পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা । মহেশের মহাযাত্রা δο Φ. অনেকক্ষণ পরে ছজন মাতব্বর প্রতিবেশী এলেন। ঘরে ঢুকলেন না, দরজার সামনে দাড়িয়ে বললেন-চুপ क'tग्न ब'टन चां८छ्न ८ष दफ़ ? ग९कां८ब्रब्र बादइी कि করলেন ? সাতকড়ি বললেন—জামি একলা মানুষ, আপনাদের ওপরেই ভরসা। —ওই বেলেল্লা হতভাগার লাশ আমরা বইৰ ? ইয়ার্কি পেয়েচেন ?—এই কথা বলেই তারা স’রে পড়লেন। সাতকড়ির তখন মনে পড়ল, বড় রাস্তার মোড়ে একটা মার্টকোঠায় সাইনবোর্ড দেখেচেন—বৈতরণী-সমিতি, জঙ্গমহোদয়গণের দিবারাত্র সস্তায় সৎকার । চাকরকে বসিয়ে রেখে তখনই সেই সমিতির খোজে গেলেন। অনেক চেষ্টায় সমিতি থেকে তিন জন লোক যোগাড় হ’ল। পনর টাকা পারিশ্রমিক, আর শীতের ওষুধ বাবদ ন-শিকে । সমস্ত আয়োজন শেষ হ’লে সাতকড়ি আর তার তিন সঙ্গী খাট কাধে ক’রে রাত আড়াইটার সময় নিমতলায় রওনা হ’লেন । অমাবস্তার রান্ত্রি, তার ওপর আবার কুয়াশা ৷ সাতকড়ির দল কর্ণওয়ালিস ট্রীট দিয়ে চললেন। গ্যাসের আলো মিটমিটু করচে, পথে জনমানব নেই। কাধের বোঝা ক্রমেই ভারী বোধ হ’তে লাগল, সাতকড়ি ইপিয়ে পড়লেন । বৈতরণী-সমিতির সর্দার ত্ৰিলোচন পাকড়াশী বুঝিয়ে দিলেন -এমন হয়েই থাকে, মানুষ ম’রে গেলে তার ওপর জননী বস্থঙ্করার টান বাড়ে। সাতকড়ি একলা নয়, তার সঙ্গীর। সকলেই সেই গীতে গলদঘর্ণ হয়ে উঠল । খাট নামিয়ে খানিক জিরিয়ে জাৰায় যান্ত্রো । কিন্তু মহেশ মিত্তিরের ভার ক্রমশই বাড়চে, পা জারু এগোয় না। পাকড়াশী বললেন-ঢের ঢের বয়েচি মশায়, কিম্ভ-এমন জগদ্দল লাশ কখনও কাধে করি নি। দেহটা ত শুকনো, লোহা খেতেন বুঝি ? পনর টাকায় হৰে ন৷ মশায়, আরও গোটা-দশ চাই । সাতকড়ি তাতেই রাজী, কিন্তু সকলেই এমন কাৰু হয়ে পড়েচে ষে ছ-পা গিয়ে জাবার খাট নামাতে হ’ল । جسیes সাতকড়ি ফুটপাৰে এদিয়ে পড়লেন, বৈতরণীর তিন জন ইাপাতে ছাপাতে তামাক টানতে লাগল । ওঠবার উপক্রম করচেন এমন সময় সাতকড়ির নজরে পড়ল—কুয়াশার ভেতর দিয়ে একটা আবছায়া তাদের দিকে এগিয়ে আসচে। কাছে এলে দেখলেন—কালো র্যাপার মুড়ি দেওয়া একটা লোক। লোকটি বললে— এঃ, আপনারা ইপিয়ে পড়েচেন দেখচি ৷ বলেন ত আমি কাধ দি । সাতকড়ি ভদ্রতার খাতিরে দু-একবার জাপতি জানালেন, কিন্তু শেষটায় রাজী হলেন। লোকটি কোন জাত তা জার জিজ্ঞাসা করলেন না, কারণ, মহেশ মিত্তির ও-বিষয়ে চিরকাল সমদৰ্শী—এখন ত কথাই নেই । তা ছাড়া, ষে-লোক উপযাচক হয়ে শ্মশানযাত্রার সঙ্গী হয়, সে ত বান্ধব বটেই। " ত্ৰিলোচন পাকড়াশী বললেন– কাধ দিতে চাও দাও, কিন্তু বখরা পাবে না, তা ব’লে রাখচি। আগম্ভক বললে – ৰখর চাই না । - এবার সাতকড়িকে কাধ দিতে হ’ল না, তার জায়গায় নতুন লোকটি দাড়াল। আগের চেয়ে যাত্রাট একটু ক্রত হ’ল, কিন্তু কিছুক্ষণ পরে আর পা চলে না, ফের খাট নামিয়ে বিশ্রাম । পাকড়াশী বললেন–বিশ টাকার কাজ নয় বাবু, এ হ’ল মোষের গাড়ির বোঝা । আরও দশ টাকা চাই। এমন সময় জাবার একজন পথিক এসে উপস্থিত — ঠিক প্রথম লোকটির মতন কালো র্যাপার গায়ে । এ-ও খাট বইতে প্রস্তুত। সাতকড়ি দ্বিরুক্তি না ক’রে তার সাহায্য নিলেন । এবার পাকড়াশী মশায় রেহাই পেলেন । - খাট চলেচে, আর একটু জোরে । কিন্তু কিছুক্ষণ পরে আবার ক্লাস্তি। মহেশের ভার অলঙ্ক হয়ে উঠচে, তার দেহে কিছু চোৰে নি ত ? খাট নামিয়ে আবার সবাই দম নিতে লাগলেন । o কে বলে শহরে লোক স্বার্থপর ? জাবার একজন সহায় এসে হাজির—সেই কালে র্যাপার গায়ে । সাতকড়ির ভাষার অবসর নেই, বললেন—চল, চল ।