পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** লে মনে মনে ভাবিল—এই লেক্‌ ! এরই এত নাম ! এ কলকাতার বাবুদের ভাল লাগতে পারে—ভারী তো ! লীলা আবার এরই এত স্বখ্যাতি কয়ছিল—আহ, বেচারি কলকাতা ছেড়ে কখনও কোথাও তো যায় নি! লীলা *ोटइ चdधंडिछ झग्न ५हे खट्टम्न ८न् निटछब्र घडÉ उवांद्र दाऊ कब्रिज नां । হঠাৎ লীলা বলিল—স্থ্য ভালো কথা, তুমি নাকি কি বই লিখেচ ? একদিন আমাকে দেখাবে না কি লিখলে ? আমি জানি তুমি একদিন বড় লেখক হবে, তোমার সেই ছেলেবেলার গল্প লেখার কথা মনে আছে ? তখন থেকেই खांनि । পরে সে একটা প্রস্তাব করিল। বিমলেন্দুর মুখে সে সব শুনিয়াছে, বইওয়ালার বই লইতে চায় না— ছাপাইতে কত খরচ পড়ে ? এ বই ছাপাইয়া বাহির করিবার সমুদয় খরচ সে দিতে রাজী। জপ্রত্যাশিত আনন্দে অপুর সারা শরীরে যেন একটা বিদ্যুতের ঢেউ খেলিয়া গেল। সব খরচ ! যত লাগে ! তবুও আজ সে মুখে কিছু বলিল না । অপুর মনে লীলার জন্ত একটা করুণা আহুকম্প জাগিয়া উঠিল ঠিক—পুরাতন দিনের মত। লীলারও কত আশা ছিল আর্টিষ্ট হইবে, ছবি অঁাকিবে, অনভিজ্ঞ তরুণ বয়সে তাহারই মত কত কি স্বপ্নের জাল বুনিত । এখন শুধু নতুন নতুন মোটর গাড়ী কিনিতেছে, সাহেবী দোকানে লেস্ কিনিয়া বেড়াইতেছে—পুরাতন দিনের যজ্ঞবেদীতে আগুন কই, নিবিয়া গিয়াছে। যজ্ঞ কিন্তু অসমাপ্ত । কৃপার পাত্র লীলা ! অভাগিনী লীলা । ঠিক সেই পুরাতন দিনের মত মনটি আছে কিন্তু । তাহাকে সাহায্য করিতে মায়ের পেটের মমতাময়ী বোনের মতই হাত বাড়াইয়া দিয়াছে আমনি । আশৈশব তাহার বন্ধু...তাহার সম্বন্ধে অস্তুত ওর মনের তারটি খাটি স্বরেই বাজিল চিরদিন । এখানেও হয়ত করুণা, মমতা, অনুকম্প-ওদেরই বাড়ীতে না তার মা ছিল রাধুনী, কে জানে হয়ত কোন শুভ মুহূর্তে তার হীনতা, দৈন্ত, অসহায় বাল্যজীবন বড়লোকের মেয়ে লীলার কোমল বাল্য মনে ঘা দিয়াছিল, সহানুভূতি, প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড कङ्घर्ष, भभडl छां★ाईब्रांझिल ! नकल गठिाकाब्र छांजবাসার মশলা এরাই-এর। যেখানে নাই, ভালবাসা সেখানে মাদকতা জানিতে পারে, কিন্তু নিবিড় इहेब উঠে না, মোহ জানিতে পারে, কিন্তু চিরস্থায়িত্বের স্নিগ্ধতা আনে না । সে ভাবিল লীলার মনটা ভাল বলে সেই স্থযোগে সবাই ওর টাকা নিচ্চে । ও বেচারী এখনও মনে সেই ছেলেমাচুষটি আছে—আমি ওকে করতে পারব না। দরকার নেই আমার বই ছাপানোয় । এদিকে মুস্কিল। হাতের টাকা ফুরাইল । চাকুরিও জোটে না । মিঃ রায়-চৌধুরী অনবরত ঘুরাইতে ও ইাটাইতে লাগিলেন । অপু যেখানে ছিল সেখানে আবার এর ম্যাঙ্গানিজের কাজ আরম্ভ করিয়াছেন, অপু ধরিয়া পড়িল তাহাকে আবাব সেখানে পাঠানে হৌক । অনেকদিন ঘোরানোর পরে মিঃ রায়-চৌধুরী একদিন প্রস্তাব করিলেন, সে আরও কম টাকা বেতনে ওখানে যাইতে রাজী আছে কিনা ? অপমানে জপুর চোখে জল আসিল, মুখ রাঙা হইয়া উঠিল । এ কথা বলিতে উহারা আজ সাহস করিল শুধু এইজন্স যে, উহারা জানে যতই কমে হোক না কেন, সে সেখানে ফিরিয়া যাইতে রাজী হইবে, অর্থের জন্ত নয়—অর্থের জন্য এ অপমান সে সহ করিবে না নিশ্চয় । কি গু--- শরতের প্রথম—নীচের অধিত্যকায় প্রথম আবলুস ফল পাকিতে স্বরু করিয়াছে বটে, কিন্তু মাথার উপরে পৰ্ব্বত সাতুর উচ্চস্থানে এখনও বর্ষ। শেষ হয় নাই । টেপারী বনে এখনও ফল পাকিয়া হলদে হইয়া আছে, ভালুকদল এখনও সন্ধ্যার পরে টেপারী খাইতে নামে, টিয়াপার্থীর ঝণক. সারাদিন কলরব করে, আরও ওপরে সেখান হইতে বাদাম ও সেগুন বনের মুরু, সেখানে অজস্র সাদা মাজুফল, আরও উপরে রিঠাগাছের খোলোথোলো ফল ধরিয়াছে, এমন কি ভাল করিয়া খুজিয়। দেখিলে দু-একটা রিঠাগাছে এখনও ছু-এক ঝাড় দেরিতে-ফোটা রিঠা ফুলও পাওয়া যাইতে পারে । exploit