পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা J कृषि" !›ብ¢ፃ মধুলিকার বুকের ভিতর একটা কাপ্পা ঘনাইয়া আসিল । কি আপন-ভোলা মানুষ,—শুধু ছবি ছবি করিয়া পাগল হইয়া আছে। জীবনের সাধনাকে অমন করিয়া আর কাহাকেও সে গ্রহণ করিতে দেখে নাই। অজয় জীবনের ছবি অঁাকে । যেমন আঁকে জ্যোৎস্নার ছবি তেমনি আঁকে দুপুরের ছবি। শরতের সোনার প্রভাত আঁকিয়া ভোলে না বৈশাখী সন্ধ্যার ঝড়ের কথা। মর্থর প্রাসাদগুলি যেমন আছে, তেমনি আছে দরিত্রের বস্তি । তার কত বেদনা, কত গ্লানি, সেখানকার জীবনের কত দীনতা, কত ক্ষত্নতা, সব তার তুলির টানে ফুটিয় ওঠে। যুবতীকে আঁকিতে গিয়া বৃন্ধর কথা সে ভোলে না । ভীড়ের ছবি, হাট-হট্টগোলের ছবি, মাতালের ছবি, কুষ্ঠরোগীর ছবি তার আর্টে স্থান পায় যেমন পায় পলাশগাছ, যেমন পায় অভিলারিকা, যেমন পায় বসন্তের বর্ণসম্ভার। জীবনের ছবি অঁাকে । - মঞ্ছলিকা বলিল,—তোমার জামাগুলি এনে দিয়ে যেয়ো আমায়, ঠিক ক’রে দেবে। দিয়ে যাবে তো ? — বলতে পারি নে । মধুলিকা হঠাৎ উচ্ছ্বলিত হইয়া উঠিল। হাত বাড়াইয়া অজয়ের হাত চাপিয়া কহিল,—আমাকে এখান থেকে তুমি উদ্ধার ক’রে নিয়ে যাও অজয় । —পাগলামি ক’রো না মঞ্জুলি ! মধুলিকার চোখে অঙ্গ টলমল করে। —হয়ত আমি পাগলই হয়ে যাব अबु–निब्राउ শুধু তোমার কথা ভাবি । আজ ক্লাসে হঠাৎ ८** ফেলেছিলাম জানো ? عقی یی ' अखब्र চুপ । . —একটা কথার জবাব দেবে অজয় ? —কি কথা ? —তুমি,-তুমি আমাকে সত্যি ভালবালো না 7 বলে बःण, आधि छान्द्रङ झाइँ । चछज्ञ ध्यकिङ्ग फेब्रैश । बूर्का इ-इ करत्न,–जथिन হাওয়ায় কৃষ্ণচুড়ার পাতার মত। গেটের উপরে মাধবী . লতাট। ছলিতে লাগিল। একটা পার্থী শিস দিয়া পলাইল, কোথা হইতে একটা ঘন স্বগন্ধ চুটিয়া জাগিল। একটু চুপ व्रख्ध থাকিয়া অজয় যলিল,—কাল ভেবে এর জবাব দেব, यक्षुनि । তারপর আবার চুপ। অজয় সহসা মুখ ফিরাইয়া তড়িাতাড়ি ইন্টিয়া চলিয়া গেল। আর সেই বাতায়নের ধারে হাতে মাথা গুজিয়া মঞ্চলিক অঙ্গতে ভাঙিয়া পড়িল । ভোরের আলো অজয়ের ঘরে আলিয়া পড়িয়াছে, ছোট্ট ঘরট, আসবাবপত্র খুবই কম। কিন্তু তাই বলিয়া তার সাজসজ্জার মত ছেড়া-ভাঙা অ-গোছাল নয়। তার কারণ, বোধ হয় এই যে, ঘরে দিনের কোনো সময়েই সে থাকে না প্রায় । দেওয়ালে কতকগুলি ছবি—কিছু তার নিজের, কিছু দেশী-বিদেশী ক’জন বড় পটুয়ার। একটা ইজেল—তাতে অসমাপ্ত একটা ছবি। डाब्र घट्द्रब छानाणाद्वै ब्र काटछ निभ-भाइब ७कफै। ডাল আসিয়া পড়িয়াছে । একটা কোকিল ডাকিল । চোখ মেলিয়া বাহিরে তাকাইয়া অজয় চমকিয়া উঠিল । ঈস্! ভারী বেলা হইয়া গিয়ছে। অন্ধকারের অন্তঃপুরে প্রথম আলোর দুয়ার-নাড়া দিনের পর দিন সে দেখে তবু তার তৃপ্তি হয় না । কি অপরূপ সেই শুভক্ষণটি ! তাড়াতাড়ি উঠিয়া পড়িয়া জানলার কাছে গিয়া সে দাড়াইল । নিম-কিশলয়ের উপর দিয়া এক ঝলক ভোরের আলো জাসিয়া তার মুখে পড়িল—উষসীর আশীৰ্ব্বাদের মত। চুপ করিয়া সে দাড়াইয়া রহিল। ভাবিল, মঞ্জুলিকার স্বপ্ত সুন্দর মুখখান এই পবিত্র স্নিগ্ধ আলো যাইয়া, কেমন না জানি রাঙাইয়া দিয়াছে। আর মঞ্জুলিকা ভালবাসে তাকে ---কিন্তু--- J অজয় বাহিরে যাইবার জন্ত প্রস্তুত হইয়াছে, ভাবিতেছিল কোথায় যাইবে আজ । কোন এক বাজারে গিয়া ক্রেতাবিক্রেতা দর-কষাকষি দেখিলে কেমন হয় ? তারপর আপিস-পাড়ায় দাড়াইয়া দেখিবে মন্দভাগ্য কেরাণীরা উৰ্দ্ধগতিতে আপিসে ছুটিয়াছে—গুড়ি, মোটর, ট্রাম, বাস। তারপর সেখান হইতে ছুট। ব্যবসা-পল্লীতে চেঁচামেচি, হৈ-চৈ হটগোল। পিচের গরমে রিক্স-অালার প। পুড়িয়া যায়, মাখ-ফাট রোদে ক্লিষ্ট গাড়োয়ান গল্পগুলিকে