পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

じー。● বুেদ্ধন সামরিক কলেজ স্থাপনের উদ্দেশু বলিয়া ঘোষিত হইয়াছে। বৎসরে যে ১৫টি ছাত্রকে ভৰ্ত্তি করা হুইবে, তাহারা সবাই শেষ পৰ্য্যন্ত স্বশিক্ষিত ও পরীক্ষোত্তীর্ণ হইলে, উপরের সংখ্যাগুলি অনুসারে, ৩১৪১ কর্মচারী পাইতে হতন বৎসর, ৩২০০ জন পাইতে ২১৪ বৎসর, ৩৬০০ জন পাইতে ২৪০ বৎসর, এবং ৬৮৬৪ জন পাইতে ৪৫৮ বৎসর লাগিবে। অতএব ব্রিটিশ গবন্মেন্টের স্থমহং অনুগ্রহে যে কলেজ স্থাপিত হইতেছে, তাহার প্রসাদে সমুদয় ভারতীয় সৈন্যদলে উপর হইতে নীচে পৰ্য্যস্ত ভারতীয় সেনানায়ক নিযুক্ত হইতে নূ্যনতম সময় ২১০ বৎসর এবং দীর্ঘতম কাল ৪৫৮ বৎসর লাগিবে। সাতিশয় আশাপ্রদ ও সুখকর সংবাদ ! আর একটি সংবাদের ঝাপটা বাতাসে এই ক্ষীণ দীপশিখাটিও নিবিয়া যায়। ভারতীয় সামরিক কলেজ কমিটিকে গবন্মেণ্ট যে-সব তথ্য জোগাইয়াছিলেন তদনুসারে রাজ-কমিশন-প্রাপ্ত কৰ্ম্মচারীদের মধ্যে বার্ষিক অপচয় ( wastage ) ঘটে ১২৭টি, অর্থাৎ তাহদের মধ্যে মৃত্যু, পেন্সান-প্রাপ্তি, ইস্তফা-প্রদান ও পদচ্যুতি বাবতে প্রতি বৎসর ১২০টি কর্ণ খালি হয়। স্বতরাং প্রতি বৎসর যে ১৫টি ভারতীয় ছাত্রের শিক্ষা সমাপ্ত হইবে, তাহাদের দ্বারা ত এই শূন্ত পদগুলিরই পূৰ্ত্তি হইবে না ; অন্ত পদে নিয়োগ ত দূরের কথা। এই সকল তথ্য বিবেচনা করিয়া আমাদের এই ধারণা হইয়াছে, যে, ভারতবর্ষে স্বরাজ স্থাপন ব্যতিরেকে ভারতীয় সৈন্যদলে আপাদমস্তক ভারতীয় কর্তৃত্ব স্থাপিত হইবে না। আবার অল্পদিকে ইংরেজরা আমাদিগকে বলেন, “তোমরা নিজেদের সামর্থ্যে যুদ্ধ দ্বারা ভারত-রক্ষায় সমর্থ না হইলে স্বরাজ পাইতে পার না।” অথচ আমাদের সেই সামর্থ্যলাভের শিক্ষার সমাপ্তি ইংরেজ রাজত্বে যদি কখনও হয়, তাহাও দুই শতাব্দীর কমে নহে! বিষম সমস্ত !! উচ্চ ইংরেজী মুসলমান বালিক-বিদ্যালয় সম্প্রতি মৌলবী তমিজ উদ্দীন খাঁ বন্ধীয় ব্যবস্থাপক সভায় এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, যে, সমগ্র বাংলা প্রবাসী—চৈত্র, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ২য় খণ্ড দেশে মুসলমান বালিকাদের জন্ত কোন উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয় আছে কিনা এবং কলিকাতায় ঐক্কপ একটি স্কুল স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছিল কি না ? তাহার উত্তরে শিক্ষামন্ত্ৰী মিঃ নাজিম উদ্দীন বলেন, বঙ্গে ওরূপ কোন বিদ্যালয় নাই, গবষ্মেন্ট ওরূপ একটি বিদ্যালয় স্থাপনের বিষয় চিন্তা করিতেছেন। এই প্রশ্নোত্তরগুলির ঠিক অর্থ বিশদ নহে। কেবল মাত্র মুসলমান বালিকাদের জন্য গবষ্মেন্ট উচ্চ ইংরেজী বালিকাবিদ্যালয় নাই, ইহা সত্য কথা । কিন্তু কেবলমাত্র হিন্দু বা খ্ৰীষ্টিয়ান বালিকাদের জন্তও গবন্মেণ্ট কোন উচ্চ ইংরেজী বালিক-বিদ্যালয় স্থাপন করেন নাই এবং চালান না। স্বতরাং কেবলমাত্র অতি অল্পসংখ্যক মুসলমানবালিকাদের জন্ত ঐৰূপ বিদ্যালয় স্থাপন করা উচিত হইবে না। শিক্ষার জন্ত গবন্মেণ্ট সামান্তই খরচ করেন। সেই খরচ এরূপ প্রতিষ্ঠানের জন্ত করাই বাঞ্ছনীয় যাহাতে সকল ধর্মের ও জাতির ছাত্র বা ছাত্রী পড়িতে পারে। ব্রিটিশ রাজত্বের গোড়াকার সময়ে যেমন হিন্দুদের জন্ত কলিকাতা সংস্কৃত কলেজ তেমনি মুসলমানদের জন্ত কলিকাতা মাদ্রাসা স্থাপিত হয়। তাহার পর কেবলমাত্র হিন্দুদের জন্ত কোন উচ্চ শিক্ষালয় স্থাপিত হয় নাই, কিন্তু মুসলমানদের জন্ত কলিকাতা ইসলামিয়া কলেজ, ঢাকা ইস্লামিক ইন্টারমীডিয়েট কলেজ, চট্টগ্রাম ইসলামিক ইন্টারমীডিয়েট কলেজ, রাজসাহী মাত্রাল, ঢাকা-মাত্রাস, হুগলী মাত্রাস, এবং চট্টগ্রাম মাত্রাল রং পিতৃ হইয়াছে। क्रण (हेत्राबिक हेफेब्रशैट्रिक':भुक्षू কোরান স্কুল গুটি মুয়াদি "শে" দিয়াও) কেবল মুসলমানদের শিক্ষার খঙ্গৰাশ । বাধিক ব্যয় হয় প্রায় ধোল লক্ষ টাকা। *েহিন্দুদের শিক্ষায় ব্যয় হয় এক লক্ষে ছু বেশ স্ট্রাকা। বিশেষ বৃত্তান্ত গত ( ১৯৩১), নবেম্বর মাসের মর্ডার্ণ রিভিউ পত্রিকার ৫৪৪-৭ পৃষ্ঠায় স্রষ্টব্য। ১৯২৯-৩০ সালের বাংলা দেশের শিক্ষা-রিপোর্টের ৩১ পৃষ্ঠায় লেখা আছে, যে, ঐ বৎসর সখাওয়াং মেমোরিয়াল বিদ্যালয়, উচ্চ ইংরেজী বালিকা-বিদ্যালয়ে পরিণত হইয়াছে। স্বতরাং একথা সত্য নহে, যে, কেবলমাত্র