পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S88 কাজ হিন্দীতে হুইবে । তখন সব বক্তৃতা ও তর্কবিতর্ক বুঝিতে হইলে এবং সকল সভ্যকে নিজের বক্তব্য জানাইতে বুঝাইতে হইলে হিন্দী জানিবার প্রয়োজন হুইবে । বাংলা দেশের কলকারখানার অধিক অংশ এখন অবাঙালীর করায়ত্ত। বাঙালীকে বাচিতে হইলে তাহাদের নিজস্ব কলকারখানা স্থাপন করিতে হইবে । তাহার বিস্তর মজুর কারিগর হিন্দীভাষী হইবে । সেই কারণে কলকারখানার মালিক বাঙালীদের হিন্দী জান। বাঞ্ছনীয়। বর্তমানেও কলকারখানার অবাঙালী মালিকদের হিন্দীভাষী মজুর ও কারিগরদিগের নেতৃত্ব বাঙালী দিগকে করিতে হয়। র্তাহারা হিন্দুস্থানী যত ভাল । জানিবেন ও বলিতে পারিবেন, তাহাদের নেতৃত্ব সেই পরিমাণে ফলপ্রদ হুইবে । ব্যবসা-বাণিজ্যে কৃতী হইতে হইলেও হিন্দুস্থানী জানা আবশ্যক । ব্যবসা-বাণিজ্যে নিযুক্ত অনেক ইউরোপীয় হিন্দুস্থানী শিক্ষা করেন। সৰ্ব্বশেষে হিন্দী শিখিলে আমাদের অন্ত একটি মহৎ লাভের উল্লেখ আবশুক । বৰ্ত্তমান সময়ের হিন্দী সাহিত্য খুব উৎকৃষ্ট না হইলেও, মধ্যযুগের হিন্দী সাহিত্য আধ্যাত্মিক সম্পদে বিশেষ সমৃদ্ধ । তাহা অধ্যয়ন করিতে পারিলে আমরা উপকৃত হইব । করাচীর পথ বাংলা দেশ হইতে বরাবর স্থলপথে করাচী যাইতে হইলে অন্ততঃ দুই জায়গায়—দিল্লীতে ও লাহোরে—ট্রেন বদলাইতে হয় এবং তিন রাজি ট্রেনে যাপন করিতে হয়। দিল্লী হইতে লাহোর না গিয়া কতকটা রাজপুতানার ভিতর দিয়াও যাওয়া যায়। তাহাতে ছুই বার গাড়ী বদলাইতে হয় । করাচী যাইবার আর এক উপায় কলিকাতা হইতে সোজা বোম্বাই যাত্রা এবং বোম্বাই হইতে জাহাজে করাচী যাওয়া । কিন্তু বরাবর স্থলপথে ষে দিক্ দিয়াই যাওয়া যাক, সিন্ধুদেশের মরুভূমি পার इ३८उहे श्रद । প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড বস্তুতঃ সিন্ধুনদের উভয়তীরবর্তী কতকটা স্থান ব্যতীত সিন্ধুদেশের সবটাই মরুভূমির সদৃশ বলা যাইতে পারে। কেবল সমতল বালুক ও বালুকার ঢিবি এবং মধ্যে মধ্যে বাব লাজাতীয় ও ঝাউজাতীয় গাছ, মনসাগাছ, এবং ছোট ছোট অন্ত কঁাটাগাছের ঝোপ । স্বভাবজাত তৃণাস্তীর্ণ জমী প্রায় দেখাই যায় না । কেবল হায়দরাবাদ পৌছিবার কিছু আগে হইতে কিছু পরে পর্য্যস্ত সবুজ রঙের কতকটা প্রাধান্ত দেখা যায়। যেখানে কৃত্রিম জলসেচনের উপায় আছে, সেখানে শস্তক্ষেত্র দেখা যায়। সিন্ধুদেশ যে কিরূপ মরুময় তাহ বাঙালীকে বুঝাইবার একটা উপায়, বঙ্গের আয়তন ও লোকসংখ্যার সহিত সিন্ধুদেশের আয়তন ও লোকসংখ্যার তুলনা । সিন্ধুদেশের আয়তন ৪৬৫০৬ বৰ্গ মাইল, বঙ্গের ৭৬৮৪৩ বর্গমাইল । অর্থাৎ বাংলার আয়তন সিন্ধুর প্রায় দেড়গুণ। সিন্ধুর লোকসংখ্যা ৩২৭৯৩৭৭, বঙ্গের অর্থাৎ বঙ্গের লোকসংখ্যা সিন্ধুর চৌদ্দগুণেরও অধিক । সিন্ধু মরুময় বলিয়া উহার ভিতর দিয়া যাতায়াত কষ্টকর-বিশেষতঃ গ্রীষ্মকালে। গরম ত আছেই, তাহার উপর ধুলাবালির প্রাচুয্য । রেলে যাইতে যাইতে বেশ বড় গাছ দেখা যায় না বলিয়া করাচী পৌছিতে ৭৪ মাইল থাকিতে ঝিম্পীর নামক ষ্টেশনে তিনটি বটগাছ বিশেষ উল্লেখযোগ্য । ছায়াহীন সিন্ধুদেশে এই ছায়াতরুগুলির অস্তিত্ব বড় আরামদায়ক । করাচী যাইবার সময় ও তথা হইতে আসিবার সময় ট্রেন কোথাও ঠিক সময়ে পৌছে নাই। প্রধানতঃ মহাত্মা গান্ধীকে, এবং অন্ত কোন কোন নেতাকেও, দেখিবার জন্য ষ্টেশনে ষ্টেশনে এত ভিড় হইত, যে, গাড়ী যথাসময়ে ষ্টেশন ছাড়িতে পারিত না । তা ছাড়া, কোন কোন নেতা প্রায় প্রত্যেক ষ্টেশনেই বক্তৃতাও করিয়াছিলেন । । সিন্ধুদেশে দ্রষ্টব্য স্থান সিন্ধুদেশে যত স্রষ্টব্য স্থান আছে, সবগুলির উল্লেখ ৰা কোনটির বিশেষ বর্ণনা করা এখানে চলিবে না । 8ష్క్రిసె&&wరిస్రి |