পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8¢ चै. প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৮ [ e১শ ভাগ, ১ম খণ্ড কেজে। রকমের নিম্পত্তি বলে ধরে নেওয়া যাক। কিন্তু उबू ७कफै। कठैिन siहि ब्रहब cजन, श्मूि-भूननभांप्नब्र भाषा ভেদ ও বিরোধ । এই বিচ্ছেদটা নানা কারণে আস্তরিক হয়ে দাড়িয়েছে। বাইরে থেকে রাষ্ট্রনৈতিক প্রলেপ দিয়ে এর ফাটল নিবারণ করা চলবে না, কোনো কারণে একটু তাপ বেড়ে উঠলেই জাবার ফাটল ধরবে । যেখানে নিজেদের মধ্যে সত্যকার ভেদ সেখানেই রাষ্ট্রক ক্ষমতার হিল্যা নিয়ে স্বতন্ত্র কোঠায় স্বতন্ত্র হিসাব চলতে থাকে। সেখানে রাষ্ট্রক সম্পদে সকলেরই অখণ্ড স্বার্থের কথাটা স্বভাবতই মনে থাকে না । এমন দুগ্ৰহে একই গাড়িকে ছুটে ঘোড়া ছুদিকে টানবার মুস্কিল বাধায় । এখন থেকেই অধিকারের ভাগ-বথর নিয়ে হট্টগোল জেগে:চ । রাষ্ট্রনৈতিক বিষয়বুদ্ধির যোগে গোলটেবিল পেরিয়েও এই গোল উত্তরোত্তর বাড়বে বই কমবে এমন আশা আছে কি ? বিষয়বুদ্ধির আমলে সহোদর ভাইদের মধ্যেও বচসা বেধে যায় । শেষকালে গুণ্ডাদের হাতেই লাঠিসড়কির যোগে যমের দ্বারে চরম নিম্পত্তির ভার পড়ে । একদল মুসলমান সম্মিলিত নিৰ্ব্বাচনের বিরুদ্ধে, র্তার স্বতন্ত্র নির্বাচনরীতি দাবী করেন এবং তাদের পক্ষের ওজন ভারী করবার জন্তে নানা বিশেষ সুযোগের বাটখারা বাড়িয়ে নিতে চান। যদি মুসলমানদের সবাই বা অধিকাংশ একমত হয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচনরীতির দাবী করেন, এবং নিজেদের পক্ষের ওজন বাড়িয়ে নিতে চান, তা হলে এমনতরো দাবী মেনে নিয়েও আপোষ করতে মহাত্মাঞ্জী রাজি আছেন বলে বোধ হ’ল । তা যদি হয়, তার প্রস্তাব মাথ। পেতে নেওয়াই ভাল । কেন-না, ভারতবর্ষের তরফে রাষ্ট্রিক যে অধিকার আমাদের জয় করে নিতে হবে, তার স্বম্পষ্ট মূৰ্ত্তি এবং সাবনার প্রণালী সমগ্রভাবে তারই মনে আছে। এ পধ্যস্ত একমাত্র তিনিই সমস্ত ব্যাপারটাকে অসামান্য দক্ষতার সঙ্গে প্রবল বাধার বিরুদ্ধে অগ্রসর করে এনেছেন । কাজ উদ্ধারের দিকে দৃষ্টি রাখলে শেষ পৰ্য্যন্ত র্তারই হাতে সাৱধ্য-ভার দেওয়া সঙ্গত। তবু একজনের বা একদ্বলের ব্যক্তিগত সহিষ্ণুতার প্রতি নির্ভর করে একথা ভুললে চলবে না, যে, অধিকার পরিবেষণে কোনো একপক্ষের প্রতি ঘণি পক্ষপাত করা হয় তবে সাধারণ মানবপ্রকৃতিতে সেই অবিচার সইবে না, এই নিয়ে একটা অশান্তি নিয়তই মার-মুখে হয়ে থেকে যাবে। বস্তুত এটা পরম্পরের বিবাদ মেটাবার পন্থ নয়। সকলেই যদি একজোট হয়ে প্রসন্ন মনে এক-বোকা আপোষ করতে রাজি হয় তাহলে ভাবন নেই ; কিন্তু মানুষের মন । তার কোনো একটা তারে যদি অত্যন্ত বেশী টান পড়ে তবে স্বর যায় বিগড়ে, তখন সঙ্গীতের দোহাই পাড়লেও ’ সঙ্গং মাটি হয় । ঠিক জানি ন! কি ভাবে মহাত্মাষ্ট্ৰী এ সম্বন্ধে চিস্তা করচেন । হয়ত গোলটেবিল বৈঠকে আমাদের সম্মিলিত দাবীর জোর অক্ষুঃ রাখাই আপাতত সব চেয়ে গুরুতর প্রয়োজন বলে তার মনে হতে পারে । দুই পক্ষই আপন অী পন জিদে সমান অটল হয়ে বস্লে কঞ্জ এগে বে ন! । এ কথা সত্য । এ ক্ষেত্রে এক পক্ষে ত,াগ স্বীকার করে মিটমাট হুয়ে গেলে উপস্থিত রক্ষ হয় । একেই বলে ডিপ্লোম্যাসি। পলিটিকৃসে প্রথম থেকেই ষোল আন! প্রাপ্যের উপর চেপে বসলে ষোল আনাই থোয়াতে হয় । যার অদূরদর্শী কৃপণের মত অত্যন্ত বেশী টানাটানি না করে" আপোষ করতে জ্ঞানে তারাই জেতে । ইংরেজের এই গুণ আছে, নৌকাডুবি বাচাতে গিয়ে অনেকটা মাল ইংরেজ জলে ফেলে দিতে পারে । আমার নিজের বিশ্বাস বৰ্ত্তমান আপোষের প্রস্তাবে ইংরেজের কাছে আমরা যে প্রকাগু ক্ষতস্বীকার দাবী করচি সেট। যুরোপের আর কোন জাতির কাছে একেবারেই খাটতো ন, তারা আগাগোড়াই ঘুষি উচিয়ে কথাটা সম্পূর্ণ চাপ৷ দেবার চেষ্টা করত। রাষ্ট্রনৈতিক ব্যাপারে ইংরেজের স্ববুদ্ধি বিখ্যাত ; ইংরেজ সবখানির দিকে তাকিয়ে অনেকখানি সহ্য করতে পারে । এই বুদ্ধির প্রয়োজন যে আমাদের নেই এ কথা গোঁrয়ারের কথা ; আখেরে গোয়ারের হার হয়ে থাকে । রাষ্ট্রিক অধিকার সম্বন্ধে একগুঁয়েভাবে দর-কষাকবি নিয়ে হিন্দু মুসলমানে মনকষাকষিকে অত্যন্ত বেশী দূর এগোতে দেওয়া শত্রুপক্ষের আনন্দবৰ্দ্ধনের প্রধান উপায় ।