পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] এক্সচেঞ্জ বা মুদ্র-বিনিময় es». নির্ধারণের উপায় মাজ । আমাদের ক্রয় করিবার শক্তি জামাদের মালের মূল্যের উপর নির্ভর করে। এই ত গেল সরাসরি স্তোকবাক্য। বাস্তবিকই কি ইহা ঠিক ? ১৯৮০ সনের কমার্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের রিপোর্ট হইতে দেখা যায় যে, গত বৎসর ১৯২৯ সনের সঙ্গে তুলনায় আমাদের আমদানি কমিয়াছে চৌষষ্টি কোটি টাকা এবং রপ্তানি কমিয়াছে সত্তর কোটি টাকা। আর যদি এক্সচেঞ্জের হ্রাস-বৃদ্ধির সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়ের কোন যোগাযোগ না থাকিত, তাহা হইলে সরকার পক্ষ হইতে উচ্চ হার বজায় রাখিবার জন্তু এত জেদই বা কেন ? আবার ইহাও বলা হয় যে, বর্তমান এক্সচেঞ্জ এমন একটি পবিত্র জিনিস যে, ইহা কোনও মতে বদলান যাইতে পারে না। এটি বোধ হয় নূতন আবিষ্কার। কেন-না, আমরা দেখাইয়াছি যে ১৯১৭ হইতে ১৯১৯ পৰ্য্যম্ভ উহ। আট বার পরিবর্তন করা হইয়াছে। প্তাহার পরেও আরও দুইবার পরিবর্তন হইয়াছে। যদি দশবার পরিবর্তন করিয়াও ইঙ্গর পবিত্রতা বজায় থাকে, তবে আর একবার পরিবর্তন করিলেই বেদ অশুদ্ধ হইবে কেন ? স্তর জজ সুষ্ঠার যে বলিয়াছেন আমাদের ক্রয় করিবার শক্তি আমাদের মালের মূল্যের উপর नििर्डङ्ग कत्त्व, उाश कि। किङ चामारश्न थाप्नद्र श्रृङ्ख्या কি জন্তান্ত দেশের সালের মূল্যের উপর নির্ভর করে না ? এক্সচেঞ্জের হার বেশী হইলে বিদেশীদের এদেশে প্রতিযোগিতা করিবার স্থবিধা হয়, তদুপরি আমাদের মালের মূল্য বিদেশী মালের তুলনায় বেশী হইলে বিক্রয় করিবার অস্থবিধা ঘটে। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি পরিমাণ এবং চাহিদার উপরেই মালের মূল্য নির্ভর করে। এই অবস্থায় সরকারি পক্ষের এই যে উক্তি—এক্সচেঞ্জের ঘটা বাড়ানোতে আমাদের কোন লাভলোকসান নাই,—তাহা মোটেই ঠিক নয়। আমরা মনে করি, ইংলণ্ডের ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্তই এক্সচেঞ্জের উচ্চ হার নির্ধারণ করা হইয়াছে । যদি তাহা ন হইত, তাহা হইলে সমগ্র ভারতবর্ষের তীব্র প্রতিবাদ সত্ত্বেও কেন ইহা কমান হইতেছে না ? এক্ট উচ্চ হার বজায় রাখিতে গিয়া কৃত্রিম উপায়ে টাকার বাজার গরম রাখা হইয়াছে, কোম্পানীর কাগজের দাম অসম্ভব কমিয়াছে, সরকারি ঋণের স্বদ বাড়িয়াছে, ব্যাঙ্ক রেট অঙ্ক দেশের তুলনায় উচ্চ রাখা হইয়াছে, চলতি টাকার সংখ্যা কমান হইয়াছে, কারেন্সি রিজার্ভ নষ্ট করা হুইয়াছে এবং জামাদের শিল্পবাণিজ্যের অশেষ ক্ষতি করা হইয়াছে ।