পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ—নারীশিক্ষা-সমিতি yఫిలి AAAAAA AAAA AASAASAASAASAASAASAAAS S TAAA SAAAAA SAAAAASA SAASAASAAAS ইহাও উপলব্ধি করা আবগুক, বে, দেশের লোকেরাও এবং গবন্মেষ্টও এই সব ঘটনা ঘটিবার জন্ত পরোক্ষভাবে দায়ী —দায়ী এ অর্থে নহে, যে, গবন্মেষ্ট বা দেশের লোকসমষ্টি কাহাকেও এরূপ অপরাধ করিতে প্ররোচিত করে, কিন্তু এই অর্থে স্থায়ী, যে দেশের রাজনৈতিক অবস্থা যেরূপ হইলে ঐ প্রকার অপরাধ ঘটে না তন্ত্রপ অবস্থায় দেশকে আনয়ন করিবার জন্ত সৰ্ব্বসাধারণ যথেষ্ট চেষ্টা করেন নাই, এখনও করিতেছেন না, এবং গবষ্মেন্টও করেন নাই, করিতেছেন না। রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক কোন প্রকার অপরাধেরই প্রতিকার কেবল অপরাধীর দণ্ডদান দ্বারা হইতে পারে না। ছাত্রদের দীর্ঘ অবকাশ যে-সকল ছাত্র ও ছাত্রীর পরীক্ষা শেষ হইয়া গিয়াছে বা অবিলম্বে শেষ হইবে তাহার কয়েক মাস অবকাশ পাইবেন। এ বৎসর বাহাদিগকে পরীক্ষা দিতে হইবে না, তাহাদেরও গ্রীষ্মাবকাশ আরম্ভ হইতে বেশী দেরি নাই। এই দীর্ঘ অবকাশ-কাল তাহারা কিরূপে যাপন করিবেন, তাহ স্থির করিবার মত বুদ্ধি তাহাদের আছে।. পাঠ্যপুস্তক ছাড়া অন্য রকমের বহি অনেকেই পড়িবেন। দেশের নানা অভাবের দিকে অনেকেরই দৃষ্টি পড়িবে। নানা গ্রাষ্ট্রে ধ্ৰু-অভিযোগ ইতিমধ্যেই শুনা যাইতেছে వ్రై লোকদিগকে | - * - - - భొూ.ప o 36 يوليو শের-৬৮ শ্রেণার ও “নিম্ন" শ্রেণীর লোকদের, লিখনপঠনক্ষম ও নিরক্ষরদের মধ্যে যোগ ও ঘনিষ্ঠতার অল্পতা বা অভাবের “স্বযোগে” ভারতশত্রুরা ভারতবর্ষের অনিষ্টচেষ্টা দীর্ঘকাল হইতে করিয়া আসিতেছে, এবং তাহার চেষ্টা না করিলেও এরূপ অবস্থা . স্বভাৰত অনিষ্টকর এবং ভারতবর্ষের দুর্বলতার একটি কারণ ; এই জন্য দরিদ্র, নিরক্ষর, ও শ্রমজীবী শ্রেণীর লোকদের সহিত প্রীতি ও সেবা দ্বারা আত্মীয়তা স্থাপন একান্ত আবিস্তক । লোকহিতের এইরূপ আরও নানা ক্ষেত্র ও উপায় রহিয়াছে। ধাহারা হিতসাধন করিতে চান, তাহারা আত্মশুদ্ধি দ্বারা কাৰ্য্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হউন । নারীশিক্ষা-সমিতি বালিকাদের ও প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের শিক্ষার জন্য বাংলা দেশে অনেকগুলি সমিতি কাজ করিতেছে। সকলগুলিই উৎসাহ ও সাহায্য পাইবার যোগ্য । আমরা মাসের মধ্যে কেবল একবার নানাবিধ বিষয় সম্বন্ধে লিখি । এই জন্য যথাসময়ে সমুদয় সমিতি সম্বন্ধে কিছু লিখিতে পারি না । দৈনিক কাগজ হাতে থাকিলে এরূপ হইত না। বর্তমানে নারীশিক্ষার জন্য যতগুলি পুরাতন সমিতি কাজ করিতেছে, নারীশিক্ষা-সমিতি তাহাদের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু পুরাতন হইলেও ইহার উৎসাহ উদ্যম ও কাৰ্য্যকারিত কমে নাই। ইহার ১৯৩০-৩১ সালের বার্ষিক রিপোটে দেখিতেছি, ১৯৩১ সালের ৩১শে মার্চ পৰ্যন্ত এই সমিতির চেষ্টায় চল্লিশটি বিদ্যালয় স্থাপিত হইয়াছে, তাহার মধ্যে ছয়টি বন্ধ হইয় যাওয়ায় চৌত্রিশটি চলিতেছে। বিধবাদের শিক্ষার জন্ত বিদ্যাসাগর বাণীভবন দুইটি ছাত্রী লইয়া ১৯২২ সালে স্থাপিত হয়। ১৯৩১ সালের ৩১শে মার্চ ছাত্রীসংখ্যা ছিল আটাজশটি । যাহারা শিক্ষালাভের পর চলিয়া গিয়াছেন তাহারা সমেত ঐ তারিখ পর্য্যন্ত ১২২টি ছাত্রী ভৰ্ত্তি হইয়াছিলেন। ২৭৫টি ছাত্রীর ভূঞ্জি হইবার আবেদন তখন বিবেচনাধীন ছিল। সৰ্ব্বসাধারণের নিকট হইতে যথেষ্ট অর্থসাহায্য পাইলে নারীশিক্ষা-সমিতি ইহাদের সকলকেই ভৰ্ত্তি করিয়া লেখাপড়া এবং সছুপায়ে জীবিকা অর্জনের কোন বৃত্তি শিক্ষা দিতে পারেন। বিদ্যাসাগর বাণীভবনে স্থান দিয়া চল্লিশটি ছাত্রীকে কুটারশিল্প শিক্ষা দেওয়া হয়। তদ্ভিন্ন পঞ্চান্ন জন ছাত্রী প্রত্যহ বাড়ি হইতে আসিয়া কুটার-শিল্প শিখিয়া যান। এই সমুদয় ছাত্রীদের প্রভত সাত হাজার টাকার জিনিষ তিন বৎসরে বিক্ৰী হইয়াছে। নারীশিক্ষা-সমিতি অন্ত কাজও করিয়া