পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃটিষ্টে পারে। তাহাজের ক্ষা ও সাহিত্য, তাহাজের শিক্ষা, তাহায়ে সংস্কৃতি (culture)প্রভৃতি যথেষ্ট উৎসাহ o পায় না, তাহাদের সরকারী কাজকৰ্ম্ম, ঠিকা (contract), ফরমাইস পাইবার অসুবিধা হয়, ব্যবস্থাপক সভায় তাহাজের মতের জোর হয় না, ইত্যাদি । এখন বিবেচনা করিতে হইবে, আসামপ্রদেশভুক্ত বঙ্গভাষীদের এই गकण दिश्टक्क अष्ट्रविक्षा आएझ् किना, ८रु थाकिाश डाइ। এত বেশী কিনা যাহার জন্য তাহাদের বঙ্গের অস্তভূত হওয়া একাস্ত আবশ্বক। আমরা এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নহি, স্বতরাং এবিষয়ে আমাদের কোন চুড়াস্ত সিদ্ধান্ত নাই । কিন্তু আমরা জানি, আসাম প্রদেশে যত ভাষাভাষী লোকসমষ্টি আছে, তাহাদের মধ্যে বঙ্গভাষাভাষীর সমষ্টিই সব চেয়ে বড়। স্বতরাং বাঙালীদের ভাষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, সরকারী কাজ আদি পাইবার এবং ব্যবস্থাপক সভায় প্রতিনিধিত্বের দাবী আসামে অবহেলিত হইবার কথা নহে। কিন্তু বাস্তবিক কয় কিনা বলিতে পারি না । অন্য দিকে, দেখিতে হুইবে, আসামে বিস্তর জমী ও অরণ্য পড়িয়া আছে ; এখনও ভথায় বহু লক্ষ লোক বসিতে ও সমৃদ্ধ হইতে পারে । আসামের খনিজ ও অখণ্যজ সম্পত্তি এখনও অল্পই মাচুষের ব্যবহারে লাগান হুইয়াছে—সমস্ত এখনও স্বপরিজ্ঞাতই নহে । আসামপ্রদেশভুক্ত থাকিতে তথাকার বাঙালীদের এই সমস্ত প্রাকৃতিক ঐশ্বয্যের সুবিধা পাইবার যতটা সুযোগ আছে, তাহাদের বাসভূমি বঙ্গের অন্তর্গত হইলে ততটা সুযোগ থাকিবে না, ইহা নিশ্চিত । এই বিষয়টি বিশেষ অনুধাবনযোগ্য । বঙ্গের যে-সব টুকরা বিহারের অন্তর্গত হইয়াছে, সেগুলির কথা স্বতন্ত্র । এই টুকরাগুলির অধিবাসীদের শিক্ষণ আদির অস্তুবিধা আছে । সরকারী চাকরী প্রভৃতি পাওয়াতেও বাধা হয়। তাহারা বিহারপ্রদেশভুক্ত হইলেও প্রায়শই, “বিহারীর জঙ্ক বিহার" নীতির আকুসরণে বাঙালী বলিয়া উপেক্ষিত হয়। বিহারের ব্যবস্থাপক সভায় তাহাদের মতের জোর হইতেই পারে না। অন্ত সৰ অসুবিধার কথা বলিবার প্রয়োজন নাই। অবশু কোন কোন জেলা বা জেলাংশ ۔ ہیتr**بہ ماده سیم یحیی سهر बत्रजाशै, उांश नश्बा उर्क आीहरू गोप्त्र । कनफ़ेब ভাৰ হইতে তর্ক না করিয়া ধীর স্থির ভাবে, শুখ্যের উপর নির্ভর করিয়া, জালোচনা করা উচিত। কিন্তু আবিষ্কৃত তথ্য সব স্থলে পাওয়া যায় না, ইহাও স্বীকাৰ্য্য। পূর্ণিা জেলার একটি বৃহৎ অংশ গ্রিয়াসন সাহেব পৰ্য্যন্ত বঙ্গভাষী বলিয়া সিদ্ধান্ড করেন। তাহার পর, ঐ জেলা বিহারের অন্তর্গত হওয়ায়, ভাষা বিষয়ে তাহা অপেক্ষা অপণ্ডিত লোকদের দ্বারা ঠিক হইয়া গেল, যে, ঐ ংশের লোক হিন্দীষ্ট বলে । যাহা হউক, কতকগুলি স্থান সম্বন্ধে কোন সন্দেহ হওয়া উচিত নয়। যেমন, মানভূম জেলা। ইহার অধিকাংশ লোক বাঙালী ; বহু পুরুষ ধরিয়া বাঙালী, ও বাংলা বলে । ধানবাদ অঞ্চল সম্বন্ধে তর্ক উঠিয়াছে বটে। খনিতে কাজ করিবার জন্য অনেক অবাঙালী এই . অঞ্চলে আসায় এখানে তাহাwের সংপ্যাধিক্য খটিয়া থাকিবে—ঐ অঞ্চলে বাঙালী ও অবাঙালীদের ঠিক সংথ্যা কত জানি না । যদি মবাঙালীদের সংখ্যা বেশী হয়, তাহা ইষ্টলেণ্ড বিবেচনা করিতে ই হবে, যে, তাহারা পরিবারী হইয়া তথাকার স্থায়ী বাসিন্দা হুইয়াছে কিনা, যেমন আগ্ৰা-অযোধ্যা প্রদেশের কোন কোন শহরে কোন কোন বাঙালী পরিবার চা’র পাচ পুরুষ ধরিয়া স্থায়ী বাসিন্দ: য়াষ্ঠে । কোন বিশেষ একটি গ্রাম বা নগধ বা অঞ্চল কোন প্রদেশের অস্থগত, কাহা কেবল অস্থায়ী আগন্ধক লোকদের সংখ্যা দ্বারা নিৰ্দ্ধারণ করা যায় না । কলিকাতার সন্নিকটে গঙ্গার উভয় তীরে অনেক কলকারখানাবস্থল স্থান আছে, যেখানে বঙ্গের বাহির হইতে বিস্তর শ্রমজীবীর আমদামী হওয়ায়, স্থায়ী বাসিন্ধ! বাঙালীর হয়ত কোথাও কোথাও সংথ্যায় কম হইয়। গিয়াছে । কিন্তু ঐ স্থানগুলি তাহা হইলেও বঙ্গেরই অংশ। ধানবাদের এবং এই জায়গাগুলির প্রভেদ এই, যে, কলিকাতার সন্নিহিত এই জায়গাগুলি বঙ্গের মাঝখানে অবস্থিত, ধানবা’দ সীমার সন্নিকট একটি জেলার অন্তর্গত ; কিন্তু এই প্রভেদের জন্ত ধানবাদের স্থায়ী বাসিন্দা বাঙালীদিগৰুে ভিয়প্রদেশভুক্ত করা উচিস্ত হইবে না।