পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯაe প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড


سیده ------۔۔--TarunnoBot (আলাপ) --مے ---------۔---۔---------

নামের অর্থ, ত্রোণী । দুই দুই দ্রোণীর মধ্যে এক এক জম্বুফল । পুরাণেও ইহাদের উল্লেখ আছে। পামীরে হঠাৎ ভীষণ ঝড় বহে। বাস করিতে গেলে দ্রোণীতে বাস করিডে হয় । চীন ও মঙ্গলিয়া লইয়৷ ভদ্রাশ্ব । চীনদেশের অশ্ব “ভদ্র" কি না, জানি না। এক জাতীয় বুষ ও হস্তীর নাম ভদ্র ছিল। ভদ্র অশ্ব সেইরূপ এক অশ্বজাতি হইবে। মজলিয়ার অশ্ব বিখ্যাত । পুরাণে মজলিয়ার নাম, স্বমঙ্গল । বোধ হয়, স্থমঙ্গল অশ্ব, ভদ্রাশ্ব । “এশিয়া” নামে অশ্ব আছে কি না, চিজনীয় । অশ্বদ্বীপ নাম হইতে আশিয়া নাম হইতে পারে । পশ্চিম তুর্কীস্থান অশ্বের জন্মদেশ । সমরকন্দের অশ্ব প্রসিদ্ধ। ঋগ বেদে অশ্ববাহন প্রসিদ্ধ। মেরর পশ্চিমে কেতুমাল, পশ্চিম তুকীস্থান। উত্তরে কুর, তিয়ানশান পর্বতের উত্তর দেশ । যে সাত ঋষি প্রথমে স্বদেশ ত্যাগ করিয়াছিলেন, তাহারা কুরবাসী ছিলেন । এইহেতু ভাইদের নাম কুর ছিল। তাইাদের বংশ ভারতে আসিবার পরেও কুর, নাম ভুলিতে পারেন নাই । তাহারা তাইাদের নূতন দেশেও ফুলু নাম রাখিলেন। তখন প্রাচীন কুর, উত্তরকুর, বলিতে হইল । মেরদেশে বাসকালে মানুষ ও দেব, এই দুই ভাগ ছিল । ছয়েরই প্রজাবুদ্ধি হইত। বোধ হয় ধনবান ও প্রভাবশালী হইলে "দেব’ নাম হইত। সে দেশত্যাগের পর, বিশেষত: ভারতে বালুকালে প্রাচীন মের দেশ, দেবলোক ও স্বৰ্গ নামে স্থত হইত । তিয়ানশান পৰ্বত অতিশয় দীর্ঘ, উচ্চও বটে। ইহার মধ্যভাগ ২৩e • • ফুট উচ্চ ; চীনা ভাষায় নামের অর্থ স্বর্গের পৰ্বত । পুরাণও বলিতেছেন, “দেবলোকে গিরো তম্বিন সবগুক্তিযু গীয়তে।" সকল শ্রুতিতেই দেবলোক নাম। আমাদের প্রাচীনের ইহার এক উচ্চ শিখরকে মের গিরি, এবং মের-সংলগ্ন দেশকে মের, বা মেরুদেশ বলিতেন। মেরুতে এখনও স্বর্ণ পাওয়া যায়, কিন্তু অল্প। বোধ হয় পূর্বকালে অধিক ছিল, এবং তাহা হইতে মের স্ববর্ণময় বলা হইত। আরও রবি-করে হিম-মণ্ডিত শিখর নিধুম পাবকবৎ দেখায়। ইহার দক্ষিণ শাখাস্বরূপ জম্ব, ( পামীর ও স্বর্ণময়। এই কারণে জা,নদ অর্থে স্বর্ণ। এই ষে বিস্তীর্ণ মেরু দেশ, এইটিই ইলা, ইরা, পুথিবী । পরে ইহার নাম ইলাবৃত হইয়াছিল । ইলাবৃতের উত্তরে কুর দেশ। প্রাচীন নিবাস-স্থতি এইখানেই শেষ। কুর দেশের সীমা উত্তর সমুত্র পর্যন্ত বটে, কিন্তু, মেরুর নিকটবতী কুর, দেশেই তিস্থানশান পর্বতের উত্তর কিম্বা পশ্চিম পাশ্বে ঋষিদের, অন্ততঃ সপ্তবংশের বাস ছিল। নতুবা মেরার মাহাত্ম্য হইত না। মের র চারিদিকে চারি দ্বীপ লইয়া পরে চতুর্দল লোক-পদ্ম কল্পিত হইয়াছিল। এ বিষয়ে পরে বলা যাইবে । এই দেশ বিভাগ বহ, প্রাচীন। বহু কাল পরে চারি মহাদ্বীপের মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ, এই দুই দ্বীপ তিন তিন ब८र्ष दिख्ख् इहेबांझिल ।। ७शन भशदौ* नाभ निब्रा নয়টি বর্ষ হইল। এশিয়ার মাপচিত্রে পূর্ব-পশ্চিমে দীর্ঘ কয়েকটি পর্বত দেখা যাইবে । দক্ষিণ সমুদ্র হইতে উত্তরদিকে গেলে প্রথমে হিমালয়, পরে কুয়েনলুন, পরে আলতিনতাগ, এই তিন বর্ষপর্বতদ্বারা তিনবর্ষ ; এবং উত্তরে প্রথমে দক্ষিণ আলতাই, পরে চাঙ্গাই, পরে উত্তর আলতাই পর্বত, এই তিন বর্ষপর্বতদ্বারা উত্তর সমুদ্র পর্যন্ত অপর তিন বর্ষ পাই । আলতিন, আলতাই নামে ইলা শব্দ থাকিতে পারে। এশিয়ার পশ্চিম হইতে পূবদিকের প্রাচীন তিন ভাগ, এখন তিনবর্ষ নাম পাইল । প্রাচীনকালে কেহ মাপচিত্র কিম্বা সামান্য রেখাচিত্রও করেন নাই । বোধ হয়, সপ্তঋষি ও বৈবস্বত মহুর নয় পুত্র হইতে প্রাচীনের সপ্ত ও নবভাগের অল্পরাগী হইয়াছিলেন। সপ্ত ঋষির কাল কেহ বলিতে পারিবে না । এশিয়ার মাপচিত্রে দেখা যাইবে, দক্ষিণ সমূত্রের উত্তরে ভারতবর্ষ, পরে হিমালয়, পরে কিম্পূরয বর্ষ ( তিব্বত ), পরে হেমকূট পৰ্বত ( কেয়ুনলুন ), পরে হরিবর্য, পরে নিষধ পর্বত ( আলতীন ), পরে ইলাবৃত বর্ষ ( চীন তুৰ্কীস্থান ও গোৰিমর, ), পরে নীলপর্বত (দক্ষিণ আলতাই), পরে রম্যক বর্ষ । মঙ্গলিয়া ), পরে শ্বেত পর্বত ( চাঙ্গাই ), পরে হিরন্ময় বর্ষ, পরে শৃঙ্গবানু পৰ্বত (উত্তর আলতাই ), পরে কুর বর্ষ ( সাইবিরিয়া ), পরে উত্তর সমুদ্র। ইলাবৃতের পশ্চিমে গন্ধমাদন ( হিন্দুকুশ ), তৎপশ্চিমে কেতুমাল (পারস্ত ও পশ্চিম তুর্কীস্থান )। পূর্বেমাল্যবান ( চীন প্রাচীর ), পরে ভদ্রাশ্ব ( চীন )। ২য় চিত্ৰ দেখিলে সব স্পষ্ট হইবে । এই সকল পর্বত ও বর্ষের নামের অর্থ অবশ্য ছিল, অর্থাৎ প্রাকৃতিক লক্ষণ দেখিয়া নাম হইয়াছিল। যেমন ৰি-পুৰুষ বা কিন্নর, কদাকার দেহ ; হরিবর্ষ, যে বর্ষে হরি স্থবৰ্ণাভ লোকের বাস, বোধ হয় চীনা । পৌরাণিক অনুমান করেন. ভদ্রাশ্ব নাম হইবার কারণ এই যে, সেখানে অশ্ববদন হরি আছেন, যাহার তেজে সর্বদ্বীপ আলোকিত হইয়াছে। এই “অশ্ববরন, চীনের উত্তর-পশ্চিমের ঔর্ব বা আগ্নেয়গিরি। ( “ভারতবর্ষে" ঔর্বাগ্নি বর্ণনায় এই আগ্নেয়গিরির উল্লেখ করা হয় নাই ) । বোধ হয় কেতুমাল নাম হইবার কারণ, মালভূমি, ইহার কেতু লক্ষণ। ইরাণের বিস্তীর্ণ মাল-ভূমি প্রসিদ্ধ। ইলাবৃতের পূর্বের পর্বত মাল্যবান। পুরাণ বলিতেছেন, এটি সমুদ্রাঙ্গুগ, সাগর যেমন বাকিয়াছে, পর্বতটিও তেমনি বাকিয়াছে । ইহা ইলাবৃত্তকে মাল্যাকারে বেষ্টন