পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] অপরাজিত } es) থানিতে একটা শান্ত সহানুভূতি, স্নেহ প্রীতি, করুণা ৷ এক মুহূর্ভে জাজ দু বৎসরব্যাপী এই নির্জনতা অপুর যেন কাটিয়া গেল –সংসারে তাহার কেহ নাই, এ-কথা আর মনে হইল না! লীলার মত আপনার লোকের স্পর্শ জীবনে যে কত অমূল্য, তাহ কি এত দিন সে জানিত । লীলার পত্ৰ পাইবার দিন বারো পরে জাহার যাইবার দিন আসিয়া গেল । ছেলেরা সভা করিয়া তাহাকে বিদায়-সম্বন্ধন। দিবার উদ্দেশে চাদ উঠাইতেছিল—হেডমাষ্টার খুব বাধা দিলেন । যাহাতে সভা না হইতে পায় সেইজন্ত দলের চাইদিগকে ডাকিয়া টেষ্ট পরীক্ষার সময় বিপদে ফেলিবেন বলিয়৷ শালাইলেন—পরিশেষে স্কুল-ঘরে সভার স্থানও দিতে চাহিলেন না, বলিলেন—তোমর; ফেয়ারওয়েল দিতে স্বাচ্চ, ভাল কথা, কিন্তু এসব বিষয়ে আয়রণ ডিসিপ্লিন চাই—ধার চরিত্র নেই, তার কিছুই নেই, তার প্রতি কোনো সম্মান তোমরা দেখাও, এ আমি চাইনে, অন্তত স্কুল-ঘরে আমি তার জায়গা দিতে পারিনে। সেদিন আবার বড় বৃষ্টি । মহেন্দ্র সাবুই-এর আটচালায় জন-জিশেক উপরের ক্লাসের ছলে হেডমাষ্টারের ভয়ে লুকাইয়া হাতে লেখা অভিনন্দন-পত্ৰ পড়িয়া ও গাদা ফুলের মালা গলায় দিয়া অপুকে বিদায়-সম্বৰ্দ্ধনা করিল, সভাভঙ্গের পর জলযোগ করাইল । প্রত্যেকে পায়ের ধূলা লইল, তাহার বাড়ি আসিয়া বিছানাপত্ৰ গুছাইয়া দিয়া নিজেরা তাহাকে বৈকালের ট্রেনে তুলিয়া দিল । 響 聯 歌 অপু প্রথমে আসিল কলিকাতায় । একটা খুব লম্ব পাড়ি দিবে—যেখানে সেপানে— যেদিকে দুই চোখ যায়—এতদিনে সত্যই মুক্তি । আর সে কোনো জালে নিজেকে জড়াইবে না—সব দিক হইতে সতর্ক থাকিবে—শিকলের বাধন অনেক সময় অলক্ষিতে জড়ায় গিয়া পায়ে ? ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরীতে গিয়া সারা ভারতবর্ষের ম্যাপ ও ব্যাটলাস কয়দিন ধরিয়া দেখিয়া কাটাইল ড্যানিয়েলের ওরিয়েন্টাল সিনারি ও পিস্কার্টনের ভ্রমনবৃত্তাভের নানা স্থান নোট করিয়া লইল—বেঙ্গল নাগপুর ও ইষ্ট ইণ্ডিয়ান রেলের নানা স্থানের ভাড়া ও অন্যাক্স ठषा छिछांना कब्रिग्रां ८वक्लोहेण । गसब्र छैfक झाड আছে, ভাবনা কিসের ? কিন্তু যাওয়ার আগে একবার ছেলেকে চোখের দেখা দেখিয়া যাওয়া দরকার না । অপর্ণার মা জামাইকে এতটুকু তিরস্কার করিলেন না, একদিন ছেলেকে না দেখিতে আসার দরুণ বরং এত আদর যত্ন করিলেন যে, অপু নিজেকে অপরাধী ভাবিয়া সঙ্কচিত হইয়া রছিল । ছেলে তিন বৎসর ছাড়াইয়াছে—ফুটফুটে স্বন্দর গায়ের রং—অপর্ণার মত ঠোঁট ও মুখের নীচেকার ভঙ্গী, চোখ বাপের মত ডাগর ডাগর । কিন্তু সলণ্ডদ্ধ ধরিলে অপর্ণার মুখের আদলই বেশী ফুটিয়া ওঠে থোকার মুখে। প্রথমে সে কিছুতেই বাবার কাছে আপিবে না, অপরিচিত भूथ cमशिग्ना ख्रश्न निर्मिधारक जफ़ाहेब ब्रहिण-अभूत्र মনে আঘাত লাগিলেও সে হাসিমুখে ছাত বাড়াইয়৷ বারবার খোকাকে কোলে আনিতে গেল-ভয়ে শেষকালে খোকা দিদিমার কাধে মুখ লুকাইয়া রছিল । সন্ধ্যার সময় কিন্তু খুব ভাব হইল। এত কথাও বলে থোকা । তাহাকে বাবা বলিয় বার দুই তিন ডাকিয়াছে—বলে—ফার্থী,—ফার্থী—উষ্ট এণ্ড ফার্থী— ফাখা নেৰই বাবা। অপু বলে—কই রে পাখী থোক ? চল আমরা বেড়িয়ে আসি—অনেক ধরে দেব, চল। এতদিন মুখ দেখে নাই, বেশ ছিল—কিন্তু দিন দুই ছেলেকে কাছে কাছে পাইণর পরে এমন এক মমতা ও অতুকম্পা ছেলের উপর বাড়িয়া উঠিল যে, একদণ্ড চোখের আড়াল হইলে অপু অস্থির হইয়া উঠিতে থাকে। ছেলেকে লইয়া মাঠে, পথে বেড়াইতে ভাল লাগে— খোকা এ কয়দিনে বাবাকে খুব চিনিয়া লইয়াছে— কত কথা বলে কিন্তু বেশীর ভাগই বোঝা যায় না—উন্টেপাণ্টা কথা, কোন কথার উপর জোর দিতে গিয়া কোন কথার উপর দেয়—কিন্তু অপুর মনে হয় কথা কহিলেথোকার মুখ দিয়া যেন মাণিক বারে -লে বাহাই কেন বলুক না, প্রত্যেক ভাঙা, অন্তৰ, অপূর্ণ কথাটি জপুর