পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ন সংখ্যা } AMAMSAMMMAMMAMMAeeMAeeMAMAMA SMeeeeM AMBAM MMMAMeMe AAAA AAAS AAAAAA এই দেশটি সামান্য নয়। কত বীর জাতি এই দেশ হইতে পশ্চিমে ও দক্ষিণে ছডাইয়া পড়িয়াছে । কোন আদ্যকালে আর্যজাতি এশিয়ার নানা দেশে উপনিবেশিত হইয়াছিলেন । সে দেশের উত্তরে শ্বেতবর্ণ ( অন্যমতে রক্তবর্ণ ), পূর্বে রক্তবর্ণ ( অন্যমতে শ্বেতধর্ণ , দক্ষিণে পীতবর্ণ, এবং পশ্চিমে কৃষ্ণবর্ণ জাতি বাস করিত। আমরা আর্যনামে এক বর্ণ, শ্বেতবর্ণ জাতি বুঝি । কিন্তু, যে কোন বর্ণ পথ চলে। কালে কালে শ্বেত, রক্ত, পীত, তিন বর্ণষ্ট ভারতে প্রবেশ করিয়াছিল । কতকাল পূর্ব হইতে এই শ্রোত দেখাইলে অন্য বর্ণ সে পথে অজানা S$o চলিয়াছিল, তাহা জানিবার উপায় নাই। এইটুকু জানি বেণ রাজার পরে পৃথু প্রথম ক্ষত্রিয় ( রক্তবর্ণ । রাজা হইয়াছিলেন । সে সময়ে পীতবর্ণ বৈশুজাতি প্রথম কৃষিকম আরম্ভ করে । কতকাল পরে শক ও হ ণ সেই মধা-এশিয়া ইষ্টতে ভারতে আসে । আfরও পরে সে দেশ হইতেষ্ট তুর্কী জাতি প্রাচীন শাম্মল ও পুষ্কর দ্বীপে ছড়াইয় পড়ে। আরও পরে, সে জাতি ও পরে মঙ্গল জাঞি আসিয়া দিল্লীর সিংহাসন অধিকার করে। এই তুকী ও মঙ্গল জাতি মুসলমান না হইয়া বৌদ্ধ থাকিলে এদেশে ক্ষত্রিয় হইয়া যাইভ । =S* অজানা ই প্রবোধকুমার সাক্ষ্যাল গয়া লাইনের একটা জংশন ষ্টেশনে একখানা ট্রেণ এসে থামূল। গাড়ীখানা আসছে পশ্চিম থেকে, যাবে কলকাতায়। গ্রীষ্মকালের গভীর কালে রাত্রি, ফুর ফুর করে হাওয়া বইছে । অত রাতে ভিড় তেমন বিশেষ নেই । দু-একজন উঠল, চার পাঁচজন মাত্র নামূল। গাড়ীর জানলাগুলির কাছ দিয়ে একটা পানওয়ালা হেঁকে গেল, আর একজন এসে হাক্ল, “পুরী-মিঠাই,---একটি ছেলে’ ঝুমঝুমি বাজিয়ে তার মণিহারি জিনিষগুলির বিজ্ঞাপন ক’রে গেল, কিন্তু গাড়ীর ভিতরকার নিদ্রিত, অৰ্দ্ধজাগ্রভ ও নিম্পূহ যাত্রীদের কাছ থেকে কোনো সাড়াই এল না। বাণী বাজিয়ে ধীরে ধীরে প্লাটুফরম্ ছেড়ে যখন ট্ৰেণখানি পার হয়ে বহুদূর চলে গেল তখন আবার চারিদিকে নেমে এল রাত্রির নিঃশব্দ ছায় । বিঝির একঘেয়ে আওয়াজ সেই নিস্তব্ধতাকে আরও গভীরে ডুরিয়ে দিতে লাগল, এবং প্লাটফরমের উদাসীন প্রদীপগুলি তেমনি করেই অপলক চোখে তাকিয়ে রইল অন্ধকারের দিকে । যে-তিনটি যাত্রী এইমাত্র নামূল, তাদের সঙ্গে মালপত্র অতি সামান্তই। তিন জনের মধ্যে দুটি পুরুষ ও একটি মেয়ে পুরুষ ছটির মাথায় বড় বড় পাগড়ি বাধা। পরণে তিনজনেরই ভুল পায়জামা। জাতিতে বোধ করি তারা শিখ, পায়জাম ছাড়া মেয়েটির গায়ে একটি পাতলা কাপড়ের পাঞ্জাবী, মাথায় একটি সবুজ রংয়ের ওড়না কাধের ওপর দিয়ে গা বেয়ে নীচে নেমে এসেছে, এবং তারই পাশ দিয়ে মেয়েটির মাথার বেণী ঝুলে পড়েছে একেবারে কটির নীচে। পায়জামাটিতে তার ধূলোবালি এবং ট্রেণের দাগলগা। পায়ে একজোড়া কালে চটিজুতো । পুরুষ ছুটির মধ্যে একটি ছোকৃর, আর-একটির কিছু বয়স হয়েছে। কালো দাডির ভিতর দিয়ে তার বয়স সহজে ঠাওর করবার উপায় নেই । ঝুমঝুমিওয়ালা তার মণিহারির ঝাপির দুই দিকের দুই আংটার সঙ্গে কাপড়ের দড়ি পাকিয়ে গলায় বেঁধে এতক্ষণ তাদের লক্ষ্য করছিল । আজ বোধ হয় তার বিক্রি বেশী হয়নি, ঝুমঝুমিট একবার বাজিয়ে সে তাদের দিকে এগিয়ে গেল। ষ্টেশনের আলোয় তার সেই বিস্তৃত ঝাপির মধ্যে সৌখীন খেলনা ও মণিহারিগুলি ঝলমল করছিল। আনন্দদীপ্ত দুটি চক্ষু নিয়ে মেয়েটি সেদিকে ফিরে দাড়তেই বয়স্ক পুরুষটি চোখ রাঙিয়ে বলল, এত না রাত মে ফেরি---যাও ভাগো--- ছেলেটি তার ঝাপি নিয়ে ভাড়াতাড়ি সরে পড়ল ; তিনটি নরনারী জিনিষপত্রগুলি হার্তে নিয়ে তারপর খুঁজতে খুজতে প্লাটুফরষের একাস্তে একটি দ্বিতীয় শ্রেণীর ওয়েটিং রুম’-এ এসে প্রবেশ করল । ভিতরে আর কোনো প্রতীক্ষমান যাত্রী ছিল না। দুটো বেঞ্চি এবং ইজি-চেয়াবট। তারা এসে দখল করল মালপত্রগুলি গুছিয়ে রাখল মাঝখানের গোল টেবিলটপ ওপর। মেয়েটি অতি চঞ্চল। ঘরের মধ্যে ঘুরে ফিরে,