পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ぐ(2& প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড না জানিতে পারে, প্রভাতে উঠিয়া জামাজের না দেখিয়া যেন অৰাক হইয়া যায়। একমাস গ্রামে ছিলাম, ইহারই মধ্যে সেখানকার নদী গিরি প্রাস্তর পরিচিত হইয়া উঠিয়াছে, তাদের উপর মায়া পড়িয়া গেছে, গ্রামখানি शृ८झ्द्र भड श्हेंब्रl ऎठिंब्राcछ् ।। ७उनिन ८१ उक्व चार्थब्र দিল, যে জলধারা তৃষ্ণ মিটাইল, তাদের প্রতি উদাসীন হুই কিরূপে ? পল্লীবাসীদের মধ্যে এক বুড়া ছিল—তার নাম চ্যাং ভিনশিন। লোকটি আমাদের অনেক সেব। করিয়াছে, সকালে জল তুলিয়াছে, সন্ধ্যায় আগুন জালিয়াছে । কেমন করিয়া টের পাইয়াছিল আমরা ষাইতেছি—লারা রাত সে জামাদের কাজ করিল, তারপর গ্রাম অন্তে আলিয়। আমাদের বিদায় দিয়া গেল । বেচারা । তাহাকে আজও ভুলিতে পারি নাই । ভোরের কুয়াশায় আকাশ আচ্ছন্ন—স্থধ্যোদয় এগনও হয় নাই। সুদীর্ঘ সৈন্তশ্রেণীশীর্ষে স্থধ্য-পতাকা । উড়িতেছে। দক্ষিণে বহু দূরে কয়েকটা আওয়াঙ্গ হইল— যুদ্ধ মুরু হইল না কি ? ঠিক সেই সময় আমাদের দৰুে র দক্ষিণ ও বাম বাহু ( column ) যুদ্ধ আরম্ভ করিল। দক্ষিণ বাহু পান্‌টুগ্রামের দক্ষিণ পশ্চিমের পাহাড় আক্রমণ করিবে, আর বাম বাহু আক্রমণ করিবে Luanni-chiao পাহাড়ের পুৰ্ব্বদিকের গিরিশীর্ষে শত্রুর ঘাটি । আমরা বাম বাহুর মাঝের অংশ—আমরা আক্রমণ করিব Waitou-shan । ঘোড়ার জিভ বাধিয়া, পতাকা মুড়িয়া, অস্ত্রাদি নীচু করিয়া নিঃশৰে চলিতে লাগিলাম। কাছাকাছি পৌছিলে শত্রুপক্ষ উপর হইতে খুব এক চোট গুলিবর্ষণ করিল। প্রবল বাধার মুখে আমরাও তাদের দিকে গুলি চালাইতে লাগিলাম। তার উপরে, আমরা নীচে, তাদের গোলাগুলি জামাদের মাথায় বৃষ্টিধারার মত পড়িতে লাগিল—আমাদের পায়ের কাছে ধূলা উড়াইল । ४ड निtन चाभां८वग्न थथय अ८कब्र शबनिक छेठिण ! সময় স্বতই যাইতেছে, গোলাগুলির জানাগোনা ততই বাড়িতেছে—ব্যাপার গুরুতর হইয়া উঠিল। নিধুর্ম বারুদের বিস্ফোরক গ্যাসের দুর্গন্ধে যুদ্ধক্ষেত্র ভরিয়া গেল । दन्यूकब्र d?ार्फेब्र कांभब्रl cथालl eबक शeब्राब्र ७ष९ খালি টোটা ছিটকাইয়া পড়ার শব্দ, গুলির গুমরানি, গোলার চাপা গর্জন এবং আঘাতের পর ফাটিয়া পড়াঅতি অপূৰ্ব্ব, রক্ত চঞ্চল হইয় ওঠে। দিকে দিকে ‘জাগে চল, আগে চল" ধ্বনি । গাড়া পাহাড়, খড়েগর মত পাথর সমস্ত উপেক্ষা করিয়া সৈন্যদল দ্রুতপদে অধীর আগ্রহে উঠিতেছে। বন্ধনীর মধ্যে টোটাগুলা খড় খড় করিতেছে, চলার ছন্দে তলোয়ার খাপ হইতে লাফাইয়া লাফাইয়া উঠিতেছে, চিত্ত যেন . নাচিতেছে! চল আর গুলি চালাও, গুলি চালাও আর চল । শত্রুর গুলি বৃষ্টিধারার মত নীচে নামিতেছে আর আমাদের গুলি হাউইয়ের মত শূন্ত ভেদিয়া উপরে উঠতেছে। যুদ্ধ ভীষণ হইয়া উঠিল । শক্ৰশ্রেণীকে যতগণ না গোলাগুলি দিয়া বিদীর্ণ করা যায় ততক্ষণ গুলি চালাইয়া তাদের ব্যতিব্যস্ত করা দরকার। যুদ্ধে কামানের কাজও ধথেষ্ট, যদিও যুদ্ধ শেষ করিতে হয় কিরীচ দিয়া । গুলি চালাইতে হয় খুব সাবধানে। যুদ্ধ একবার স্বরু হইলে উত্তেজনায় পা হইতে মাথা পধ্যস্ত কঁাপিতে থাকে, কাগুজ্ঞান হারাইবার অবস্থা হয়, কিন্তু তা হইলে চলে না । ঠাণ্ড মাথায় কাজ করা খুব কঠিন, তবুও ধীরেস্থস্থে টিপ করিয়া বন্দুকের ঘোড়া টানিতে হয়। যতই সোরগোল হোক, রক্তস্রোত যতই কেন বহিতে থাকুক, তবুও বিচলিত হইবার জো নাই ! “শীতের রাতে যেমন করিয়া হিম পড়ে তেমনি সন্তৰ্পণে ধীরে ধীরে বন্দুকের ঘোড়া টানিও”—কবিতায় এই শিক্ষা পাই ! এমনি করিয়া সজ্ঞানে অবিচলিত হাতে গুলি চালাইলে লক্ষ্যভেদ হুইবেই। যোদ্ধাদের উদ্যম ও আগ্রহ ক্রমে বাড়িয়া চলিল— যুদ্ধও জমিয়া উঠিল । আহতের সংখ্যা প্রতি মুহূর্তেই বাড়িতেছে। ‘জী ? বলিয়া আৰ্ত্তনাদ, তারপরই গুরুভার পতন শব্দ-সঙ্গে সঙ্গে মানুষটি একেবারে আজ্ঞান । শেষ স্থযোগ জরুতগতি জালিতেছে, শক্র টলিতে স্থঙ্ক করিয়াছে। এক পা জাগে, এক পা পিছনে,-ভাজের মন