন স্কুলে যাইত, ততদিন অন্তত: ক্লাসের মেয়েদের সঙ্গে মিশিবার স্বযোগ তাহার ছিল, এখন বাড়িতে পড়ার কল্যাণে তাহার একেবারেই নিঃসঙ্গ হইয়া পড়িতে হইয়াছিল। বৃদ্ধ মাষ্টার এবং বাজনার শিক্ষয়িত্রী ভিন্ন বাহিরের লোকের মুখই সে দেখিত না। মা মধ্যে মধ্যে সঙ্গে করিয়া বড়মানুষ বন্ধুদের বাড়ি লইয়া যাইতেন, বেড়াইতেও লইয়া ধাইতেন, কিন্তু তরুণ মনের সঙ্গীর অভাব তাহাতে বিন্দুমাত্রও মিটিত না । যামিনীকে বাধ্য হইয়া ক্রমেই বেশী করিয়া পুস্তকের শরণ লইতে হইতেছিল। বাবার সঙ্গে প্রায়ই নানা পুস্তকের দোকানে বেড়াইতে গিয়া সে ইচ্ছামত বই কিনিয়া আনিত। ইহাতে মৃয়ের আপত্তি ছিল না, हि श् िकब्रिब्री इजिब्र, चाष्छ निम्नां जयञ्च नडे कब्रां