পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ—বাংলায় শারীরসাধন 89ፃ ̇ পক্ষেও সংস্কৃত জানার প্রয়োজন আছে। সংস্কৃতের সহিত ভারতবর্ষের অন্য কোন আধুনিক ভাষা অপেক্ষ বাংলা ভাষার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর এবং বাংলা ভাষা সংস্কৃতের উপর বেশী নির্ভরশীল। ইহা বাংলা ভাষার দৈন্ত বা দুৰ্ব্বলতা বলিয়া মনে হইতে পারে । কিন্তু দৈন্তই হউক বা দুৰ্ব্বগতাই হউক, উহা যে সত্য সে বিষয়ে সন্দেহ নাষ্ট, এবং সত্য বলিয়াই অন্ততঃ কিছু পরিমাণ সংস্কৃত না জানিলে শুদ্ধ ভাবে বাংলা লেখা সম্ভবপর নয় । গত এক শত বৎসরের সাহিত্যচর্চার ফলে বাংলা ভাষা নানা দিকে সমৃদ্ধ হইয়াছে সত্য, কিন্তু এখনও তাহার কতকগুলি বিষয়ে একটু দৈন্ত আছে। এই দৈন্ত দূর করিতে নূতন শব্দের কষ্ট ও চয়ন আবশ্বক। বৰ্ত্তমানে এই সকল শব্দই ংস্কৃত হইতে গৃহীত হয়। বাংলা দেশে সংস্কৃতের চর্চা ও জ্ঞান লোপ হইলে বাংলা ভাষার পুষ্টিসাধনের ও বিকাশের প্রধান উৎসটিই শুকাইয়া বাইবে । ইহা ছাড়া বাংলা দেশের কালচার বা সংস্কৃতির দিক হইতেও সংস্কৃত জানা ও শিক্ষার প্রয়োজন আছে । একমাত্র অসভ্য বৰ্ব্বর জাতিদেরই সভ্যতার কোন অতীত নাই । ভারতবর্ষের বর্তমান সভ্যতা প্রাচীন ভারতের সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিক সাধনার উপর প্রতিষ্ঠিত । এই প্রাচীন সভ্যতার পরিচয় আমরা ংশিকভাবে পাই পালি সাহিত্যে, কিন্তু প্রধানতঃ সংস্কৃত সাহিত্যে । বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত শিক্ষার বাধ্যবাধকতা না থাকিলে এই সভ্যতার সহিত বৰ্ত্তমান যুগের যোগমূল বিচ্ছিন্ন হইয়া যাইবে বলিয়া আমাদের বিশ্বাস। এই দিক হইতে সংস্কৃত ভাষার কি মূল্য তাহা বিচার করা কোন চৌদ্ধ পনর বৎসর বয়স্ক বালকের পক্ষে সম্ভব নয়। স্বতরাং একটা নূতন ভাষা শিক্ষা করা পরিশ্রমসাধ্য ব্যাপার বলিয়া ৰদি সে বাল্যকালে সংস্কৃত না শেখে তাহা হইলে বয়ঃপ্রাপ্ত হইয়া সে যখন বুঝতে পরিবে ইহাতে তাহার কি ক্ষতি হইল,তখন আর তাহার পক্ষে সেই ক্ষতির প্রতিকার कब्र नछद श्हें८य ना । cनझे छछ च्षांभाळभग्न भएन श्छ, শিখিবার বয়সের সকল ছাত্রকে মোটামুটি সংস্কৃত ভাষা শেখানো উচিত যাহাতে সে ভবিষ্যৎ জীবনে ইচ্ছা করিলে সংস্কৃতের গভীরতর চর্চা করিতে পারে এবং যাহাতে সেই সংস্কৃত-চর্চার পথ আগে হইতেই বন্ধ হইয়া नी बfग्न ! কেহ কেহ হয়ত বলিবেন যে, ব্যাবহারিক জীবনের দিক হইতে সংস্কৃতের কোন মূল্য নাই। কিন্তু স্কুলে যে-সকল জিনিষ শিক্ষা দেওয়া হয় তাহার কতগুলিরই বা ব্যাবহারিক মূল্য আছে ? বীজগণিত সকল স্থলের ছাত্রকেই পড়িতে হয়। ব্যাবহারিক জীবনে উহারই বা কি মূল্য আছে ? কিন্তু শিক্ষাসমস্তার মধ্যে শুধু জীবিকা অর্জনের আদশকেই বড় করিয়া ধরিলে চলিবে না। বুদ্ধি মার্জিত করা, মনের প্রসারসাধন করা, নিষ্কাম জ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধা জন্মানোও শিক্ষার কাজ। এই কথাটা ভুলিয়া গেলে শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হুইবে । বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য বিষয় সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ বলিয়াছেন যে, বাংলা ভাষার চর্চ র্যাহার করেন তাহাদের পক্ষে ংস্কৃত জানা নিতান্তই প্রয়োজন। বাংলা যাহাদের মাতৃভাষা তাহাদিগকে যদি সংস্কৃত শিখিতে না দেওয়া হয় তাহ হইলে উহার ফল অত্যন্ত বিষম হইবে। আমরা এই মতের সম্পূর্ণ সমর্থন করি, এবং বিজ্ঞান শিক্ষা সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ যাহা বলিয়াছেন তাহারও অকুমোদন করি । আমাদেরও এই মত, ষে, ম্যাটিকুলেশনের পাঠ্যতালিকার মধ্যে সংস্কৃত ও প্রাথমিক বিজ্ঞান আবশ্যিক হওয়া উচিত । তাহা হইলে অতীত ও ভবিষ্যৎ, কাহারও সহিতই আমাদের কোন বিরোধ হইবে না । বাংলায় শারীর সাধন বাঙালীর চিরকালের জুর্ণাম ষে তাহাকে আত্মরক্ষার জন্য ছোট বিষয়ে পশ্চিমা দারোয়ানের ও বৃহৎ ব্যাপারে গোরা পণ্টনের আশ্রয় গ্রহণ করিতে হয় । ইহা অবশু ইংরেজী যুগের সম্বন্ধেই সত্য। কারণ যদিও বর্তমানে আমাদের ঘরের দারোয়ান, পথের পুলিস, ও সীমান্ডের সৈনিক সকলেই অবাঙালী, তথাপি ইংরেজী যুগের পূৰ্ব্বে বাংলা দেশের যোদ্ধা ও বীরপুরুষ বাংলা দেশেরই লোক छ्णि । नाश्न, श्राद्रौब्रनाथन द यूकदिनT विदरब नाञ्चनं