পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] যাইবে না, ডাক জাগিলে পরে ষাইবে । মিয়াতাকে তাদেরি একজন—দেহে মনে বেশ সুস্থ স’ল । ঘর থেকে ৰিদায়ের সময় পণ করিয়া আসিয়াছে প্রথম দলের সঙ্গেই যুদ্ধে যাইবে ! অথচ এমনি দুর্ভাগ্য, যুদ্ধে প্রাণদানের বদলে দেশের মধ্যেই নিষ্কৰ্ম্ম বসিয়া থাকা ধার্ঘ্য হইল ! কবে পাঠাইবে তারও ঠিকানা নাই। এ কি সহ হয়—মনে হইল মৃত্যুই তার পক্ষে শ্রেয় ! একদিন তখন অনেক রাত, মিয়াতাকের বন্ধুর গভীর ঘুমে অচেতন । নিরিবিলি সে একখানি বিদায়লিপি রচনা করিতে বসিল । তাহাজে লিখিল—কত সৈনিক যুদ্ধে গেল, দুভাগা আমি এখনও পড়ে আছি— এ দুঃখ সহ্য করার ক্ষমতা নেই ! কত সাধাসাধন করেছি কেউ আমাকে সঙ্গে নিলে না । আমার রাজভক্তি ও দেশপ্রীতি মরে’ প্রমাণ করা ছাড়া ত উপায় দেখি না ... মৃত্যুর জন্য তৈরি হইয়া সাদা কাঠের পাপ থেকে সে একখানি তীক্ষুধার ছোরা বাহির করিগ, তারপর সম্রাটের উদ্দেশে চাপাগলায় বান্‌জাই বলিয়া ‘হারাকিরি’ করিল— অর্থাৎ তলপেটের এধার হইতে ওধার পর্য্যস্ত চিরিয়া ফেলিল ! পুরানো দেবালয়ের . নিতৃত নির্জন প্রান্তে এই ভয়ানক কাণ্ড কেহ দেখিতেও পাইল না, কেহ জানিতেও পারিল না। বাহিরে তখন মৃদ্ধ বগণের ঝিবুঝির শব্দ –আর কোনো শব্দ নাই । g দেশভক্ত সৈনিকের নিষ্ঠ বোধ করি বিধাতার বুকে বাজিল—হঠাৎ বন্ধুদের ঘুম ভাঙিয়া যাওয়ায় তার প্রাণরক্ষ হইল । শেষে একদিন তার সাধও পর্ণ ছইল-সে হাসপাতাল ছাড়িয়া যুদ্ধযাত্রা করিল ! লড়াই চলিতেছে । যুদ্ধের পর যুদ্ধ জয়ের খবরে মন অবশ্বই খুসি হয়, তবুও স্বীকার করা ভাল, আনন্দটি নিছকৃ আনন্দ নয়। ভাবি—এইভাবে চলিলে আমরা যখন পৌছিব, তখন হয়ত যুদ্ধ চুকিয়া যাইবে । দিন কয় পরে না কি অপর একটি দল যাত্রা করিবে—আমাদের পালা কখন ? এখানে হাত-পা ওটাইয়া বলিয়া আছি, ওদিকে উহারা লড়াই ফতে করিয়া বসিল ষে । আরও বিলম্বে সেখানে গিয়া করিৰ কি ? পোর্ট-আর্থারের ক্ষুধা ‘GI যাক, শেষ পৰ্য্যন্ত হুকুম আসিয়াছে-ভোর ছয়টায় “প্যারেড’-মাঠে সকলে জড়ো হইবে । অসীম আনন্দ– এতদিনে জীবনে মহোচ্চ কীৰ্ত্তির স্থযোগ মিলিল । কথায় বলে, সাহসীর চোখে অবগু অশ্রী আছে, কিন্তু বিদায়কালে সে অশ্র বর্ষণ করে না ! ভালমন্দ সব किङ्कङ्ग छछ ट्रेडब्लि शजिम्नाहे उ चाथब्रा ७ विज्ञाष्ट्रटक চিরবিদায় না ভাবিয়া পারি না। মন কঠিন করিয়া মুখে হাসি ফুটাইয়াছি, তবু অন্তরের অশ্র কেমন করিয়া নিরোধ করিব ? 變 যাত্রার পূর্ব রাত্রি । উলটিয়া পালটিয়া বন্ধুবান্ধবের ছবিগুলি বেশ করিয়া দেখিয়া লইলাম । পরে ডেক্সর টানার মধ্যে দরকারি কাগজপত্র গুছাইয়। রাখিলাম— যেন আমি মরিলে আমার বিষয়-ব্যবস্থার জন্তু কাহাকেও বেগ পাইতে না হয় । তারপর স্বচ্ছন্দমনে মেঝের উপর ঘুমাইয়া পড়িলাম। বাড়িতে সেই শেষ নিদ্ৰা ! রাত তিনটায় পুরানে। কেল্লায় গিরিশীর্ষ হইতে ভিন বার কামান গজ্জন করিল। মুহূৰ্বে শষ্যা ছাড়িয়া নিৰ্ম্মল জলে স্নান করিয়া সৈনিকের বেশে সাজিলাম । তারপর যে দিকে আমাদের মহামহিম সম্রাট বিরাজিত, সেই পুৰ্ব্বদিকে ফিরিয়া মাথা নত করিলাম। ‘মিকাদো’র যুদ্ধ-ঘোষণা-পত্র শ্রদ্ধার সহিত পড়িয়া তার উদ্দেশে কহিলাম—আমি আপনার নগণ্য অধম প্রজ, এইমাত্র যুদ্ধ যাত্রা করছি ! বাস্থপীঠের সামনে অস্তিম আরাধনা করার সময় সৰ্ব্বাঙ্গে কাট দিল । মনে হইল পিতৃপুরুষেরা যেন বলিতেছেন-আজ থেকে ক্রোমার দেহ মন তোমার নয় ! সম্রাটের মহিমা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য, জাতিকে দারুণ বিপদ থেকে পরিত্রাণ করার জন্ত তুমি চললে ! অস্থি যদি চূৰ্ণ হয়, ংস যদি ছিন্ন হয়, তা-ও সহ্য করবে—এই সঙ্কল্প ক’রে .ষাও ! কাপুরুষতা দ্বারা কদাচ পূৰ্ব্ব পিতামহগণের অসম্মান ক’রো না ! পরিবার পরিজন আমাকে ঘিরিয়া দাড়াইল, বিদায়ের পানপাত্র হাতে তুলিয়া দিল, তাদের আস্তরিক শুভ ইচ্ছ। ७ यांनैदिान छांनाङ्केल । - পিত কহিলেন, সংসারের জন্ত চিন্তা নেই! দীর্ঘ কালের সকল সাধু সঙ্কল্প এবার কাজে अर्निङ क'एब्र।