পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উড়িষ্যার মন্দির ঐনিৰ্ম্মলকুমার বসু জার্ধ্যাবৰ্ত্ত হইতে দাক্ষিণাত্যের অভিমুখে যেকয়টি পথে লোকে পূৰ্ব্বে যাতায়াত করিত, তাহার মধ্যে ঘে-পথটি পূৰ্ব্বসমূত্রের উপকূলে উড়িষ্যার ভিতর দিয়া গিয়াছে, তাহ। প্রধান না হইলেও হীন নহে। যে-সকল পথে আধ্যাবৰ্ত্ত ও দক্ষিণাত্যের মধ্যে প্রধানতঃ ব্যবসা-বাণিজ্য চলিত, যেদিক দিয়া নানাবিধ লোকের যাতায়াত ছিল, সেগুলি আরও পশ্চিমে বিজ্ঞাগিরি ও নৰ্ম্মদা নদীকে স্থানে স্থানে অতিক্রম করিয়া গিয়াছে । তাহাদের তুলনায় উড়িষ্যার পথটি অপেক্ষাকৃত দুর্গম । উড়িষ্যার পশ্চিমে যে-পাৰ্ব্বত্য প্রদেশ আছে তাহা হইতে অনেকগুলি নদী পূৰ্ব্বদিকে প্রবাহিত হইয়াছে । তাহাদের অধিকাংশ প্রস্থে অৰ্দ্ধ মাইলেরও বেশী । দাক্ষিণাত্য যাইতে হইলে এগুলিকে অতিক্রম করিতে হয়, কিন্তু বাণিজ্যের জন্ত অধিক মাল লইয়া বার-বার এরূপ নদী অতিক্রম করাও দুরূহ ব্যাপার। এই কারণে উড়িষ্যার ভিতর দিয়া উত্তর ও দক্ষিণ দেশের মধ্যে বাণিজ্যের তত যোগাযোগ ছিল না। কিন্তু এইরূপ দুরধিগম্য দেশ বলিয়া এবং একপাশ্বে সমুদ্র ও অপর পক্ষে পৰ্ব্বতের দ্বারা স্বরক্ষিত হওয়ার ফলে উড়িষ্যা বহুকাল অবধি ক্ষাজশক্তির একটি প্রধান কেন্দ্র ছিল । গঙ্গা হক্টতে গোদাবরী পৰ্য্যস্ত দেশ উড়িষ্যার গজবংশের করায়ত্ত ছিল, এবং তাছাদেরই লুষ্ঠিত ধনসম্পদের ফলে বহুকাল ধরিয়া উড়িষ্যাদেশ শিল্পকলার একটা শ্রেষ্ঠ কেন্দ্রস্বরূপ বিরাজ করিয়াছিল । সমস্ত আর্ধ্যাবৰ্ত্ত যখন মুসলমান সভ্যতার প্রভাবে আচ্ছন্ন হইয়া আসিতেছে, যখন তাহার শিল্প কলা ও বিদ্যা প্রায় লুপ্ত হইতে বসিয়াছে, তখন উত্তর-ভারতের শেষ সীমান্তে উড়িষ্যা প্রাচীন হিন্দু জাচার-ব্যবহার প্রভৃতির আশ্রয়স্থল-স্বরূপ বৰ্ত্তমান ছিল। উড়িষ্যায় শুধু যে উত্তর-ভারতের অধুনালুপ্ত প্রথাগুলি বা জীবনযাত্রার পদ্ধতি সংরক্ষিত ছিল, তাহ। নছে । আৰ্য্যাবৰ্ত্ত ও দক্ষিণাত্যের মধ্যপথে অবস্থিত হওয়ার জন্ত উড়িষ্যায় উভয় দেশেরই প্রভাব বিস্তৃত হইয়াছিল। ফলে এখানকার আচার-ব্যবহার বা সভ্যতার বিভিন্ন উপাদানগুলিকে বিশ্লেষণ করিলে কখনও আধ্যাবর্ত, কখনও-বা দাক্ষিণাত্যের সহিত যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। কয়েকটি উদাহরণের সাহায্যে এই বিষয়টি উপলব্ধি করা যাইবে উড়িয়া ভাষা হিন্দী, বাংলা ও গুজরাটীর মত আধ্যশ্রেণীর অশুভূক্ত ৷ অক্ষরগুলি দেবনাগরী হইতে উৎপন্ন হুইয়াছে । কিন্তু লিপির শৈলী দক্ষিণদেশের মত । অক্ষরের উপর মাত্রা সরল রেখা না হইয়া গোলাকার থাকে । উত্তর-ভারতে ‘খ’কে ‘র’ বলে, দক্ষিণে উহার উচ্চারণ ‘ক’, উড়িষ্যাতেও তাই । দাক্ষিণাত্যে জলাশয়ের মধ্যস্থলে পাথরে নিৰ্ম্মিত একটি ক্ষুদ্র মন্দির থাকে, উড়িয্যায় তাহাকে দীপদগু বলে । উত্তর-ভারতে জলাশয়ে এরূপ মন্দির স্থাপনার রীতি প্রচলিত নাই । দক্ষিণের সঙ্গীতে মীড়ের ব্যবহার নাই, কিন্তু উড়িষ্যার সঙ্গীতে উত্তর-ভারতের মত মড়ের ব্যবহার আছে । উড়িষ্যায় পট আঁকিবার যে প্রথা আছে, তাঙ্গ মেদিনীপুরের পুরাতন প্রথা হইতে অভিন্ন । এমনিভাবে আমরা উড়িষ্যার সহিত কখনও আধ্যাবর্ভের কখনও-ব দক্ষিণাত্যের যোগ দেখি। ভাসা-ভাসা পরীক্ষায় ধে তত্বের সন্ধান পাওয়া যায়,কোনো একটি বিশেয পথ ধরিয়া গভীর অন্তসন্ধান করিলে তুদপেক্ষ অনেক মৃতন বিষয়ের সন্ধান পাওয়ার সম্ভাবনা আছে । বৰ্ত্তমান প্রবন্ধে আমরা সেই উদ্দেশ্নে উড়িষ্যার স্থাপত্য-শিল্পের ইতিহাসের পর্য্যালোচনা করিব । হয়ত তাহ হইতে উড়িষ্যার ইতিহাসের সম্বন্ধে আরও কিছু জ্ঞান লাড় . कब्र यांहेरब ।। উড়িষ্যার মন্দির ও শিল্পিগণ বিখ্যাত। সেই সকল निर्झौcजब्र द**षब्रभप्नब्र निकई शूब्राउन हाभ उj बिनाॉब्र বিষয়ে অনেক তালপাতার উপর হাতে লেখা পুৰি