পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br(tషి প্রবাসী—চৈত্র, ১৩৪৮ [ ৩১শ ভাগ, ২য় খণ্ড MAA SAMMMMAMMAAAS SASAAASAAA S যে-ভূমার অপরোক্ষানুভূতি করিতেছি তাহা তেমন নয় ; -তাছা গতিশীল, ক্রিয়াশীল।” আমি জিাসা করিলাম, “তবে এই অনন্ত শাশ্বত গতিশীল পৰশে’স্বচুভূতি আপনি কিসের ভিতর দিয়া পাইতেছেন ? সাক্ষিচৈতন্তের ভিতর দিয়া ইহার অনুভূতি হয় কি ? না বাৰ্গসর মত জীবন বা প্রাণের অনুভূতির ভিতর দিয়া ইহার প্রকাশ হয় ?” অধ্যাপক দাশ মহাশয় বলিলেন, “বোধ হয় প্রাণান্থভূতির ভিতর দিয়া ।” উত্তরে আচাৰ্য্যদেব বলিলেন, “এই নিত্যপদার্থের অস্থভূতি কিরূপ ও কি ভাবে ইহা হয় এই ভাব কিছুই আমাদের দৈনন্দিন সাধারণ অভিজ্ঞতার ভাষায় প্রকাশ করিতে পারিতেছি না। সাক্ষাৎ অনুভূতি ভিন্ন ইহা বুঝা কঠিন। ভূমার এই অনিৰ্ব্বচনীয় অনুভূতি এখন প্রতিমুহূৰ্ত্তে হইতেছে। ইহাতে আত্মহারা হইয়া যাইতেছি। এই অস্থভূতির মধ্যে দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ অভিজ্ঞতার কোন বিষয়েরই অস্তিৰ খুজিয়া পাই না। পূৰ্ব্বে আমার বহু দিন বিশ্বাস ছিল, ভূমার মধ্যে এই জাগতিক জীবনের সকল আনন্দ ও সকল অনুভূতি একটা স্থান পাইবে । এই সবও কোন প্রকারে রক্ষিত হইবে। किड़ ७थन छूयांब्र ८य अश्डूडि इहे८ङ८छ् डांशं८ङ ७ई সবের কোনই অস্তিত্ব খুজিয়া পাই না । ( এই সমস্তই যেন একেবারে ধুয়ে মুছে যাচ্ছে )। এই অস্থভূতির এমন একটা জোর অাছে যে, উহার সম্বন্ধে কোন সংশয় মনে আসিতেই পারে না। এই অস্থভূতির সামনে সাধারণ জীবনের অভিজ্ঞতা যেন দাড়াইতেই পারে না ; এই সব অতি তুচ্ছ মনে হয়। দৈনন্দিন জগতের সহিত এই অনুভূতির জগতের কোনই সম্পর্ক খুজিয়া পাই না। এই দুইটি wift, coa to fossa (discontinuous) | দৈনন্দিন জগতটা একেবারে মিথ্যা এই কথা বলিতে চাই ন। এক হিসাবে ইহাও অনন্ত। কিন্তু বৰ্ত্তমানে অনুভূতির মধ্যে যে অনন্ত, শাশ্বত সত্যের সাক্ষাৎকার भार:ङहि डराव झांब इश चलि निहण्बब गडा । এই দুইটর মধ্যে কোন iোগস্থৰ পাই:তছি না। হয়ত ইহাদের মধ্যে কোন পদ্ধ থাকিতে পারে এবং ভূমীতে विजौन श्ब cनं८ण भ८ब्र इबङ कथंनe uहे अष८कब्र উপলব্ধি হইতে পারে। কিন্তু বর্তমানে ইহার কোনই উপলব্ধি হইতেছে না। বৰ্ত্তমানে সৰ্ব্বদাযে-সত্যের অনুভূতি করিতেছি, বহুদিন পূৰ্ব্বে জীবনে আর একবারমাত্র এই অনুভূতি হইয়াছিল।” অক্ষস্থ শরীরে তাহার পক্ষে অধিকক্ষণ কথা বলা ভাল নহে মনে করিয়া আমরা বিদায় লইবার জন্ত উঠিয়া দাড়াইলাম। দেওয়ালের এক কোণে আচাৰ্য্যদেবের একখানা ক্ষুদ্র প্রতিকৃতি ছিল। উহা দেখিয়া আমি বলিলাম, “আপনার এ ছবিখানা বড় স্বন্দর। ইহা هس-چf শুনিবামাত্র তিনি বাধা দিয়া বলিলেন, “এই নশ্বর দেহের প্রতি দৃষ্টিপাত করিও না। এই নশ্বর পদার্থের প্রতি কোন আসক্তি থাকা উচিত নয়। হিন্দুদের মধ্যে একদিকে যেমন পৌত্তলিকতা ছিল, অন্তদিকে তাহার বিপরীত একটা উচ্চ ভাবও ছিল। তাহারা ইতিহাস লিখিয়া বা প্রতিকৃতি গড়িয়া নশ্বর দেহ ও জীবনকে ধরিয়া রাখার বৃথা চেষ্টা করিতেন না।” আমরা প্রণাম করিয়া বিদায় লইতে উদ্যত হইলাম । কিন্তু তিনি করজোড়ে প্রণাম করিতে বাধা দিলেন। আমি বলিলাম, “আপনি এ কি করিতেছেন ? আপনি ষে আমাদের গুরু।” اص উত্তরে তিনি সসন্ত্রমে জোরের সহিত বলিলেন, “মানুষ কখনও গুরু হ’তে পারে না।” আমরা চলিয়া আসিলাম। পাহার সকল কথা হৃদয়ে প্রতিধ্বনিত হইঞ্জেরাগিল। কিন্তু হৃদয়ে এক তুমুল । সংগ্রাম উপস্থিত হইল। এক দিকে হৃদয়ের চিরপরিচিত, চিরপূজিত, মহাপণ্ডিত ডক্টর ব্রজেন্দ্রনাথ শীল, অন্যদিকে সকল পাণ্ডিত্যবিশ্বত, সংসারবিরক্ত অনিৰ্ব্বচনীয় ভূমানন্দেময় শিশুভাবাপন্ন মহাপুরুষ। প্রথম রূপটিই এতদিন আদর্শ ও আরাধ্য দেবতা বলিয়া বুদ্ধির নিকট পূজা পাইয়া আসিয়াছে। কিন্তু আজ আনন্দোজ্জল প্রশান্ত জ্যোতিময় শিশুমূৰ্ত্তির আবির্ভাৰে হৃদয়ে উভয়ের মধ্যে এক সংগ্রামের হষ্টি হইল ; এক সংশয় জাগিল—ইহাদের মধ্যে কে সত্য ? কে বড় ? কে জীবনের অাদর্শ ?