পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] প্রাসাদ দেখলুম ; সঙ্গে রাজবাড়ীর লোক ছিল, আমাদের নিয়ে বা’র-বাড়ী ভিভর-বাড়ী সব দেখালে । কবি বড়ো মণ্ডপট দেখে মঙ্কনগরোর কাছে গেলেন, তার সঙ্গে গল্প করতে লাগলেন – সঙ্গে দোভাষীর কাজ করবার জন্য লোক রইল। অণর বাড়ীর ভিতরে একটী গাছ-পালায় ছায়াময় আঙিনার ধারে দর-দালানে মস্কনগরোর খাসকামরা, তার রাণী—এর উপাধি হ’চ্ছে Ratoe Timor "রাতু-তিময়’ বা ‘প্রাচী রাজ্ঞী—র্তার খাস কামরা, বাগান, চিড়িয়াখানা, পর পর বড়ে বড়ে ছবিতে আর নানা জিনিলে সাজানো বিস্তর ঘর,—সব ঘুরে ঘুরে দেখলুম। প্রায় সবটাই একতালা ; দোতালা ঘরও খানকতক আছে। রাজবাড়ীর মেয়ের'—অতি স্বত্র স্থঠাম চেহারার মেয়ের সব—চলা-ফেরা ক’রছে, নানা শিল্প-কাজে ব্যাপৃত রয়েছে ৷ 'বাত্তিক’ কাপড় ছাপার কাজ একাধিক জায়গায় হ'চ্ছে । এই কাপড় ছাপার রীতিটার একটি বৈশিষ্টা আছে। যে নকৃশাট কাপড়ে ছাপতে হবে, তাতে হয় তো চারটে রঙ আসবে। পাতলা ক’রে গরম মোম দিয়ে সমস্ত কাপড়খানায় অন্ত রঙের ংশগুলি ঢেকে দিয়ে এক এক রঙে ছোপাবার ব্যবস্থা ক’রতে হয় । সমস্তটাই হাতের কাজ, আর অনেক সময়সাপেক্ষ । বাতিকের কাপড়ে এই রকমভাবে হাতে ক’রে নকৃশাগুলি মোমে ঢেকে ছোৰানো হয় ব’লে, এর নকশায় রঙে যে একটা কোমলতা এসে যায়, তা যন্ত্রের সাহায্যে— বিশেষতঃ বড়ো কলের সাহায্যে—ছাপা কাপড়ে পাওয়৷ অলম্ভব । কিন্তু বাতিক কাপড় বড়ো দামী, তাই এর চল ক’মে আসছে। তবুও হাতে তৈরী শিল্পের নিদর্শন হিসেবে ইউরোপের কলা-রসজ্ঞদের কাছে এর কদর হয়েছে ব’লে, আর যবদ্বীপের অভিজাত শ্রেণীর লোকের এই জিনিসকে এখনও ছাড়েনি ব’লে ঘবদ্বীপে এখনও বাতিকের যথেষ্ট সমাদর আছে। রাজ-রাজড়ার ঘরে ধনী লোকেদের ঘরে মেয়েরা এই শিল্পকে এখনও জাগিয়ে রেখেছেন। এক এক রাজার বা উচ্চবংশের এক একটী ক’রে বিশিষ্ট নকৃশার প্রচলন থাকে,-আর সেই নকৃশার কাপড় বিশেষ বিশেষ বংশের লোক না হ’লে সাধারণ লোকে আগে *'ब्रष्ठ नाबूङ नl, ७थनe चाहेcनब्र बाषl ना দ্বীপময় ভারত Ե-Գ থাকলেও কেউ পরে না । মঞ্জুনগরোর বাড়ীতে মেয়ের। এই শিল্পকে বেশ জীবিত রেখেছেন দেখা গেল। আমরা এই ভাবে ঘুরে ফিরে, কবি আর মঙ্কনগরে। আর তার রাণী যেখানে ছিলেন সেখানে এলুম। রাণীকে দেগলুম—দেখামা এই মনে একটা সম্বম জাগে । শুনলুম ইনি ষোগ্যকৰ্ত্তার এক রাজ-বংশের মেয়ে । ধে কোনও দেশের লোকে একে স্বন্দরী ব’ল্বে দেখতে তম্বন্ধী, বর্ণে গৌরী, আর খুব ডাগর চোখ-আমাদের ভারতবর্ষে যে রকম চোখকে সৌন্দয্যের বিশেষ লক্ষণ ব'লে মনে করে সেই রকম চোখ । তার রাণীরক্ট মতন সৌজন্য-পূর্ণ ব্যবহার, তার নিজের সহজ গৌরবে অবস্থান—আর সমস্তকে উদ্ভাসিত ক’রে ফেলে তার অতি স্বন্দর মিষ্টি হাপি । ইনি ইংরেজি জানেন না। মঞ্জনগরে আমাদের পেয়ে তার গ্রন্থাগার আর সংগ্রহশালা দেখালেন । ভারতবর্ষের সম্বন্ধে তার অনেক বঙ্গ আছে, আনন্দ কুমারস্বামীর Rajput Painting আছে দেখলুম, শুনলুম এখানে তার একটা প্রিয় বই । যবন্দ্বীপের প্রাচীন কালের হিন্দু আমলের সোনার গয়না, পিতলের মুষ্টি, তৈজসপত্র, এসব দেখালেন । প্রাচীন ছায়া-নাটকে ব্যবহৃত চামড়ায় কাটা পুতুল বিস্তর জড়ে করা রয়েছে –এইগুলির চর্চা তার বড়ে ভালো লাগে । কথা-প্রসঙ্গে খানিকক্ষণ বেশ কাটুল – এমন সময়ে চাকরে মঞ্চনগরোকে আর আমাদের একবাটা ক'রে গরম স্থপ আর বিষ্ণুট দিয়ে গেল। যবদ্বীপের রাজবাড়ার একটা কায়দ। লক্ষ্য ক’রলুম—রাজাকে কিছু দিতে হ’লে হাড় গেড়ে মাথায় ঠেকিয়ে তবে চাকরেরা দেয়, আর কেউ কিছু ব’লতে গেলে আগে দু হাত জোড় ক’রে র্ত্যকে প্রণাম কুরে, তারপরে কথা বলে, আর তার মুখের কথা শুনেও দু ੋਣ ‘জোড় ক'রে মাথায় ঠেকিয়ে যেন তার কথা গ্রহণ করে । এর পরে মঞ্চনগরে। আমাদের কয়েক-থও দুলভ বাতিক কাপড় উপহার দিলেন—এ কাপড় তার বাড়ীতেই তৈরী, আর সেগুলির নকৃশায়ও বৈশিষ্ট্য আছে। আমাকে যেখানি দিলেন সেটার জমী ঘন খয়েরের রঙের, তার উপরে হলদে সাধ। আর কালে রঃে নক্শ-নকশাটা হ’চ্ছে পক্ষ বিস্তার ক’রে গরুড়ের ; রাজবংশীয় ছাড়া