পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিম্পক্ষেত্রে বিজ্ঞানের প্রয়োগ জীপ্রফুল্লকুমার মহাপাত্র, বি-এস-সি রসায়নশাস্ত্র শিল্পক্ষেত্রে যে আশ্চৰ্য্য পরিবর্তন ও উন্নতি আনয়ন করিয়াছে, তাহা ভাবিলে বিস্থিত হইতে হয়। আজ পৃথিবীর সভ্যতা বলিতে যাহা বুঝায়, তাহা জন্মলাভ করিয়াছে রাসায়নিকের ক্ষুদ্র টেষ্ট টিউব হইতে এ-কথা বলিলে বোধ হয় অত্যুক্তি হয় না। রাসায়নিকের গবেষণার ফলে কত মৃত শিল্প পুনৰ্জ্জীবন লাভ করিয়াছে, কত নূতন নূতন শিল্পের আবির্ভাব হইয়াছে এবং রসায়নশাস্ত্র কতদিকে কত প্রকার শিল্পকে যে নিয়ন্ত্রিত করিতেছে, তাহার বিস্তৃত বিবরণ এই প্রবন্ধে দেওয়া সম্ভব নহে। জাৰ্শ্বেনী, আমেরিকা প্রভৃতি দেশে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানে কত রাসায়নিক গবেষক নিযুক্ত রহিয়াছেন ; কারণ র্তাহারা বুঝিয়াছেন যে, তাহার রাসায়নিক গবেষকের বেতন এবং সাজসরঞ্জাম বাবদ যাহা খরচ করিতেছেন, তাহার সহস্ৰগুণ লাভ করিয়া লইতেছেন ব্যবসাতে । রাসায়নিক গবেষকের সাহায্যে শুধু যে এক একটা শিল্পে প্রচুর টাকা আদায় করিয়া লইতেছেন তাহা নহে, গবেষণার ফলে অতি অল্প সময়ের মধ্যে একটি প্রধান শিল্প হইতে কত প্রকারের শিল্প যে গঙ্গাইয়া উঠিতেছে তাহার ইয়ত্তা নাই। কোন কাজে লাগিবে না, অব্যবহার্ষ্য বলিয়া যে-সকল জবা ফেলিয়া দেওয়া হয়, রাসায়নিক তাহা হইতে সোনা ফলাইয়া লইতেছেন। এক কলিকাতায় প্রায় চারি শত ক্ষুদ্রবৃহৎ চামড়ার কারখানা রহিয়াছে। এই সকল ট্যানারীতে প্রতিদিন শত শত র্কাচ চামড়া কাটিয়া ছিড়িয়া অব্যবহার্ষ্য অংশ বাদ করিয়া দেওয়া হইতেছে। প্রতিদিন শুধু কলিকাতা শহরেই ঐ প্রকারে বহু মণ অব্যবহার্ষ্য কাচা চামড়ার টুকরা নষ্ট হইয়। যাইতেছে। যদি কেহ গবেষণার দ্বারা ঐ সমস্ত টুকুর চামড়া হইতে শিরিশ প্রস্তুত কিরূপে সম্ভবপর হইবে ঠিক করিয়া ঐ প্রকার একটি কারখানা খোলেন, জাহা হইলে ট্যানারীর ঐ সকল টুকরা টুকরা দুৰ্গন্ধ চামড়া হইতে বুদ্ধির কৌশলে টাকা আদায় করিয়া লইতে পারেন। কিন্তু এক্ষণে সমস্ত ভারতবর্ষে ঐক্কপ একটও কারখানা নাই । স্বন্দরবনের ভীষণ জঙ্গলে গরান, স্বন্দরী প্রভূতি বৃক্ষ প্রচুর রহিয়াছে। সকলেই এতদিন ঐ সমস্ত বৃক্ষকে জালানী কাঠ এবং র্কাচ ঘর প্রস্তুতের জন্ত ব্যবহার করিত। ঐ সমস্ত বৃক্ষের কষ হইতে যে কাচা চামড় পাকা করা যায়, তাহা ভারত গভর্ণমেণ্টের ট্যানিং এক্সপার্ট পিলগ্রিম সাহেবই গবেষণার দ্বারা আবিষ্কার করেন। এক্ষণে যদি ঐ গরানের কষে উপযুক্ত রূপ চামড়া প্রস্তুত করা যায়, তাহা হইলে ভারতে ট্যানিং শিল্পের অত্যন্ত উপকার হুইবে । টার্টারিক এসিড একটা অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্য, বাজারে ইহার বেশ কার্টুতি, জানা গিয়াছে তেঁতুলে এই টার্টারিক এসিড আছে, আমাদের দেশে বহু তেঁতুল জন্মে, তাহার সামৃত অংশ মাত্র আমাদিগের জিহার অমরসের খোরাক জোগায়, বাকী ८बनीब्र अिह पञइव्षू नहै হইয়া যায়। গবেষণার দ্বারা যদি ঐ ভূেল হটতে ংগ্রাতের একটি শিল্পোঞ্জী প্রণালী উss) আবিষ্কার করা বা তাহা হইলে টাক আদায়ের একটা স্তন উপায় সৃষ্টি হয় r এই প্রকার কত উপায়ে নূতন নূতন গবেষণার দ্বারা দেশের শিল্পের উন্নতি করিয়া ৰে ধনবৃদ্ধির সহায়তা করা যাইতে পারে তাহার সম্পূর্ণ বিবরণ কেহই দিতে পারিবেন না। কয়লা একটি খনিজ পদার্থ। সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসর ভূগর্ভের চাপে থাকিয়া বৃক্ষবহুল বনানী পাথুরে কয়লার । অবস্থা প্রাপ্ত হইয়াছে, ইহাই বৈজ্ঞানিকগণের মতে কয়লার জন্মের কারণ। ইহার রং ঝিম্ কালে, টিপিয়া একটুও (commercial p