পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Եձ8 প্রবাসী—চৈত্র, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ২য় খণ্ড ভালবাসিতে ইচ্ছা হয়,-যদিও অধষ্ট্রের চিহ্ন তাতে স্পষ্ট হইয়া আছে। চুল আসিয়া পড়িয়া কপালের অৰ্দ্ধেকটা ঢাকিয়াছে। জুলপীটা বড়। রাস্তার ধূলাও হয়ত কিছু আছে। তা ছাড়া রৌদ্র-দগ্ধ। কিন্তু তবু অপূৰ্ব্ব । একটু ঘুমাইয়া পড়িয়ছিল। উঠিয়া দেখিল বেলা প্রায় পড়িয়া আসিয়াছে। সে তাড়াতাড়ি উঠিয়া পড়িল । পুকুরটার বাধানে সিড়ি দিয়া নীচে নামিয়া গিয়া একটুক্ষণ অমনি চাহিয়া বসিয়া রহিল। পকেট হইতে আরও কতগুলি পলাশ বাহির করিয়া জলে ফেলিয়া দিল । তারপর মুগ্ধ হাত পা ধুইয়া উঠিয়া গেল। ...একটা পাঞ্জাবীদের রেস্তর। ঠিক নোঙর। মা হইলেও পরিপাট নয়। চেয়ার নাই,--বেঞ্চি । টেবিলের কভার নাই। ঘরও অপরিসর । উন্ট দিকের এক সাহেবী হোটেল এর দৈন্যটাকে আরও স্পষ্ট করিয়া তুলিয়াছে। পান্ত আসিয়া তার সমুখে দাড়াইল। পকেটে একবার হাত দিয়া হয়ত পয়সা আছে কি না দেখিল । তারপর ভিতরে ঢুকিয়া পড়িল । পাঞ্জাবী হোটেলের মালিক হয়ত তাকে চেনে। বাবুজী বলিয়া আদর করিয়া বসাইল । চা চাই, তার—ষ্ঠা, পুরীও । সাহেবী হোটেলের অবৃকেষ্টার শব্দ কানে আসিতেছে। মোট একটা চুরুট কিনিয়া সে টানিতে লাগিল । শা; বেশ । তারপর আবার রাস্তা। তার চলার জার শেষ নাই—হয়ত উদ্দেশ্যও নাই কিছু। শুধু চলা। চলিতে পারায় যে কত আনন্ম তাহাই গে শুধু ভাবে। চল, শুধু চল,—মেঘের মত, আপনার প্রাণের লীলায়। অর্থহীন, কিন্তু মধুর। দোকান-পশার, হোটেল, বাড়ি, চুড়াআল। গির্জা, মন্দির, মসজিদ, পার্ক একটা, হয়ত একটা সিনেমার বাড়ি। কোথাও বিক্রেতা জিনিষ সাজাইয়া বসিয়া স্থাকে,—কোথাও লটারি, নয় ত ম্যাজিক । রাস্তায় যে কত রকম লোক, কত বিচিত্র ঘটনা, তার ঠিক নাই । বাসগুলি গন্তব্য স্থানের নাম করিয়া ইাকে। তার हेछ। क्ह्द्र बांगू-७ब्र कन्छाद्मोब्र इहेटउ। ए-श् कब्रिग्न শুধু ছুটিয়া চল,-ক্ষণে ক্ষণে দৃপ্ত বদলাইতেছে,—নতুন লোক কিছু ওঠে, কিছু নামে,–একটু থাম, তারপর আবার ছুটু। ভারী মজার ! এক রাস্তার মোড়ে কতগুলি নাবিক দাড়াইয়। হয়ত আজই কোন জাহাজে আসিয়াছে সুদূর কোন দেশ হইতে। বোধ হয় পর্তুগীজ। কেমন ওদের জীবন ! সীমা-হারা সাগরের ভিতর দিয়া দিনের পর দিন পাড়ি চলে। স্বৰ্য্য ওঠে, অস্ত যায়। দিক্‌চক্ররেখার পারে ছোট একটা তারা ফুটিয়া ওঠে। সমুত্রের কলধ্বনি আর মেসিন-চলার শব্দ। হয়ত গানও। নয়ত ঝড় ওঠে,—মৃত্যু-রাজের লীলার মত। বৃক দুরু-দুরু করে। জাহাজটা বুঝি ফাটিয়া যাইবে! মৃত্যু-ভাত নর-নারী আর্তনাদ তোলে । এমনি করিয় ভাবিতে ভাবিতে পান্থ চলিল গঙ্গার ঘাটে। জাহাজগুলির দিকে তাকাইয় দেখিয়া মনট কেমন হু হু করে। তার যদি একটা ডিঙি থাকিত তবে অমনি করিয়া আলো জালাইয়া নদীর জলে তাহারই প্রতিবিম্বের পীনে প্রহরের পর প্রহর ধরিয়া চাহিয়। থাকিত। দরকার থাকুক আর না-থাকুক পাল ৪ দিত একটা তুলিয়,--পাল-তোলা নৌকা দেখায় কি চমৎকার! ও-পারের চটকলগুলি আবছা দেখায়। বিজলী বাতিগুলি দেখিতে বেশ লাগে। সে যদি কলের কুলি হইত তবে হয়ত এতক্ষণ বাড়ি ফিরিয়া যাইত। ভাঙা আবর্জন-ভরা একটা ঘরের এক কোণায় তার খাটিয়া । তাহাতেই শুইয়া আছে এতক্ষণ। হয়ত একটু তাড়ি খাইয়াছে, একটু নেশা ধরিয়াছে। কলহের শব্দ আর ' তার সঙ্গে মাদলের। কি রকম বিচিত্ৰ ! সন্ধ্যা গড়াইয়া রাতে পড়িয়াছে তখন। সাহেবী পাড়ার নির্জন পথ দিয়া পান্থ চলিল অলসভাবে। কোনো তাড়া নাই, প্রয়োজন নাই। পথ-তরুগুলিতে ফুলের যে মঞ্জরী ধরিয়াছে তাহার গন্ধে বাতাস ভারী। চুটিয়াচলা দু-একটা মোটর হইতে পেট্রলের গন্ধও আলিতেছে। অদ্ভুত সংমিশ্রণ! আলোক বিচ্ছুরিত বাতায়নগুলি কি চমৎকার দেখাইতেছে। ঘরের ভিতর যাইলে কিন্তু