পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8১২ حی s بد - ع مد. چهار ماهه বৃদ্ধ কফি পান করিতে করিতে বলিলেন, “জাজ তোমাদের সঙ্গে একটা দিন কাটিয়ে আমি যে কি পৰ্য্যম্ভ স্বর্থী হলাম, তা বলতে পারি না । মা লক্ষ্মী, তোমাদের চিঠিপত্র আমি সৰ্ব্বদাই পাই, কিন্তু চোখে দেখে যে আনন্দ হয়, তার তুলনা নেই। তুমি আগের চেয়েও দেখতে আরও স্বন্দর হয়েছ, তাই না গিদে " গিদে হালিয়া বলিলেন, “স্থা আমিও ওঁকে সেই কথা বলছিলাম।” বুদ্ধ বলিলেন, “ঠিক কথা। এমা, তুমি আদর্শ স্বামী পেয়েছ। চিঠিতেও গিদে তোমার কথা ছাড়া আর কিছু লেখেন না। তুমি একেবারে তাকে যাদু করে ফেলেছ।” এম শাস্তস্বরে বলিলেন, “হঁ্য, বাস্তবিকই তিনি জাদশ স্বামী ।” এই কথার পর তিনজনেই খানিকক্ষণ নীরব হইয়া রহিলেন। গিদে নতমস্তকে কি যেন চিস্ত করিতে লাগিলেন। তাহার পর বৃদ্ধ বলিলেন, “তোমার মাসতুতে বোন রোজালিয়া তোমায় ভালবাসা জানিয়েছে। বেচারীর অনেক দুঃখকষ্ট গেল।” এমা একটু যেন বিদ্রুপের স্বরে বলিলেন, “সে না তার পিয়েরোকে বিয়ে করেছিল ?” এমার পিতা বলিলেন, “হ্যা, বিয়ে করেছিল বটে, এবং পরম্পরের প্রতি তাদের ভালবাসাও ছিল, কিন্তু কেমল যেন বনিবনাও হল না। ঝগড়াঝাটি করে রোজালিয়া শেষে আবার বাড়ি ফিরে এল ।” এমা বলিয়া উঠিলেন, “ঠিক করেছিল ।” বুদ্ধ বলিলেন, “ছি মা, এরকম কথা বোলো না । স্ত্রীর কখনও উচিত নয় স্বামীকে ছেড়ে যাওয়া । যাক আমি অনেক করে বুঝিয়ে বলতে এখন সব মিটমাট হয়ে গেছে, রোজেলিয়া আবার স্বামীর কাছে ফিরে গেছে ।” এমা বলিলেন,"তুমি শেষে মিটমাট করে দিলে বাবা ?” বৃদ্ধ বলিলেন, “হ্যা ম, এজন্তে আমি খুব গৰ্ব্ব অনুভব করি । তোমার স্বর্গগত মাতারও এই মত ছিল, তিনি অতি ক্ষমাশীল ছিলেন। তিনি সৰ্ব্বদাই বলতেন —যারা ভালবাসে বেশী, তারা ক্ষমাও করে বেশী ।” প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩৩৮ SS S SSAAAASAASAAASSS S S S S S S S S S ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড সকলে আবার কিছুক্ষণ চুপ করিয়া রহিলেন, তাহার পর বৃদ্ধ বন্সিলেন, "চল মা. তোমাদের বাড়িঘর সব ঘুরে দেখে আসি। চারিদিকেই খুব মখমল আর রেশমের ছড়াছড়ি দেখছি, একটু ভাল করে দেখা যাকৃ।” গিদে বলিলেন, “চলুন বড় বসবার ঘরটা দিয়ে স্বরু করা যাক ৷” বৃদ্ধ সেই ঘরে ঢুকিয়া বলিলেন “চমৎকার ঘরখানি। বড় নিমন্ত্রণের পক্ষে ঠিক উপযোগী। তোমরা কিন্তু খুব বেশী ভোজটোজ দেও ?” গিদে তাড়াতাড়ি বলিলেন, “আগে এখনকার চেয়ে ঢের বেশী দিতাম।” তাহার শ্বশুর বলিলেন, “তা ত হবেই, এখন রাজনৈতিক কাজে অনেক সময় যায়। আর এইটি বুঝি মেয়ের বসবার ঘর ? কি মুন্দর । আসবাবগুলি কি এম নিজে পছন্দ করে এনেছ ?” এমা বলিলেন, “না, গিদোই ও-গুলি এনেছেন ।” বৃদ্ধ হাসিয়া বলিলেন, “তোমার পছন্দের তারিফ করতে হয় । এম। সারাক্ষণই এখানটায় কাটাও বুঝি ?” তাহার পর শয়নকক্ষে প্রবেশ করিয়া বলিলেন, "এই ঘরের রংগুলি ভারি স্বন্দর। কিন্তু এম, একটা জিনিষ দেখতে পাচ্ছি না যে ?” এমা ব্যস্ত হইয়া বলিলেন, “কি বাবা ?” “তোমার মায়ের ছবিখানি কি হ’ল ? সেট। ত এই ঘরে থাকা উচিত ।” - এম একান্ত বিপন্ন বোধ করিতেছেন দেখিয়া গিদে। তাড়াতাড়ি বলিলেন, “আমরা মাঝে অনেক দিন বাইরে ছিলাম কিনা ? আমাদের সব জিনিষপত্র এখনও এসে পৌছয়নি।” বুদ্ধ বলিলেন, “সে ছবিখানা ফেলে আসা ঠিক হয়নি । তা যাক, এমা কখনও তার মাকে ভুলবে না। গিদে। তুমি তাকে জানলে না এই আমার মস্ত দুঃখ । তিনি মরবার সময় আমাকে প্রভিজ্ঞ করিয়ে যান যে এমার স্বখের জন্ত আমি যেন সব কিছু করতে রাজী হই । স্বতরাং এমা যখন তোমায় ভালবাসল, তখন আমি তার কথ। স্মরণ করে কোনো বাধা দিলাম না। এম, সেই