পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AJSS S S S S S S S S উপস্থিত। তার হাতে যন্ত বড় শ্বেতপথের এক তোড়া, তাহার তলায় একটা গোড়ে মালাও বুলিতেছে। গ হইতে বাহির হইয়া জালিতেছে গোলাপ জলের গন্ধ। गदांझे डीझोटक चज्रार्थना कब्रिग्नां छेटैिण । भणिजाल খুশীমুখে তখন আসরে জাসিয়া বসিয়া পড়িল । “তোমাদের জন্যই ওখান থেকে তাড়াতাড়ি ছুটে এলাম। মিসেল চ্যাটাজী নাছোড়বান্দা । বলতে হ’ল, জামার বন্ধুদের উৎসবে না গিয়ে পারি না । তারপর জনেক ব’লে কয়ে, এক পেট খাবার খেয়ে তবে ছুটি পেয়েছি । জাবার তোমাদের এখানেও খেতে হবে ? ওয়ে বাবা, সেটি পারব না, পেটে যদি একটু জায়গা থাকে। আচ্ছা, আনো এক কাপ চা আৰু এক মাইস কেক,—ওনলি টুপিস্—” কেকে এক কামড় দিয়া পেয়ালা হইতে এক চুমুক ' চা পান করিয়া মৃদ্ধস্বরে বিনোদকে মণিলাল কহিল, “ব্রোচটা চমৎকার মানিয়েছে লুসীকে । সেটা প’রে তাকে কি চমৎকারই দেখাচ্ছিল তুই যদি দেখতিস্। লুসী বললে, কি ডিসেন্ট তোমার পছন্দ — lovely. তা দামটা একটু বেশী হয়েছে বৈকি,—ভাল জিনিষ হ’লে হতেই হবে । পাচ-শো টাকায় কিছুতেই হ’ল না,—ছ'শো পচিশ টাকা পনেরো আনা । শ্রদ্ধাপ্পত বিনোদের মুখ দিয়া শুধু বাহির হইল, “স্ট্রস יין “জার এই সাদা পদ্মের এই তোড়াটা নিজের হাতে লুণী জাজ আমাকে উপহার দিয়েছে। ফুলের তাড়া থেকে জামার জন্ত বেছে রেখেছিল । বললুম, তোমাকে দেখাচ্চে ষেন বিয়ে করতে ষাচ্ছ । ন-টা গাল, কিল দেখালে ।” কয়দিন কাটিয়া গিয়াছে । সেদিন মণিলাল নিজের ঘরে ৰলিয়া একটা ট্যাশ, ইংরেজী নভেল পড়িতেছিল। ট্যাশ, নভেল পড়ার মধ্যে এরিষ্টোক্রাসি আছে । মুগ্ধ হইয়া মণিলাক্স পড়িতেছে । তিন পাতা যাইতে-না-ঘাইতেই পাচটা গুম্‌ খুন। এর পর আরও না জানি কি আছে ? স্কটল্যাও ইয়ার্ড আলিল বলিয়া । এমন সময় ঘরে ইন্সপেক্টর অমুকের প্রবেশ করা উচিত ছিল, কিন্তু শাসিল বিনোদবিহারী। প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড “कि श्वयब्र ?” বিনোদের মুখ লাল হইয়া উঠিয়াছে। তার ঠোঁটটা কঁাপিল, কিন্তু কথা বাহির হইল না। ধীরে জালিয়া তক্তপোযে সে বসিয়া পড়িল । মণিলাল কহিল, “জারে ঘামাচ্ছিস কেন ? ব্যাপার কি ? কানটা তো দারুণ লাল, কেউ মলে দেয়নি তো ?” অনেক কষ্ট্রে সঙ্কোচ এড়াইয়া বিনোদ কহিল, “ভাই, একটা উপকার করতে হবে—তুমি না হ’লে আর কেউ পারবে না ।” মণিলাল কহিল, “লুলীর ব্রোচ ফিনতেই সব টাকা ফুরিয়ে গেছে । আরও টাকার জন্ত লিখে দিয়েচি, তার আগে তো আর—** বাধা দিয়া বিনোদ কহিল,“না টাকার জঙ্ক আলিনি।” “তবে ? আমাদের গানের ক্লাবের মজলিশের টি কেটের—” “না না, সে-সব কিছু নয় ।” বিনোদের মুখখানা আরও লাল হইয়া উঠিল । গেয়ো-মেয়ের-মত সঙ্কোচ কাটাইয়া ফেলিয়া সে সংসা কহিয়া ফেলিল, “আমার জন্য মেয়ে দেখতে যেতে হবে।” “মেয়ে দেখতে ?” বিস্ময়ে মণিলালের চোখ ছুটি বড় হইয়া উঠিল । “তোর জন্তু মেয়ে দেখতে ? বিয়ের মেয়ে ?” ঘাড় নাড়িয়া বিনোদ কহিল, "ই ।” “না বাপু, ও-সব সেকেলে ব্যাপারের মধ্যে আমি নেই । হরিবল—কাপড়ের পুটলীর মত একটা মেয়েকে যাচাই করা 1 জংলী প্রথা। লজ্জাবতী-লতার গা থেকে মাথা পৰ্য্যস্ত থর থর করে কাপন দেখলেই হাসি পায় । পুতুলের পেট টিপলে যেমন আওয়াজ বেরোয় তেমনি-তয়— কথাবাৰ্ত্তা,—হা হা । আমাদের সোসাইটিতে বাপু ও-সব মান্ধাতার আমলের প্রথা প্রচলিত নেই । ছেলেরা আর মেয়ের নিজ নিজ কম্পেনিয়ান পছন্দ ক’রে নেবে। ८कां८मा शजांभा cमहे ।” বিনোদ একেবারে দমিয়া গেল। একেই তো সে দারুণ ভয়ে ভয়ে আসিয়াছিল, তারপর মণির এই সহায়ভূতির অভাব। মণিলাল তো জানেও না বিয়ের জাগে