Ե-8e প্রবালী—চৈত্র, ১৩৩৮ ७sघ्नं छांशृं, २ग्न थ७ . আদর্শ সমাজধর্মের দ্বারা নিয়মিত স্বভাবসম্মত কৰ্ম্ম । শীলক ও অর্জুনের দুইজনের প্রকৃতিতেই স্বভাবজ নিষ্ঠুরতা আছে, কিন্তু যুদ্ধ সমাজসন্মত বলিয়া অৰ্জ্জুনের পক্ষে তাহা ,স্বধৰ্ম্ম হইয়াছে এবং শৰীলকের হত্যাকাৰ্য্য সমাজবিকল্প ইলিয়া তাহ পাপ। শীলক যদি যুদ্ধকার্ধ্যে যোগ দিত কিংবা যদি জল্পাদও হইত তাহা হইলে সে স্বধৰ্ম্মে থাকিত। গীতার উপদেশ এই যে, যদি শব্বালকের মত পাপী ব্যক্তিও গীতোক্ত ধর্শ্বের যথার্থ মৰ্ম্ম বুঝিবার চেষ্টা করে, তবে সে শীঘ্ৰ ধৰ্ম্মাত্মা হয় ও তাহার সমস্ত পাপ বিনষ্ট হয়। আমরা প্রকৃতির বশেই যখন সকল কাৰ্য্য করি এবং যখন আমাদের কোন কর্তৃত্বই নাই, তখন বাস্তবিক পক্ষে স্বধর্শেই থাকি আর পরধৰ্ম্মেই থাকি নিসঙ্গচিত্ত হইলে সিদ্ধিলাভ হইবেই। এইজন্তই শ্ৰীকৃষ্ণ গীতার শেষের দিকে ১৮৬৬ শ্লোকে বলিয়াছেন, “সৰ্ব্ব ধৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া কেবল আমারই শরণ লও, আমি তোমাকে সকল পাপ হইতে মুক্ত করিব—ভয় করিও না।” ৩৩৬ অর্জুনের মনে সন্দেহ উঠিল যদি প্রকৃতির বশেই আমরা সকলে চলি এবং প্রকৃতির মূল স্রোত যখন সমাজামুগামী তখন সমাজবিরুদ্ধ কাজ:বা পাপ কাজই বা আমরা করি কেন। স্রোতের বশে সব কুটাই যে চলিবে এমন কোন নিশ্চয়তা নাই, কুটা ভারী হইলে তাহা ডুবিয়া যাইবে, এই ডোবাও প্রকৃতির নিয়মের বশেই ঘটে ; অর্জুনের মনে এই প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক ষে প্রকৃতিজাত কোন গুণে মানুষ সামাজিক মূল স্রোতে না চলিয়া বিপথে চলিয়া থাকে। অর্জুন বলিলেন, “ইচ্ছা না থাকিলেও মাহব কিসের বশে পাপে প্রবৃত্ত হয় ?” ৩৩' “রজোগুণোদ্ভব কাম বা ক্রোধই মন্থন্তকে পাপে প্রবৃত্ত করায় । এই কামকে তৃপ্ত করা যায় না এবং ইহাই পাপের কারণ ; ইহাকে শক্ৰ বলিয়া জানিও।” কাম মানে কামনা। বঙ্কিমচজ এই শ্লোকের যে-ব্যাখ্যা করিয়াছেন, তাহার কিয়দংশ উদ্ধৃত করিতেছি,-- चलनि छैषांछ জৰ কেন প্রমুজোংরা পাপং চতি পুরুষঃ। অনিদ্ৰাপি বাকে বলবি নিয়ােজিত ॥৩৬
- পাঠক দেখিবেন যে, কাম, ক্ৰোধ, উভয়েরই নামোল্লেখ হইয়াছে, কিন্তু একবচন ব্যবহৃত হইয়াছে। ইহাতে বুঝা যায় যে, কাম ও ক্রোধ একই। দুইটি পৃথক রিপুর কথা হইতেছে না। ভাষ্যকারের বুঝাইয়াছেন যে, কাম প্রতিহত হইলে অর্থাৎ বাধা পাইলে ক্রোধে পরিণত হয়, অতএব কাম, ক্রোধ একই । ( বঙ্কিমগ্রন্থাবলী, ৩য় ভাগ, শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা )
কামনা প্রতিহত হইলে কোন ক্ষেত্রে ক্রোধের উৎপত্তি হয় এবং ক্রোধের স্বরূপই বাকি তাহার আলোচনা করিব। আধুনিক মনোবিদেরা বলেন, ক্রোধ একটি সহজ প্রবৃত্তি। সহজ প্রবৃত্তিগুলি আদি প্রবৃত্তি, এবং তাহাদের মূলে কি আছে আমরা তাহ জানি না। আমাদের শাস্ত্রকারেরা ক্রোধকে “দ্বিতীয় রিপু বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন। এই শ্লোকে কাম ও ক্রোধকে একই বলা হইতেছে, অতএব ক্রোধকে পৃথক মূল প্রবৃত্তি বলিয়া স্বীকার করা হইল না। আমি নিজে ক্রোধকে সহজ সংস্কার বলিয়া স্বীকার করিলেও মূল প্রবৃত্তি বলিয়া মানিতে রাজি নহি । কেন, তাহার বিচার করিব। ক্রোধের মূলে অন্ত কোন প্রবৃত্তির অস্তিত্ব থাকিলে ক্রোধ কেন হয় বা কি হইতে তাহার উৎপত্তি, এরূপ প্রশ্ন অসঙ্গত নহে। অন্তথা ক্রোধকে মূল প্রবৃত্তি বলিয়া মানিলে এরূপ প্রশ্ন চলে না। সচরাচর যে-সকল কারণে আমাদের রাগ হয় প্রথমে তাহার উল্লেখ করিতেছি – (১) কেহ আমার অনিষ্ট করিলে, আমি তাহার উপর রাগিয়া থাকি। ঐচৈতন্যদেব বা মহাত্মা গান্ধীর কথা স্বতন্ত্র। এরূপ মহাপুরুষদের কথা এখানে কিছু বলিব ন-সাধারণ লোকের স্বাহ হয়, তাহাই বলিব। (২) কেহ অপমান করিলে (৩) অনিচ্ছায় কোন কাজ করিতে হইলে (৪) নিজের অক্ষমতা প্রকাশ পাইলে ( *) ८कट् बांभांब्र कथं न सनिटल बैउनंषांकूवांछ- - कांब 4ष cकांष 4ष ब्राजां७१ जबूढषः । মহাশলে মহাপাপ। ৰিজোনমিহ ৰৈলি ॥৬৭