পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sখ লংখ্যা]' : জাদর্শ ছিলাৰে এক একটি ভাষা লইয়া এক একটি थप्न अंठेन छाल झझे८लe कॉर्षाड: डांझीं शूनाथा द! বাঞ্ছনীয় না হইডে পারে। হিন্দী আগ্র-অযোধ্যা প্রদেশ, fবহার, মধ্যপ্রদেশের কয়েকটি জেলা এবং কোন কোন দেশী রাজ্যের ভাষা । কিন্তু সবগুলিকে একত্র করিয়া একটি স্ববৃহৎ প্রদেশে পরিণত করা চলে না। মধ্যপ্রদেশের অনেক জেলায়, বোম্বাই প্রেসিডেন্সীর অনেক জেলায়, দেশী রাজ্য হায়দরাবাদের অংশ-বিশেষে ও বেরারে মরাঠী ভাষা প্রচলিত। সবগুলিকে একটি প্রদেশ করা চলে না। কিন্তু কোন কোন স্থলে ভাষা অকুসারে প্রদেশ গঠন একান্ত কৰ্ত্তব্য, এবং কোন কোন স্থলে তাই স্বসাধাও বটে । উৎকলের কোন-লা-কোন টুকরা কোন না-কোন অন্ত প্রদেশের সঙ্গে সংযুক্ত করা হইয়াছে । তম্ভিন্ন উৎকলের এক বৃহৎ অংশ নানা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দেশী রাজ্যে বিভক্ত । এই সব কারণে, কোন প্রাদেশিক গবন্মেণ্টই একমাত্র বা প্রধানত: ওড়িয়াদিগের মঙ্গলসাধনে মনোনিবেশ করে না, করিতে পারে না । সেইজন্ম উংকল জ্ঞানে অপেক্ষাপ্রুত অনগ্রসর এবং দরিদ্র হইয় আছে । অথচ উংকলের ইতিহাস হইতে এবং তাহার এখন প্ৰ বিদ্যমান মন্দিরদি হইতে বুঝা যায়, যে, আগে এক্ট দেশ সমৃদ্ধ, প্রতাপশালী ও সভ্যতায় অগ্রসর ছিল । তেলুগুভাবী অন্ধ, দেশের, কন্নড়ভাষী কর্ণাটের, এবং আরও কোন কোন অঞ্চলের, একভাষাভাষী বলিয়া, এক একটি প্রদেশে পরিণত হইবার দাবী আছে । গবন্মেণ্টের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কেবল দুই-একটিতে মন দিয়া অন্যগুলি অবহেলা করা অকুচিত । সবগুলিরই মীমাংসা হওয়া উচিত । আপাততঃ, আমরা বাঙালী বলিয়া বাংলাদেশের, এবং উৎকল বঙ্গের সন্নহিত এবং বাংলার সহিত তাহার সভ্যতার ঐতিহাসিক যোগ আছে বলিয়া, আমরা বঙ্গের ও উৎকলের সম্বন্ধে সামান্য কিছু বলিব । কোন কোন জেলা বা জেলার অংশ বাংলায় আসা উচিত, কোনগুলি উৎকলে যাওয়া উচিত, কোনগুলি বা আসামের সহিত যুক্ত থাকা ভাল, তাহ বিচার করিবার नभइ ८कइ ८कश् चाछांब्र-बावशांब्र, खेचांश्कि चांषांन প্রদান, প্রভৃতির ঐক্য ও বৈষম্যের কথা তুলিতেছেন।" এসব জিনিষ আবশ্ব তুচ্ছ করিবার বিষয় নহে। কিন্তু এক্ষেত্রে তাহাজের কথা না তোলাই ভাঙ্গ । কারণ, একই প্রদেশবাসী, একই ধৰ্ম্মের ও বর্ণের লোকদের মধ্যে ঔদ্বাহিক আদান-প্রদান না চলিবার এবং আচারব্যবহারের পার্থক্যের দৃষ্টান্ত রহিয়াছে। বাংলা দেশে রাঢ়ী, বারেন্দ্র বৈদিক ও কনৌজিয়া শ্রেণীর ব্রাহ্মণদের মধ্যে আদান-প্রদান নাই, অ’চার-ব্যবহারেরও কিছু পার্থক্য আছে । অথচ তাহারা সকলেই বাংলা বলে ও বাঙালী । ভাষা অতুসারে প্রদেশ গঠনের কথা উঠিয়াছে ; স্বতরাং কেবল ভাষা অনুসারে বিচার হওয়াই ভাল । অ1র একটি কথা স্মরণ রাখা কৰ্ত্তব্য । বিচার হইতেছে বর্তমান সময়ের, অতীত কালের নহে । এখন যেপানে অন্য ভাষা চলিত আছে, অতীত কালে হয়ত সেখানে ও বাংলা দেশে একই ভাষা প্রচলিত ছিল । মিথিলার অক্ষর এবং বাংলার অক্ষর এক ; বিদ্যাপতিকে বাংলার ও মিথিলার লোকেরা নিজেদের কবি বলিয়া দাবী করে। কিন্তু তা বলিয়া বাঙালীদের ইহা বলিলে চলিবে না, যে, মিথিলা বঙ্গের অস্তভূড হউক । এখন দেখিতে হুইবে, আগে যেখানে যে-ভাবাই প্রচলিত থাকুক, এখন কি ভাষা প্রচলিত । ভাষা এক বলিয়াই, বিশেষ কোন অনুবিধা না থাকিলেও এক বা একাধিক জেলাঞ্চে বাংলার সামিল করিবার চেষ্টা না করিলেও চলে । জামাদের এই বক্তব্য বুঝাইবার জন্য, আমাদের কোন চুড়াস্ত সিদ্ধাস্ত প্রকাশ ন। করিয়া, আমরা আসামপ্রদেশভুক্ত বাংলাভাষী স্থানগুলির উল্লেখ করিতে চাই । সমুদয় বাংলাভাষী স্থান বঙ্গের অস্তগত হওয়া চাই, এই নিয়ম অনুসারে আসামপ্রদেশভূক্ত এই জায়গাগুলির বঙ্গে আসা উচিত সন্দেহ নাই। কিন্তু এখানে বিবেচনা করিতে হইবে, আমরা কেন একভাষাভাষী লোকদিগকে একপ্রদেশভুক্ত করিতে চাই । কোন একভাষাভাষী বহুসংখ্যক লোকদের সঙ্গে অন্যভাষাভাষী অল্পসংখ্যক লোককে এক প্রদেশভূক্ত করিলে শেষোক্ত লোকদের নানা অসুবিধা