পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] গীত Ե-8ծ (৬) প্রাপ্য সম্মান না পাইলে ( ৭ ) বিনা অনুমতিতে কেহ আমার দ্রব্যাদি লইলে, বা আমার মতের বিরুদ্ধে কোন কাৰ্য্য করিলে। (৮) কেহ আমাকে বোকা বলিলে আমার বুদ্ধিতে বড় হুইবার অভিমানে আঘাত লাগে। (৯) আমার কোন মিথ্যা কথা ধরা পড়িলে বা কেহ আমার নামে কলঙ্ক রটনা করিলে রাগ হয়, কারণ ইহাতে আমার ধর্মের অভিমান খৰ্ব্ব হইয়া পড়ে ও লোকসমাজে আমি হেয় হই। উপরের উদাহরণগুলি বিশ্লেষণ করিলে দেখা যাইবে যে, প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আমাদের মনের মধ্যে বড় হইবার যে-ইচ্ছা নিহিত আছে, হয় সেই ইচ্ছামুরূপ কাজে বাহিরের অন্তরায় ঘটিয়াছে, নতুবা নিজের অক্ষমতা প্রকাশ পাইয়াছে। কেহ আমার আর্থিক ক্ষতি করিল ফলে আমার বড়লোক হইবার ইচ্ছার পূর্ণতালাভের ব্যাঘাত হইল। কেহ অপমান করিল, বা পরের বশে কাজ করিতে হইল, ইহাতে নিজেকে ছোট মনে হইল। কেহ কথামত কাজ করিল ন, বা না-বলিয়া আমার প্রব্যে হাত দিল, ইহাতে কত্ত্বত্বের অভিমান ক্ষুণ্ণ হইল । ( ১০ ) কেহ আমার আরামের ব্যাঘাত ঘটাইলে, অথবা ক্ষুধার সময় খাইতে বাধা দিলে রাগের সঞ্চার হয়। ( ১১ ) আমার ভালবাসার জিনিষে ভাগীদার জুটিলে, অথবা স্ত্রী অন্ত কাহাকেও, বা অন্য কেহ আমার স্ত্রীকে ভালবাসিলে আমি ক্রোধাম্বিত হই। ( ১• ) ও ( ১১ ) সম্পৰ্কীয় ব্যাপারে আমার স্বখের অথবা ভালবাসার অন্তরায় উপস্থিত হওয়াতেই রাগের উৎপত্তি হইয়াছে। নিজেকে ভালবাসি বলিয়াই স্বখান্বেষণে ধাবিত হই, সেই কারণুে মুখের ব্যাঘাত এবং নিজের উপর ভালবাসার ব্যাঘাত, এই উভয়ের মধ্যে কোনই তফাৎ নাই। আরও কতকগুলি অবস্থায় রাগ হইতে পারে – ( ১২ ) উচিত কথা শুনিলে (১৩) কেহ কাজের ব্যাঘাত ঘটাইলে (১৪) কেহ আমার সমালোচনা করিলে বিশ্লেষণ করিলে দেখা যাহবে, এইগুলির মূলেও পূৰ্ব্বোক্ত কারণগুলির কোন-না-কোনটির প্রভাব বর্তমান রহিয়াছে । ( ১ ) হইতে ( ১৪ ) পৰ্য্যন্ত সমস্ত কারণগুলিই প্রথম পুরুষকে লইয়া । নিজের সঙ্গে সম্বন্ধ না থাকিলেও পরের কোন কোন কাজে স্বামী রাগ হইতে পারে ; যেমন— ح سے ھے* ( ১৫ ) পরের ভাল দেখিলে ( ১৬ ) নিজের ঘুম হইতেছে না, অথচ পরকে আরামে নাক ডাকাইতে দেখিলে ( ১৭ ) পরে মিথ্যা বলিলে, বা কোন দোষ করিলে ( ১৮ ) পরের বোকামি দেখিলে এই শ্রেণীর কারণগুলি বড়ই বিচিত্র। এই जरुल दाांशृदिब्र स्रांश्वांब्र निखब्र ८कांन श्रनिटे नांझे । অন্তের বোকামি দেখিলে আমার কেন রাগ হয়, ভাবিবার কথা। পরে ইহার বিচার করিতেছি । (১৯) কখন কখন সামান্ত কারণে—এমন কি অকারণেও আমরা রাগিয়া থাকি । “১৭’ বলিলে রাগ করে এমন লোকও আছে। এই শ্রেণীর লোককে ক্রোধাম্বিত হইবার কারণ জিজ্ঞাসা করিলেও হয়ত কোন সদুত্তর পাওয়া যাইবে না। এরূপ স্থলে বুঝিতে হইবে, রাগের আসল কারণটি তাহার মনের কোথাও লুক্কায়িত আছে, এবং তাহার কোন খবরই সে রাখে না। দেখা গেল, আমরা সময়-বিশেষে (ক) নিজ সম্পর্কিত ব্যাপারে রাগ করি (খ) পরের ব্যাপারে রাগ করি (গ) অজ্ঞাত কারণে রাগ করি। নিজ সম্পর্কিত যে-সকল ব্যাপারে আমাদের রাগ হয়, সে-রাগের মূল কারণ যে আমাদের কোন-লু-কোন ইচ্ছার পথে ব্যাঘাত, তাহ সহজেই বুঝা যাইবে"। এরূপ ইচ্ছা হয় আত্মসম্মান, নয় ভালবাসা, সম্পৰ্কীয় । স্বতরাং এরূপ স্থলে রাগকে মূল প্রবৃত্তি না বলিয়া ইচ্ছাকেই যদি মূল প্রবৃত্তি বলি, তবে বিশেষ অন্তায় হয় না। ইচ্ছা প্রতিহত হইলেই রাগের স্বষ্টি হয়, অতএব রাগ ইচ্ছারই রূপান্তর মাত্র। রাগের পৃথক অস্তিত্ব নাই। *८ब्रव्र ८वांकांधि cमथिएल मुर्थनः पञांभांग्न ब्रांगं कुम्ल, डधन ইচ্ছার ব্যাঘাতেই যে রাগের #f, এ কথা কেমন