পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(:e e SAMA SMAS SSAS SS SAAAAAS AAAA S AAAA S বেটে কুঁজে লোক, নানারকম অদ্ভুত অঙ্গভঙ্গী করিয়া ক্যাণ্ডিয়া এবং সিনিগিয়ার নাম মিলাইয়া ছড়া বাধিয়া নাচিতে আরম্ভ করিল । দর্শকের দল ত হাসিয়াই খুন। ক্যাণ্ডিয়া কয়েক মুহূৰ্ত্ত গেলাস হাতে করিয়া হতবুদ্ধির মত বসিয়া রহিল, হঠাৎ সে বুঝিতে পারিল, কি ব্যাপার ঘটিয়াছে। লোকগুলি কেহই তাহাকে নির্দোষী বলিয়৷ বিশ্বাস করিতেছে না। নিজের স্বনাম রক্ষা করিবার জন্ত সে সিনিগিয়ার সঙ্গে যড়যন্ত্র করিয়া চামচট। ফিরাইয়া দিয়াছে, ইহাই সকলের ধারণা । তাহার মাথায় যেন খুন চাপিয়া গেল । সে ব্যাস্ত্রীর মত সেই কুঁজে বুড়ার উপর লাফাইয়া পড়িয় তাহাকে বেদম প্রহার করিতে আরম্ভ করিল । দর্শকরা চারিদিকে ঘিরিয়া দাড়াইয়া জোর গলায় বাহুবা দিতে লাগিল, ঠিক যেন মেড়ার লড়াই, না মোরগের লড়াই হইতেছে । ধোপানীর ভীষণ কবলে পড়িয়া কুঁজে। বুড়ো লাটিমের মত ঘুরপাক থাইতে লাগিল। পলাইবার বহু চেষ্টা করিয়াও সে ক্যাণ্ডিয়ার হাত ছাড়াইতে পারিল না, শেষে মারের চোটে মুখ থুবড়াইয়া মাটিতে পড়িয়া গেল । কয়েকজন লোক ছুটিয়া গিয়া তাহাকে তুলিয়া ফেলিল । সকলে সমস্বরে ক্যাণ্ডিয়াকে গাল দিতে আরম্ভ করায় সে তখন ছুটিয়া নিজের বাড়ী চলিয়া আসিল । দরজা বন্ধ করিয়া, সে বিছানায় শুইয়া, রাগে হাত কামড়াইতে লাগিল। এই নূতন অপবাদটা চুরির অপবাদের চেয়েও তাহার মনে হইতে লাগিল বেশী, কারণ সে মনে মনে জানিত যে এই প্রকার কাজ করা তাহার পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়। কি করিয়া যে সে নিজেকে নির্দোষী প্রতিপন্ন করিবে, কিছুই ভাবিয়া পাইল না। অবস্থাটা এমন হইয়া দাড়াইয়াছে যে, স্বচ্ছন্দেই লোকে তাহাকে অপবাদ দিতে পারে। এমন কোনো ওজর সে তুলিতে পারিবে না, যাহাতে প্রমাণ হইতে পারে যে, সে এমন কাজ করিতে পারে না। লামোনিকাদের বাড়ীর উঠানে ঢোকা কিছুই কষ্টসাধ্য ব্যাপার নয়, সদর দরজা সাবাক্ষণই খোলা থাকে। লোকজন চাকরবাকর সারাক্ষণই যাওয়া আসা করে। স্বতরাং ক্যাণ্ডিয়া বলিতে পারিবে না যে, উঠানে যাওয়া তাহার পক্ষে সম্ভব নয় । সিনিগিয়ার সঙ্গে যুক্তি করিয়া ابراهیم ... می ۰۹ প্রবাসী— শ্রাবণ, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড চামচটা গৰ্ত্তে রাখিয়া আসার পথে বাস্তবিকই কোনো বাধা ছিল না। - লোককে বুঝাইবার জন্ত ক্যাণ্ডিয়া নৃতন নূতন যুক্তিতর্কের অবতারণা করিতে লাগিল। সারাক্ষণ সে নিজের বুদ্ধিতে শান দিতে লাগিল, নানাপ্রকার চুলচেরা বিচারের চোটে সে মানুষকে অস্থির করিয়া তুলিল। দোকানে দোকানে, বাড়ীতে বাড়ীতে ঘুরিয়া সে মাহুষের অবিশ্বাস দূর করিবার চেষ্টা করিতে লাগিল। সকল্পেই তাহার কথা শুনিত, তাহাতে বেশ আমোদ পাইত, তবে - বিশ্বাস করিত কি না সন্দেহ। " আচ্ছা, আচ্ছ, তাই না হয় হল”, বলিয়া তাহার ক্যাণ্ডিয়াকে বিদায় করিয়া দিত। • । কিন্তু তাহাদের কথার স্বরেই ক্যাণ্ডিয়ার বুক দমিয়া যাইত। সে বুঝিত যে, সে বুথাই এত পরিশ্রম করিতেছে। কেহই তাহার কথা বিশ্বাস করে না। তবুও সে হাল ছাড়িত না, সারারাত জাগিয়া নূতন নূতন যুক্তি আবিষ্কার করিত, সকালে সেগুলি উচু গলায় জাহির করিতে লাগিয়া যাইত। ক্রমে ক্রমে তাহার বুদ্ধিভ্রংশ হইতে আরম্ভ করিল, রূপার চামচের কথা ভিন্ন আর কোনো কথা সে আর ভাবিতেও পারিত না । কাজকৰ্ম্ম ক্রমে সে ছাড়িয়া দিতে লাগিল, সুতরাং ংসারে অভাব দেখা দিল । নদীতে কাপড় কাচিতে গিয়া, মধ্যে মধ্যে সে হাতের কাপড়ের কথা ভুলিয়া গিয়া, চুরির ব্যাপার ভাবিতে আরম্ভ কল্পিত, কাপড় হাত হইতে পড়িয়া জলে ভাসিয় যাইত। ক্যাণ্ডিয়ার সেদিকে খেয়ালই থাকিত না, সে বক্‌ বক্‌ করিয়া বঞ্চিয়৷ চলিত। তাহার কথা চাপা দিবার জন্ত শেষে অন্ত ধোপানীরা নানারকম তামাসার গান বাধিয়া গাহিতে স্বরু করিত। ক্যাণ্ডিয়া তখন পাগলের মত হাত পা নাড়িয়া ঝগড়া,জুড়িয়া দিত। - কেহ আর তাহাকে কাজ দিতে চাহিত না । তাহার আগের প্রভুর মাঝে মাঝে দয়া করিয়া খাবার কিছু কিছু পাঠাইয়া দিত। ক্যাণ্ডিয়ার অবশেষে এমন দুরবস্থা হইল যে, সে ছেড়া কাপড় পরিয়া, মাথা হেঁট করিয়া রাস্তায় রাস্তায় ঘুরিতে লাগিল। দুই ছেলের দল তাহাকে দেখিলেই পিছনে লাগিত এবং চীৎকার