পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] এমা বলিলেন, “কি ক’রে গোলমাল হবে ?” গিদে বলিলেন, "চাকর-বাকরগুলো ত রয়েছে ?” এমা বলিলেন, “তোমার নূতন চাকরটাকে কাল ছুটি দিয়ে দিও, আমি জুসেপ্লের সঙ্গে কথা ব’লে সব ঠিক ক’রে নেব।” “যদি হঠাৎ বন্ধুবান্ধব কেউ এসে হাজির হয় ?” এমা বলিলেন, “জুসেপ্লেকে ব’লে দিও সকলকে বলতে যে আমরা বাIড় নেই।” গিদে বলিলেন, “ষ্টেশনে তাকে আনতে আমাদের যেতে হবে ভ ? আমাদেব কি বলবে ?” একসঙ্গে দেখলে লোকে এমা বলিলেন, “কেউ আমাদেব দেখলে ত ? একটা বন্ধ গাড়ীতে গেলেই হবে :” গিদে দেপিলেন এম দৃঢ়প্রতিজ্ঞ । তবুও তিনি বলিলেন, “সারাদিন তিনি থাকবেন, বাড়িটা যে নিতাস্থই লক্ষ্মীছাড়া আইবুড়োর বাড়ির মত হয়ে আছে, তা কি বুঝবেন না ?” এমা হাসিয়া বলিলেন, “আহা, অভিনয় করতে গেলে তার সাজসরঞ্জাম সব চাই আমার বাজন, শেলাইয়েব তোড়জোড, দু-চারটে পোষাক, এ সব নিয়ে আসব। দরগুলির কিছু পরিবর্তন হয়েছে কি ? গিদে বিষণ্ণভাবে বলিলেন, “কিছুষ্ট বদলান হয়নি, তুমি যেমন গিয়েছিলে, আছে ।" এম বলিলেন, “ধন্যবাদ, আপত্তি নেষ্ট ত ?” গিদে বলিলেন, “আমার আর কি আপত্তি ? তবে তোমার বাবার চোখে শেষ অবধি ধুলো দিতে পারব কিন, সেইটাই আমার সন্দেহ ।” এমা বিদ্রুপের স্বরে বলিলেন, “কেন, প্রেমিকযুগলের অভিনয় আমরা করতে পারব না, ভাল ক’রে ? আমাদের নববিবাহিত জীবনের দিনগুলি মনে ক’রে সেই মত চললেই হবে ?” গিদে চট করিয়া জবাব দিলেন, “সে সব প্রায় ভূলেই গিয়েছি।” দুজনে দুজনের দিকে তীব্রভাবে ड ? রেপে সেই রকমই সব তোমার আর কোন ৪ চিরন্তনী 8 అసె একবার চাহিয়া দেখিলেন, যেন পরস্পরের শক্তি পরীক্ষা করিতে চান । এমা বলিলেন, “আজকে তোমার কোথাও যাবার কথা নেই ত ? আমার এরকম ক’রে তোমার সময় নষ্ট করা বড় স্বার্থপরের মত কাজ হচ্ছে।” গিদে। বলিলেন, “কোথাও আমার যাবার কথা নেই, আর থাকলেও আমি যেতাম না।” এম বলিলেন, “আবার তোমায় ধন্তবাদ জানাচ্ছি । যাক, সন্ধ্যাবেলাটা তাহ’লে কাজে লাগান যেতে পারে ” গিদে বলিলেন, “কি কাজ ?” এম বলিলেন, “জিনিষপত্র নিয়ে এসে, ঘরদোর সব ঠিক করে রাখতে হবে ত ? তোমার এথানে বসে থাকবার কিছুক্ত দরকার নেই। কাল দশটার আগে ভোমায় কিছুই করতে হবে না । স্বতরাং কোথাও যাবার থাকলে স্বচ্চনো যেতে পার ।” গিদে বলিলেন, “একটা নুত্যোৎসবে আমার যাবার কথা ছিল, কিন্তু তোমার দরকার থাকলে আমি যাব ন; ৷” এমা ব্যস্ত হইয়া বলিলেন, “না, না, আমার কিছু দরকার নেই । এখানে থাকলেই আমাদের কথা বলতে হবে, কিন্তু আমাদের পরস্পরকে বলবার মত আর কোনও কথা নেই ।” গিদে বলিলেন, “কোন কথা নেই, না অত্যন্ত বেশী কথা আছে ? কিন্তু যাক সে কথা । আমাকে দরকার নেই ত ? আমি তাহলে গিয়ে কাপড় পার ” এমা সম্মতিসূচক মাথা নাড়িলেন, গিদে বাহির হইয়া গেলেন। মুখে তাহার মানসিক সংগ্রামের কোনো চিহ্ন ছিল না, কিন্তু ভিতরে ভিতরে তাহার অত্যস্ত অশাস্তি বোধ হইতেছিল। নৃত্যোৎসুবে গিয়াও তিনি অতিশয় অন্তমনস্ক হইয়া রহিলেন । ব্যারোনেস ষ্টিফানিয়া ভাবিয়াই পাষ্টলেন না ষে তাহার হইয়াছে কি । অল্পক্ষণ পরেই গিদে। অন্ত সকলের অজ্ঞাতে উৎসবক্ষেত্র হইতে বাহির হইয়া পড়িলেন এবং সোজা বাড়ি ফিরিয়া আসিলেন । আশ্চৰ্য্য হইয়া দেখিলেন, সমস্ত বাড়ির চেহারা বদলাইয়া গিয়াছে। বড় বসিবার ঘরটি এতকাল বন্ধই থাকিত,