পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

808 প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩e৮ [ ও১শ ভাগ, ১ম খণ্ড দেশী রাজ্য আছে। তাহার একটি হইতেও কোন প্রতিনিধি পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেন নাই । পাটিয়ালার মহারাজার বিরুদ্ধে যে-সব প্রকাগু অভিযোগ করা হইয়াছিল, তাহার প্রকাশ কোন বিচার হয় নাই । ঐ মহারাজারই মনোনীত এক জন ইংরেজের স্বারা যে তদস্ত হইয়াছিল, তাহা প্রকাগু বিচার নহে। প্রকাশ বিচারের দাবি করিয়া একটি প্রস্তাব গৃহীত হয় । অন্য একটি প্রস্তাব স্বারা গোল টেবিল বৈঠকে দেশী রাজ্যের প্রজাদের প্রতিনিধি পাঠাইবার অধিকার দাবি করা হয়। প্রত্যেক রাজ্যে প্রজাদের নিকট দায়ী প্রজাতন্ত্রশাসনপ্রণালীও চাওয়া হয় । হজরৎ মোহম্মদের ছবি-প্রকাশ ছজন পঞ্জাবী মুসলমান যুবক কলিকাতার তিন জন পুস্তক-বিক্রতাকে হত্যা করার অভিযোগে পুলিস কর্তৃক অভিযুক্ত হয়। তাহারা দায়রা সোপর্ক হইয়াছে। তাহাদের বিরুদ্ধে পুলিসের পক্ষ হইতে বলা হইয়াছে, যে, “প্রাচীন কাহিনী” নামক বাংলা বহিতে হজরৎ মোহম্মদের ছবি প্রকাশ করায় তাহারা ঐ বহির প্রকাশক ও উহার দুজন সহকারীকে খুন করিয়াছে । এই অভিযোগ সত্য কি-না, তাহা হাইকোটের বিচারে পরীক্ষিত হইৰে । বিচারাধীন বিষয় সম্বন্ধে কিছু বলা উচিত নহে । কিস্থ মুসলমানদের শাস্ত্রে অভিজ্ঞ কোন মুসলমান যদি অমুসলমানদিগকে জানান যে, মুসলমান ধৰ্ম্ম-প্রবর্তকের কোন ছবি ছাপিলে বা তাহার কোন বিরুদ্ধ সমালোচনা করিলে কোরানে বা হাদিসে এইরূপ কাজের জন্তু কি প্রকার শাস্তি বিহিত আছে, তাহা হইলে ভাল হয় । আমরা মডার্ণ রিভিউ কাগজে এই প্রশ্ন করিয়াছিলাম, কিন্তু এ পর্য্যস্ত কোন উত্তর পাই নাই । এইরূপ প্রশ্ন করিবার ছুটি কারণ আছে । মুসলমান শাস্ত্রের এতদ্বিষয়ক বিধান জানিতে পারিলে আমুসলমানগণ যথোচিত আচরণ করিতে পারিবে। দ্বিতীয়তঃ পূৰ্ব্বোক্ত আসামীদের করোনারের আদালতে এবং প্রধান প্রেসিডেন্সী ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে বিচারের সময় অনেক পশ্চিম মুসলমান জনতা করিয়া “আছা হো আকবর" ধ্বনি উত্থাপিত করে। এরূপ ব্যাপারের সহিত ঈশ্বরের মহিমার কি সম্পর্ক আছে, তাহাও অমুসলমানরা জানিতে পারিলে মুসলমানদের সহিত যথোপযুক্ত ব্যবহার করিতে পারিবে । - ব্রহ্মে ভারতীয় সৈন্য প্রেরণ ব্ৰহ্মদেশে ভারতীয়দের প্রতি বিদ্বেষের কতকগুলি কারণ আছে। তা ছাড়া, এই বিদ্বেষ বাড়াইবার চেষ্টাও ভিতরে ভিতরে চলিতেছে । বিদ্বেষের একটি কারণ, ব্রহ্মে বিদ্রোহ দমন করিবার জন্ত ভারতবর্ষীয় সৈন্য প্রেরণ করা হইতেছে । বৰ্ম্মীদিগের সহিত ভারতীয়দের কোন ঝগড়া নাই । বৰ্ম্মীদের অনেকে স্বাধীন হইবার জন্য বিদ্রোহ করিয়াছে। এই বিদ্রোহ স্বাধীনতালাভের সদুপায় কি-না, আমাদের তাহা বিবেচনা করিবার আবশ্যক নাই। ইংরেজরা তাহাদিগকে অধীন রাথিয়াছে ও রাথিতে চায় । তাহাদিগকে অধীন রাখায় ইংরেজদেরই লাভ প্রধান । এই লাভটা পুরামাত্রায় নিজেদের হাতে রাখিবার জন্তু তাহারা ব্রহ্মদেশকে ভারতবর্ষ হইতে আলাদা করিতেও চায়। এ অবস্থায় ব্রহ্মে ভারতীয় সৈন্য পাঠাইয়', ভারতীয়রা ব্রহ্মের স্বাধীনতার শত্ৰু, বৰ্ম্মীদের মনে এই বিশ্বাস জন্মান অকুচিত । একথা "মডার্ণ রিভিউ এর গত সংখ্যায় লিখিয়াছি । তাহার পর দেখিলাম, ভিক্ষু উত্তম এই রূপ কথা অসুস্থ অবস্থায় কারমাইকেল হাসপাতাল হইতে লিখিয়াছেন। তিনি ভারতের জাতীয় নেতৃবৃন্দ এবং ব্যবস্থাপক সভাসমূহের সভ্যগণের উদ্দেশে নিম্নলিখিত মৰ্ম্মে এক অঙ্গুরোধ-পত্ৰ প্রচার করিয়াছেন —“দেশের মঙ্গলকামনায় ভারতীয় লৈঙ্কদিগকে যাহাতে ব্ৰহ্মদেশে প্রেরণ করা না হয়, অবিলম্বে সেরূপ ব্যবস্থা অৰলম্বনের নিমিত্ত আমি আপনাদিগকে সনিৰ্ব্বন্ধ অনুরোধ জানাইতেছি ; যেহেতু উহ! দ্বারা ত্ৰক্ষে ভারতীয়দের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের স্বচনী হুইৰে। এই সঙ্গে আমি ইহাও উল্লেখ করিতে পারি যে,