পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bቴrbo প্রবাসী—চৈত্র, ১৩৩৮ [७s* छां★, २ग्न थ७ অল্প কয়েকটি বিষয়ে তিনি বলেন – বাংলার আকাশ বাতাস আজ অপহৃত, নিগৃহীত। অত্যাচরিতা নারীর জার্তম্বরে মুখরিত, হিন্মুনারীর নির্বাতন ও অপহরণের কথা প্রতিদিনের সংবাদপত্রকে কলঙ্কিত করিতেছে । ইহার প্রতিকার আমাদিগকে কয়িতেই হইৰে । এই সমস্তার প্রতি আমি জাপনাদের মনোখে;- বিশেষভাবে অাকর্ষণ করিতেছি । ব্ৰহ্মচৰ্য্যপালনে অসমর্থ বালবিধবাদিগের বিবাহের ব্যবস্থা না থাকায় সামাজিক জীবন স্থানে স্থানে কলুষিত হইতেছে । মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তিকে সৎপথে ও সংযমের পথে পরিচালিত করা সমাজের একটি বিশিষ্ট কৰ্ত্তব্য। দেশ কাল পাত্র বিবেচনায় সমাঞ্জের হিত্তের দিকে দৃষ্টি রাখিয়া এরূপ বিধবাদিগের পুনবিবাহ প্রচলিত হওয়া আমি আবগুক মনে করি । - আর একটি সামাজিক সমস্তার প্রতি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে চাই। হিন্দুসমাজে সাধারণতঃ দেশাচারভঙ্গকারীকে সমাজ বর্জন করেন। বিধবাবিবাহ, অসবর্ণ বিবাহ, তথাকথিত অস্পৃস্তের সহিত পান ভোজন প্রভৃতি কারণে আমরা কষ্ট নরনারীকে বর্জন করিয়াছি—তাহার ইয়ত্তা নাই। এই কাৰ্য্যের দ্বারা আমরা আমাদিগের শত্রু স্থষ্টি করিয়াছি—শত শত হিন্দুকে মুসলমান ও খৃষ্টানের আশ্রয়গ্রহণে বাধা করিয়াড়ি—শত শত নিরপরাধিনী নারীকে গৃহত্যাগে বাধা করিয়াছি। যাহাতে এই বৰ্জুন-নীতি হিন্দু:সমাজ হইতে অস্তুছিত হয় এবং সামাজিক শাসনের ধারা পরিবৰ্ত্তিত হয় তজ্জন্ত আমাদের সমবেত চেষ্টা আবগুক । হিন্দু মুসলমান সংঘর্ষ সম্বন্ধে তিনি বলেন – হিন্দু মুসলমান সংঘর্ষ জাজ ভারতের বক্ষে এক শোচনীয় অবস্থার স্বষ্টি করিয়াছে, তাহ। আপনাদের অবিদিত নাই । এই যে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ ইহা হিন্দু ও মুসলমান উভয় সমাজেরই অনিষ্টজনক। যে মনোবৃত্তি মুসলমানকে ছিন্মুর উপর অত্যাচার করিতে প্রণোদিত করে উহা সমুদয় সভ্য-সমাজের দ্বারা সৰ্ব্বত্রই যুণিত হইয়াছে । কিন্তু, বাংলার হিন্দুকে বাচিয়া থাকিতে হইলে একদিকে যেরূপ প্রতিবেশী মুসলমানের মনোবৃত্তি পরিবর্তনের উপযোগী শিক্ষণ প্রচার করিতে হইবে--অন্যদিকে অত্যাচারীর হস্ত হষ্টতে ধন-প্রাণ মান-মৰ্য্যাদা রক্ষার উপযোগী শক্তি ও সাহলও অর্জন করিতে হইলে এবং সংঘ বা সমষ্টি হিসাবে জাপ্পুরক্ষার প্রস্ত চেষ্টিত হইতে হুইবে । এই বিষয়টি যতই সাময়িক হউক, ইহা বাংলার ছিষ্ণুর পক্ষে একটি সমস্ত। র্তাহার মতে “বৰ্ত্তমান সময়ে বাংলার হিন্দু-সমাজে অস্পৃশ্যতা পাপ প্রায় বিলুপ্ত হইয়াছে। এখনও যে-সকল স্থানে ইহা বর্ধমান আছে তাহাও অবিলম্বে দূর হইবে।” অস্পৃশ্যতা-বোধ রূপ পাপের সম্পূর্ণ বিলোপ আমরা চাই। উহা অনেকটা কমিয়াছে এবং দক্ষিণ-ভারতের মত উহা বঙ্গে প্রবল নহে সত্য ; কিন্তু উহার সম্পূর্ণ বিলোপ সাধন করিতে হইলে এখনও বহুমুখী চেষ্টার প্রয়োজন। সদর খাজনার দায়ে তালুক নিলাম বঙ্গের অনেক জেলা হইতে খাজনা দিতে না পারায় বিস্তর তালুক ও মহল বিক্রীর সংবাদ আসিতেছে । কোথাও কোথাও ক্রেতার অভাবে নিলাম নিষ্ফল হওয়ার খবরও আপিতেছে। ইহা বঙ্গের আর্থিক দুরবস্থার একটি বিশিষ্ট প্রমাণ । অনেক বৎসর হইতে বাংলা দেশে ধনশালী বণিকশ্রেণীর অভাব লক্ষিত হইতেছে। জমিদাররাই বঙ্গে ধনী বিবেচিত হইয়া থাকেন। কিন্তু তাহাদেরও আর্থিক অবস্থা খারাপ হইয়াছে। ബ് কৃষিপ্রধান বঙ্গে কৃষিশিক্ষার অভাব বাংলা দেশে পণ্যশিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য শিক্ষার প্রয়োজন অবশুই আছে । কিন্তু ষে কৃষি সাক্ষাৎ বা পরোক্ষ ভাবে বঙ্গের অধিকাংশ লোকের জীবনোপায় তাহার প্রয়োজন অন্ত কোন প্রকার বৃত্তিশিক্ষা অপেক্ষ কম নহে, বরং বেশী। অথচ সমগ্র বঙ্গে চাষ শিখাইবার জন্য একটিও উচ্চ বিদ্যালয় নাই, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার একটি বিষয় নহে । কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বছর দশ একজন ছাত্রহীন কৃষি অধ্যাপকের বেতনাদি বাবতে লাখখানেক টাকা নষ্ট করিয়াছেন । ীিঘাপতিয়ার স্বৰ্গীয় কুমার বসন্তকুমার রায় কুষিশিক্ষালয় স্থাপন করিবার নিমিত্ত আড়াই লক্ষ টাকা দান করিয়া যান। তাহা এখন সুদ-সমেত চারি লক্ষ হইয়াছে শুনিতে পাই ...কিন্তু সরকারী বিশেষজ্ঞেরা ঐ টাকার আয় হইতে শিক্ষালস্থাপনে রাজী নহেন। র্তাহারা নাকি (অনির্দিষ্ট) ভবিষ্যতে খুব উচ্চ অঙ্গের একটা শিক্ষালয় স্থাপন করিবেন ... কিছু নৃ} ইহা একটা বাজে"ওজর ম3 সরকা কৃষি-বিভাগ গোটাকতক ধান পাট ও আকের জ বৎসরের পর বৎসর আওড়াইয়া নিজের কষ্টব্য ੇਖਕੇ করিতেছেন। ভারতবর্ষের খাদ্যশস্তের মধ্যে চাল প্রথমস্থানীয়। ইহা ভারতের অধিকাংশ লোকের প্রধান খাদ্য। বাংলা দেশেই সকলের চেয়ে বেশী চাল উৎপন্ন হয়। পাট ভারতবর্ষের আর একটি প্রধান কৃষিজাত ফ্রব্য । ভারতবর্ষে যত জমীতে পাট হয়, তাহার শতকরা ৮৫ অংশ বক্ষে স্থিত । চা-ও একটি প্রধান কৃষিজাত জবা, এবং তাহা