পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

G Ե-Ե প্রবাসী—শ্ৰাবণ, ১৩৩৮ কবির প্রতি আপনাদের শ্রদ্ধা প্রীতি ও শুভ ইচ্ছা জ্ঞাপন করিয়াছেন। তাহাদের সকলের স্বাক্ষরগুলির প্রতিলিপি দিলাম। এই স্বাক্ষরগুলির প্রথমটি প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর শ্ৰীযুক্ত শালেতির ও দ্বিতীয়টি বিখ্যাত ফরাসী লেখিকা কম্তেস দ্য নোয়াইয়ের । অন্য স্বাক্ষরকারীদের মধ্যেও অনেক বিখ্যাত লেখক-লেখিকা আছেন । স্থানাভাবে তাহাদের নাম দেওয়া গেল না। বাঙালী পাঠক-পাঠিকাদের মধ্যে কেহ কেহ বাংলা দস্তখতগুলিতে নিজেদের আত্মীয়-আত্মীয়ার হস্তাক্ষর দেখিতে পাইবেন । পুরাতন বাংলা সংবাদপত্রের ফাইল প্রবাসীর সহকারী-সম্পাদক শ্রযুক্ত ত্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বাংলা সংবাদপত্রের ইতিহাস সঙ্কলনে নিযুক্ত আছেন । তিনি অনেক চেষ্টা করিয়াও কতকগুলি পুরাতন বাংলা সংবাদপত্রের ফাইল আবিষ্কার করিতে পারেন নাই । প্রবাসীর কোনও পাঠকের সন্ধানে যদি সেই পত্রিকাগুলির সম্পূর্ণ বা অসম্পূর্ণ ফাইল থাকে, তবে তিনি অতুগ্রহ করিয়া প্রবাসী আপিসের ঠিকানায়ু ব্রজেন্দ্রবাবুকে সেই সংবাদ এবং সেই ফাইলগুলি দেখিবার অল্পমতি দিলে তিনি বিশেষ উপকৃত হইবেন । তাহার নিম্নলিখিত পত্রিকাগুলির প্রয়োজন : (১) সমাচার দপণ (১৮৪০-৪১ ; ১৮৫১-৫২) (২) সোমপ্রকাশ (প্রথম তিন বৎসরের—১৮৫৮-৬১) (৩) সংবাদ প্রভাকর (৪) জ্ঞানান্বেষণ (৫) সমাচার চন্দ্রিকা (৬) সস্বাদ ভাস্কর (৭) এডুকেশন গেজেট (১৮৫৬-৬০) ছাত্র-নির্য্যাতন বঙ্গের ও আসামের কোন কোন স্কুলে ও কলেজে সেই সব ছাত্রকে ভৰ্ত্তি করা হইতেছে না যাহারা গাজ আফিং মদের দোকানে ও বিদেশী কাপড়ের দোকানে [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড পিকেটিং করিয়াছিল, কিংবা অন্ত ভাবে সত্যাগ্রহে যোগ দিয়াছিল । কোন কোন শিক্ষালয়ে ছাত্রদের কাছে এইরূপ প্রতিশ্রুতি চাওয়া হইতেছে, যে, তাহারা ভবিষ্যতে কোন রাজনৈতিক আন্দোলনে যোগ দিবে না । আমরা ঐ সব স্কুল কলেজের হেডমাষ্টার এবং প্রিন্সিপ্যালদের এইরূপ কাজ গহিত মনে করি । গান্ধীআরুইন চুক্তিতে স্পষ্ট করিয়া ছাত্রদের কথার উল্লেখ না থাকিলেও উহার মৰ্ম্মগত নীতিই এই, ধে, যে-সব সত্যাগ্রহী বলপ্রয়োগসাপেক্ষ কোন অপরাধ করে নাই, তাহাদের অতীত আচরণের জন্য কোন শাস্তি হইবে না । ছাত্রদের পিকেটিং সাধারণতঃ ঐ-জাতীয় । তদ্ভিন্ন গান্ধী-আরুইন চুক্তি অন্তসারে অহিংস নিরুপদ্রব পিকেটিং নিষিদ্ধ নহে । সেইজন্য পিকেটিঙের নিমিত্ত ছাত্রদিগকে শাস্তি দ ওয়া অন্তfচত । রাজনৈতিক আন্দোলন বলিতে ক কু পক্ষ যাহা বুঝেন, শিক্ষালয়ের অধ্যক্ষের তাহা ত জানেন । এদেশে কাহাকেও গাজর দোকানে গিয়া গাজা কিনিতে নিষেধ করিলে, বিদেশী কাপ & ন। কিনিয়া দেশী কাপড় কিনিতে বলিলে, তা গুণ গু হয় রাজনৈতিক আন্দোলন । অথচ বালকেরা ও বুঝে, নেশা করা ভাল নয়, দেশী জিনিষ থাকিতে বিদেশী কেন। ভাল নয় ; স্বতরাং সে-কথা বেশ বুঝিয়া-মুঝিয়া এবং নিজেদের পড়াশুনা ও অন্য কত্তব্যের ক্ষতি ম৷ করিয়া তাহারাও বলিতে পারে। এ অবস্থায় বালকবালিকাদের নিকট হইতে রাজনৈতিক আন্দোলনে বিরত থাকিবার প্রতিজ্ঞ লিখাইয়া লইলে, তাহাদিগকে জানিয়া-শুনিয়া ভবিষ্যতে মিথ্যাবাদী হইতে বলা হয় । কারণ, রাজনৈতিক আন্দোলনের সহিত এক আধটু যোগ ছেলেমেয়েদের থাকিবেই ; দেশের বর্তমান অবস্থায় ধাহাদের বিন্দুমাত্রও যোগ থাকিবে না, তাহারা অমাতুষ । আমরা শিক্ষক হইলে এরূপ অমান্সযদের শিক্ষক হইতে চাহিতাম না । কোন স্বাধীন দেশেই ছাত্রদিগকে রাজনীতির সহিত লেশমাত্রসম্পর্কবিহীন থাকিতে বলা হয় না। স্বাধীন দেশ অপেক্ষা ভারতবর্ষে রাজনীতিচর্চার বেশী দরকার আছে । স্বতরাং এদেশে ছাত্রদিগকে খাটি অরাজনৈতিক