পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] গোবৰ্দ্ধনদাস সুন্দরঙ্গাস মেডিকেল কলেজের ফিজিওলজির অধ্যাপকের কার্য্য করিতেছেন । ভাঃ ক্রযুক্ত অবিনাশচন্দ্র দাস এম-ড়ি, মহাশয় আট বৎসর যাবৎ বোম্বাই শহরে চিকিংস ব্যবসায় করিতেছেন এবং গুজরাটী সম্প্রদায়ের ভিতরে যথেষ্ট পশার করিয়াছেন। ফরিদপুর জেলার মাদারীপুরে তাহার নিবাস । বাঙালীর অসাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠানগুলির ভিতরে রামকৃষ্ণ মিশন এখানে নানাবিধ প্রচারকার্ষ্য করিতেছে। বোম্বাই শহরের প্রায় সাত মাইল উত্তরে বি-বি অ্যাণ্ড সি-অাই লাইনের উপরে ‘খার’ নামক উপনগরে কিছুদিন হুইল মিশনের নিজ গৃহ নিৰ্ম্মিত হইয়াছে এবং স্বামী সম্বুদ্ধানন্দ রবীন্দ্রনাথ ᎦᏪ☾ ও স্বামী বিশ্বানন্দ মহারাজ এই মিশনের নানাবিধ জনহিতকর কাধ্যের পরিচালনা করিতেছেন। স্থানীয় বাঙালীদের সহিত এই মিশনের ঘনিষ্ঠ যোগ আছে । ১৯২২ সালে জি-জাই-পি রেলওয়ে লেবরেটরীর কেমিষ্ট ক্রযুক্ত বীরেন্দ্রনাথ সেন, বি-এস-সি প্রমুখ কতিপয় বাঙালী মহোদয়ের চেষ্টায় ‘প্যাড়েলে’ বাঙালীদের জন্য একটি ক্লাব স্থাপিত হইয়াছে । একটি ছোট লাইব্রেরী এই ক্লাবের সঙ্গে সংযুক্ত আছে। সম্প্রতি ক্লাবের চেষ্টায় বাঙালীদের জন্য ফুটবল, ব্যাডমিন্টন প্রভৃতি খেলার বন্দোবস্ত করা হইয়াছে। সমস্ত বাঙালীদের মধ্যে ভাবের আদান প্রদানের জন্য এই ক্লাব হইতে মাঝে মাঝে নানা-প্রকার সন্মিলনীর বন্দোবস্ত করা হয় । রবীন্দ্রনাথ শ্ৰীনলিনীকান্ত গুপ্ত > কবি রবীন্দ্রনাথ নয়, মানুষ রবীন্দ্রনাথকে আজ আমরা একটু দেখিতে চাই । কবির ইহাতে কিছু আপত্তি হইতে পারে---তিনি হয়ত বলিবেন, তাহাকে সত্যভাবে দেখিতে হইলে কবি হিসাবেই দেখিতে হইবে, মাল্পষ-হিসাবে তিনি কি করিয়াছেন বা না করিয়াছেন সেটা তাহার জীবনে অবাস্তুর কথা ; তাহার যে সত্য ষে স্বরূপ, র্তাহার মধ্যে যতটুকু শাশ্বত ও সনাতনের মত তাহা তিনি ধরিয়া দিয়াছেন। র্তাহার কাব্যে বাকীপানির কোন বিশেষ অর্থ নাই মৰ্য্যাদাও নাই—অস্কান্ত অনেকের সহিত সেদিক দিয়া র্তাহার খুব বেশী পার্থক্য বা বিশেষত্ব না থাকিলেও থাকিতে পারে। কবির শ্রেষ্ঠ পরিচয় তাহার কাব্যে, অন্ত পরিচয়ে র্তাহাৰুে ভুল বুঝা হয়, তাহাকে খাটো করা হয়। কিন্তু মানুষ রবীন্দ্রনাথ বলিতে আমরা একান্ত বাহিরের বৈষয়িক বা সাংসারিক রবীন্দ্রনাথকে বুঝিতেছি না, • चाभब्रां ॐाशांब्र डिङ८ब्रङ्गे ८नहे गङाकोब्र भांकृशब्रिहे कथा বলিতেছি, যাহার একটা প্রকাশ হইতেছে-কবি । রবীন্দ্রনাথ কাব্যেই হয়ত সেই মানুষটির সর্বশ্রেষ্ঠ অথবা সৰ্ব্বাপেক্ষ পরিস্ফুট প্রকাশ হঠয়াছে, তবুও তাহ। একটা বিশেষ ধারায় বা অঙ্গের প্রকাশ মাত্র । সেই প্রকাশ যেসভ্যকে যে-উপলব্ধিকে, অন্তরাত্মার যে-সিদ্ধিকে ব্যক্ত করিতে,আকার দিতে চাহিতেছে তাহাই আমাদের লক্ষ্য । রবীন্দ্রনাথের কাব্যস্তষ্টির মূল কথা এবং সকলের চেয়ে বড় কথা হইতেছে"সৌন্দর্ধ্য”— তিনি দেখিতেছেন স্বন্দরকে এবং দেখাইতেছেন সেই সুন্দরকে স্বন্দরভাবে । যেখানে যাহা-কিছু স্বন্দর—প্রকৃতির রাষ্ট্যে হউক আর অস্তুরের রাজ্যে হউক, কায়ে হউক মনে হউক বাক্যে হউক তিল তিল করিয়া সকল স্থান হইতে সকল সৌন্দর্য্য কুড়াইয়া লইয়া তিনি কাব্যের গড়িয়াছেন তিলোত্তম} মুঞ্জি। তাহার ভাষা স্বন্দর, শকের লালিত্য, ছন্দের লাস্য তাহাতে পাইয়াছে বোধ হয় পরাকাষ্ঠী । তাহার ভাৰ স্বন্দর —চিস্তার বৈদগ্ধা, জম্বুজবের সৌকুমার্ধ্য অতি বিচিত্র ও